খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৮:২০ অপরাহ্ণ
বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি ঘিরে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে ভারতের বিরোধী দলগুলো।

শনিবার বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ভারত। জম্মু, শ্রীনগর ও আরও কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদী সরকারের উদ্দেশে কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে এবং কাশ্মীর সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহায়তারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অথচ ভারত বরাবরই বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু কেবল দুই দেশই আলোচনা করবে, তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকার জায়গা নেই।

এ প্রেক্ষিতে বিরোধীরা জানতে চাইছে, ভারত কি এবার তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রতি উন্মুক্ত অবস্থান নিয়েছে? তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সরকার যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে।

এর আগে, শনিবার ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালের আরেক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় তিনি গর্বিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দুই দেশের সঙ্গে ‘বিপুল পরিমাণে’ বাণিজ্য বাড়াতে চান। এছাড়া কাশ্মীর সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ট্রাম্প।

তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পুরোপুরি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফল।

সূত্র: আল-জাজিরা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

একই সঙ্গে দলটির অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচারণাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশী ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, এসব অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

এ সব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার যুক্তিসংগতভাবে মনে করে ‘সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা-১৮(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।

তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সমমনা দলগুলো। আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে গত শনিবার (১০ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনসহ দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। ওই দিন রাতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

পরের দিন রোববারও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বসে। সেখানে সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে জারি হয় সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ।

কচুয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন

কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ ও পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে প্রায় ২ হাজার শিক্ষা উপকরন ও ডায়েরী উপহার দেয়া হয়েছে।

তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের বিএনপি’র ৩১ দফার চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠি গড়ে তোলার লক্ষে সোমবার দুপুরে কচুয়ার কৃতি সন্তান, অস্ট্রেলিয়া শাখা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জি: মোঃ হাবিবুর রহমানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব শিক্ষা উপকরন দেয়া হয়।

শিক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে বিএনপি নেতা ইঞ্জি: মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তারেক রহমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে সচেষ্ট ও সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে তারা পৃথিবীর যেকোন দেশে গিয়ে চলতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেয়া হবে।

এ সময় বিএনপি নেতা হাজী আবুল খায়ের, তাজুল ইসলাম মিয়াজী, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের ভবনের সামনে একটি কৃষ্ণচুড়া গাছের চারা রোপণ করেন।

আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষন ও যন্ত্রপাতি বিতরন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষন ও যন্ত্রপাতি বিতরন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আলুর প্রক্রিয়াজাতকরন উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সমাপনী এবং উদ্যোক্তাদের মাঝে যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়।

সোমবার চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সেমিনার হল রুমে ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন হোসেন।

এ সময়ে উপস্থিত উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথি মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ব দরবারে নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের ভূমিকা সর্বাধিক লক্ষ্যণীয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে যাচ্ছে। দেশে জনসংখ্যায় পুরুষের চেয়েও নারীর সংখ্যা বেশি। আর তাই নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়। দেশের এমন কোনো কর্মক্ষেত্র নেই যেখানে নারীদের পদচারণা লক্ষ্য করা যায় না। পুরুষের পাশাপাশি প্রতিটি পর্যায়ে নারী স্বমহিমায় কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুরের নারী সংগঠন বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থার ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিক খান, সবাই মিলে নারী উন্নয়ন সংস্থা এর ফাউন্ডার তানিয়া ইসলাম, অনন্যা নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রাবেয়া আক্তার, নবারুন মহিলা সংস্থার সভাপতি শামীমা নাসরিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।