খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ

আদানির বকেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
আদানির বকেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ

ভারতের আদানি পাওয়ারকে বকেয়া অর্থের উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনো বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাবে কোম্পানিটি। এই বকেয়া অর্থ বাংলাদেশ পরিশোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আদানি পাওয়ারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা।

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশের তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার। তবে গত বছরের আগস্টে এক ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপরই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়ন শুরু হয়। যার প্রভাব পড়ে আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিতেও।

এরপর এক পর্যায়ে আদানি গত বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছিল। কোম্পানিটির সিএফও দিলীপ ঝা বলেছেন, বকেয়াসহ মাসিক পরিশোধ শুরু করার পর বাংলাদেশে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

ঝা বলেন, আমরা বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। তাছাড়া আমরা এখন যে অর্থ পাচ্ছি তা মাসিক বিলিংয়ের চেয়েও বেশি।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশাবাদী যে বাংলাদেশ শুধু বর্তমান বিলই পরিশোধ করবে না। বরং পুরোনা পাওনাও মিটাবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সম্পূর্ণ বিলের মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

মঙ্গলবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করবেন তারা।

সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।

তিনি বলেন, আজ থেকে কর্মসূচি আমরণ অনশনে নিয়ে গেছি।
ইতিমধ্যে আমাদের ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখানে প্রায় সবাই অসুস্থ। এ আমরণ অনশনের মাধম্যে যদি কোনো প্রাণহানি ঘটে, এর দায় দায়িত্ব শিক্ষা উপদেষ্টা সি‌আর আবরারকে নিতে হবে।

অধ্যক্ষ আজীজি বলেন, আপনারা যদি আবরার সাহেবের কূটচালে পা দিয়ে শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ান, সারা দেশ থেকে লং মার্চ করে আপনার অফিস তালা দেওয়া হবে। আমরা আবরারের কোনো সিদ্ধান্ত মানি না। আবরারকে উপদেষ্টা মানি না। যদি আবরার পারে, তাহলে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। আর নয় তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়তে হবে।

কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, যারা শহীদ মিনারে আসতে পারেন না, আপনারা প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টায় জেলা ও উপজেলা সদরে অবস্থান নেবেন।

চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে দ্রুতগামী নৌযান দেয়ার দাবী

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২২ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে দ্রুতগামী নৌযান দেয়ার দাবী

চাঁদপুর নৌ বন্দর দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র, ঐতিহাসিক সংযোগস্থল এবং গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বহুবছর চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চের সেবার মান উন্নতি না হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই রুটে দ্রুতগতিসম্পন্ন নৌযান চালু করা ও সেবার মান বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে বিভিন্ন পেশা শ্রেণির লোকজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জেলাবাসীর পক্ষে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।

সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

চাঁদপুর নৌ বন্দরটি এক সময় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে থাকলেও তিন নদীর মোহনা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া এবং ডাকাতিয়া নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে তৈরী হচ্ছে আধুনিক নৌ বন্দর। কিন্তু আধুনিক নৌ বন্দরের সাথে নৌযানগুলোও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন মনে করেন এই রুটের যাত্রীরা।

চাঁদপুর পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ বলেন, এই রুটের লঞ্চগুলোতে উন্নতি হয়নি। তাদের মত করে পরিচালনা করে। তারা শীত এবং গরম মৌসুমে এসির ভাড়া একই রকম নেয়। কিন্তু সেবার মান বৃদ্ধি হয়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সমাজকর্মী শিমুল হাসান বলেন, ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ খুবই চমৎকার। কিন্তু ৫০ টাকার ভাড়া ৩০০টাকা হলেও যাত্রী সেবার মান ভালো হয়নি। সেবার মান বৃদ্ধি হলে যাত্রী বাড়বে।

শহরের পুরান বাজারের বাসিন্দা শিক্ষক ও লেখক আইরিন সুলতানা লিমা বলেন, সড়ক পথের চাইতে লঞ্চে এখন সময় বেশি লাগে। সড়ক পথে দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছানো যায়। সেখানে লঞ্চে সময় লাগে ৪ থেকে সাড়ে ৪ঘন্টা। এই পদ্ধতির পরিবর্তন করে দ্রুতগামী নৌযান এখন সময়ের দাবী।

শহরের কুমিল্লা সড়কের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, দ্রুত নৌযান এবং সেবার মান উন্নত করে যৌক্তিক ভাড়া নিতে পারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমান সেবার মান খুবই খারাপ। এক সময় লঞ্চের ভ্রমণই ছিলো সবার কাছে প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চল ও শরীয়তপুরের যাত্রীরা এখনো এই রুটে যাতায়াত করে।

শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী এ.ওয়াই.এম. জাকারিয়া বলেন, আরো অনেক আগে চাঁদপুর নৌ বন্দর নির্মাণ এবং লঞ্চগুলোর যাত্রীসেবা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিলো। ব্যবস্থাপনা বেহাল হওয়ার কারণে যাত্রী অনেক কমেছে। এখন নতুন করে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ এবং দ্রুতগামী নৌযান দিলেও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা খুবই কম মনে হয়।

তিনি আরো বলেন, বিমান বন্দর, রেল স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীরা তাদের মালপত্র নিয়ে আসতে কোন জামালে পোহাতে হয় না। কিন্তু লঞ্চঘাটে প্রত্যেক যাত্রীকে এই বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এই ঘাট ইজারা দিয়ে কি ধরণের সুবিধা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন গত ১৬ অক্টোবর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করেন, ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগের সকল জেলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের লঞ্চ, কার্গো ও জাহাজ চলাচলের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে চাঁদপুর নদী বন্দর ব্যবহৃত হয়। চাঁদপুর শহর পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় অবস্থিত হওয়ায় এবং ইলিশের বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় ভ্রমন পিপাসু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে। জনসাধারণ নৌ পথে চাঁদপুর-ঢাকা যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

বর্তমানে নদীপথে চাঁদপুর-ঢাকা যাতায়াতে সাড়ে ৩ঘন্টা থেকে ৪ঘন্টা সময় লাগে। অপরদিকে সড়কপথে যাতায়াতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। ধীরগতির পুরোনো লঞ্চ সড়কপথের তুলনায় নদীপথে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়ায় জনসাধারণ নদীপথে যাতায়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। নদীপথে যাতায়াত তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল, আরামদায়ক ও নিরাপদ। নদীপথের যাতায়াত স্বল্পসময়ে সম্পন্ন করার জন্য দ্রুতগতির লঞ্চ চলাচল নিশ্চিত করা প্রয়োজন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে বর্তমানে যে সকল লঞ্চ ৩ঘন্টায় চাঁদপুর থেকে ঢাকায় পৌছায় ওইসব লঞ্চ আড়াই ঘন্টায়ও পৌঁছানো সম্ভব।

এছাড়াও বেশিরভাগ লঞ্চে নিম্নমানের আসন, অপ্রতুল লাইফ জ্যাকেট, অপরিস্কার শৌচাগার ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। এদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ানে চাঁদপুর আধুনিক লঞ্চ টার্মিনালের উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ লঞ্চে যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না কলে উন্নত লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করেও আশানুরুপ ফল না পাওয়া সম্ভাবনা বেশি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুট সচল রাখার জন্য আমি মনে করি আধুনিক এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন লঞ্চ চালুর উদ্যোগ, লঞ্চসমূহ সংস্কার, সেবার মান বৃদ্ধি, আধুনিকায়ন এবং আড়াই ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর-ঢাকা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর জেলার জনসাধারণ ছাড়াও শরীয়তপুর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার কয়েকটি এলাকার জনগণ চাঁদপুর হতে ঢাকায় নৌরুটে যাতায়াত করেন। সড়কের ওপরে চাম কমাতে হলে জনপ্রিয় এই নৌরুটের সেবার মান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, অন্যথায় ভবিষ্যতে যাত্রীর অপ্রতুলতায় লঞ্চ সেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে: ইএবি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদামের অগোছালো ব্যবস্থা এবং মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইএবি জানিয়েছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি এবং অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইএবি সভাপতি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগুনের ঘটনার গুরুত্ব সঠিকভাবে বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন প্রতিরোধ করা যায়।

এ সময় ব্যবসায়ীরা কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, রাসায়নিক গুদাম নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ এবং সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় হঠাৎ আগুন লাগে।