খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

কোথায় আশ্রয় নেবে ফিলিস্তিনিরা?

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
কোথায় আশ্রয় নেবে ফিলিস্তিনিরা?

গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়নি। পুরো গাজাকে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী। ফিলিস্তিনিরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন পার করছেন। তাদের আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে না বা এমন কোনো মানবিক অঞ্চল নেই যেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারে। ভয়াবহ দুর্বিষহ জীবন পার করছে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। খবর আল জাজিরার।

গাজার বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ দখল করার পর গাজার বিভিন্ন এলাকায় লোকজন আটকা পড়েছে। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানেও যেতে পারছেন না। উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার স্বাধীনতাও পাচ্ছেন না তারা।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার ও বিস্তারের লক্ষ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সৈন্য ডাকতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টি এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য।

ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। প্রায় ৪৭০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা বাড়ি-ঘর, প্রিয়জন সবকিছু হারিয়েছেন। তাদের মাথার ওপর আশ্রয় নেওয়ার মতো শেষ অবলম্বনটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বোমা হামলায় চোখের সামনে বাবা-ভাই বা সন্তানের মৃত্যু দেখছেন তারা।

এরই মধ্যে নতুন পরিকল্পনার আওতায়, গাজায় ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠের সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

তবে সমালোচকরা বলছেন, দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও শুরু হওয়া এই অভিযান বন্দিমুক্তির নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় অভিযান ফের সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান শুরু হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনের জীবিত বলে বিশ্বাস করা হয়। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পায়নি।

এই সময়ের মধ্যে গাজার বিশাল এলাকা দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আবারও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজায় প্রায় দুই মাস ধরে চলছে মানবিক সহায়তার ওপর কঠোর অবরোধ।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো- শিশুরা যেন মাতৃভাষা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে; মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে; কথা বলতে ও লিখতে পারে। গাণিতিক ভাষায় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারবে। মিনিমাম এটুকু হলে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে। কিন্তু আমরা যদি প্রাইমারি স্কুলে এগুলো করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিশুরা সাক্ষরতার পাশাপাশি নৈতিক আচরণগত দিকগুলো শিখে থাকে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে এসব বিষয় খুব সুন্দরভাবে শিশুরা শিখতে পারে।

শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের স্বার্থেই আমাদের ভূমিকাটা আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের শিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে এগোতে পারবে।

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ৫০ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা অংশ নেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক তসলিমা আক্তার।

বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া পৌর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক বিল্লাল হোসেন প্রধানের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন বের করা হয়।

কচুয়া ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সুরমা কাউন্টারের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সফিকুল ইসলাম রুবেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রবিউল হোসেন রুবেল, যুবদল নেতা সুজন, শরীফ, শ্রমিকদল নেতা লালু, ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোস্তফা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, বুধবার রাতে বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা বিল্লাল প্রধানের পুত্র রিফাত হোসেন কড়ইয়া পূর্ব পাড়া ফজল হক মিয়ার বাড়ির সামনে ট্রাকের বালু নামাতে গিয়ে ধুলা পড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রাবনসহ কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপর উশৃঙ্খল যুবক শ্রাবনের নেতৃত্বে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন, আকাশ, শের আলী, সুমন ও আজিজ বেশ কিছু লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন।

ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই এবার থেমে যাক। পাকিস্তানের ভেতর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজে এই কথা বলেন ট্রাম্প।

আমি দুটি দেশকেই খুব ভালো করে চিনি। আমি চাইব, তারাই সমাধান করুক। আমি চাই তারা থেমে যাক, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই, ট্রাম্পের কথায়, ‘টিট ফর ট্যাট’ অর্থাৎ আঘাত আর প্রত্যাঘাত করেছে। তাই এবার তিনি আশা করেন যে দুই দেশই এবার থেমে যাবে। হোয়াইট হাউজ থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানান যে প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, তিনি যে কোনো ধরনের সহায়তা করতেও রাজি আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাতের দিকে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তাছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন এবং ভারত ও পাকিস্তান যাতে ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব সহকারে সংঘাত মেটানোর’ চেষ্টা করে।

বিবিসি সংবাদদাতা টম বেটম্যান লিখছেন যে, ভারতের হামলার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল যে তারা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাদের সেই বক্তব্যে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি।

এদিকে, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন, এমন দুই পদাধিকারীকে এখনো নিয়োগ দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো নেই। বলা হচ্ছে দুই দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতরা চরম উত্তেজনার সময়ে স্থানীয়ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম কার্যকালের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা টিম র‍্যোমার বিবিসিকে বলেন, দিল্লিতে বসে দুই দেশের মধ্যে নীরবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বা চুপচাপ মধ্যস্থতাও করতে পারতেন, যদি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত থাকতেন।

ভারত আর পাকিস্তানে ‘স্থায়ী রাষ্ট্রদূত’ থাকাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন টিম র‍্যোমার। তার কথায়, ইসরায়েল, চীন আর দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা প্রথমে মনোনয়ন পান তারপর তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন মাত্রই একশ দিন পার করেছে।

সূত্র: বিবিসি