হাজীগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদমূলক সংবাদ সম্মেলন

oplus_6291456

হাজীগঞ্জে যুবদল নেতা ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অসত্য ও ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সাল হোসাইন, পৌর বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদকে “মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করে শুক্রবার হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
ওই সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিপক্ষরা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতিবেদনে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফয়সাল হোসাইন ও সাইফুল হাসান। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদের অংশে তুলে ধরা হয়। মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের স্বার্থে প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে তারা দাবি করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তারা আরো বলেন , প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার বন্ধ করতে সংবাদপত্র এবং প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা প্রকাশিত সংবাদ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করার আহ্বানও জানান।
হাজীগঞ্জে বিএনপির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তৃতীয় একটি পক্ষ ভুল আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, বনফুলের জায়গা প্রকৃত মালিকের কাগজ পত্র দেখে জমি ক্রয় করেছি এতে কোন লুকোচুরি নেই। মূলত এ জায়গা যারা গত ১৭ বছর ধরে জবরদখল করেছে তাদের এখন মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দখল বাণিজ্যের বিষয়ে উক্ত পোর্টালে যে কথাগুলো এসেছে তাও ভিত্তিহীন। তারা এমনকি আমার মোটরসাইকেল চালানো নিয়েও সন্দেহের চোখে দেখেছে। আমি প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী। আমাকে নিয়ে একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লিপ্ত থেকে এমন ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এর মূল কারন হচ্ছে আমি আগামী দিনে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করবো। এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে বনফুল ক্লাবের জমির প্রকৃত মালিক শিরিন বেগম এমন সংবাদের মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমার জায়গা দখলে ছিল। আমার কাগজপত্র খারিজ অবস্থায় মিজানুর রহমান সেলিমের কাছে জমি বিক্রি করেছি। বরং যারা আমার জায়গায় এতে বছর জবরদখল করে রেখেছে তারাই এখন এ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে বলে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে।
হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সদস্যরা সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন