খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল বের করার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিতা রায়।
তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি আজকে আমরা প্রত্যেকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী। এই যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বসে আছেন, উনি আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বসে আছেন। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম’ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
আদ্রিতা রায় আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার ব্যর্থতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আমরা আগামীকাল রাজু ভাস্কর্য থেকে আমাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে মশাল মিছিল বের করবো। সেই মিছিল থেকে আমরা আমাদের নয় দফা বাস্তবায়নের লড়াই বেগবান করবো।
এ সময় তিনি সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণপ্রতিরোধ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশা।
তাদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জননিরাপত্তাদানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়স্বীকারপূর্বক পদত্যাগ করতে হবে; সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; অবিলম্বে পাহাড়, সমতলসহ সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন করতে হবে; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, জাতীয়তা, প্রতিবন্ধিতা ও বয়স নির্বিশেষে সবার ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে; অপরাধী বা ভুক্তভোগীর জেন্ডার নির্বিশেষে, সব ধরনের পেনিট্রেশনকে ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘সাজা প্রদান নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা যা অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর শারীরিক-মানসিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তির আনুপাতিকতা নিশ্চিত করবে; ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে; বৈবাহিক বা এই ধরনের সম্পর্কে ধর্ষণের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে ভুক্তভোগীর চধংঃ ঝবীঁধষ ঐরংঃড়ৎু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে কেবল নারী বিচারকরা থাকতে পারবেন এবং তা ক্লোজ ডোরের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে, এর নিশ্চয়তা দিতে হবে; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধন করে, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে; প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সেলের গঠনপ্রক্রিয়া আইনে বিবৃত করতে হবে; সেলের কার্যপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অভিযুক্ত বা অভিযোগকারীর যেকোনো ধরণের ক্ষমতাপ্রয়োগের আওতামুক্ত রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে সেলকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান এবং একইসাথে সেলের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বন্দোবস্ত করতে হবে; বিচার ও আইন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে; প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার সংবেদনশীলতার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সম্মতি ও পছন্দের পরিষ্কার ধারণা দেয়, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের তথ্য ও জ্ঞান প্রদান করে এমন পাঠ, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা তা দূর করতে হবে। বিশেষ আইন অথবা বিশেষ সেল এর অধিকারবলে ধর্ষণ এর অভিযোগ যেকোনো থানা গ্রহণ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সকল প্রকার সুরক্ষা প্রদানের জন্য ২০১১ সালে পর্যালোচিত সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবির মধ্যে আরও আছে চবির নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, স্লাটশেমিং এবং বরখাস্তের ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ স্লাটশেমিং করলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে; বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সেলে আবশ্যিক নারী সদস্য থাকবে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে, দোষীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা উক্ত সেলকে দিতে হবে।
এর আগে এই ৯ দাবিতে দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে’র ব্যানারে পদযাত্রাটি বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে শিক্ষাভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়।
এ সময় ব্যারিকেড সরানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া তাদের হাতে থাকা পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘ধর্ষণ কী, ধর্ষণ কেন, আইন কী জানে’, ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’, ‘আমরা জন্ম থেকে শহীদ’, ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই’, ‘রাষ্ট্র তুই ধর্ষক’ প্রভৃতি প্রতিবাদী লেখা দেখা যায়।

শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আসন্ন দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

​উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিয়া হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসন এবং বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও নাজিয়া হোসেন বলেন, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ বছর শাহরাস্তি উপজেলায় মোট ১৯টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল বাসার, হাজীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ইমদাদুল হক, চাঁদপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবুল হোসাইন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী, উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ মোস্তফা কামাল, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নিখিল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমৃত মজুমদার টুটন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. কমল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র দাশ (মাধু), শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়ার সভাপতি বাবু হারাধন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণকান্ত দে।

​সভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া পূজার দিনগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

​সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

শাহরাস্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩শ’৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাত্তলা এলাকায় বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ২শ’ ৫০ পিস ইয়াবাসহ মনির হোসেন (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

অন্যদিকে শাহরাস্তি থানাধীন আয়নাতলী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ১শ’ পিস ইয়াবাসহ নুরে আলম (৪০) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা (এফআইআর নং-১১, তারিখ-১৫/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। তারা স্বল্প মূল্যে ইয়াবা কিনে বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে বিক্রি করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছিল।

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার, পিপিএম (বার)। তত্ত্বাবধানে ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ অলি উল্লাহ।

নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে ২০২৫- ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃর্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন, নবীনবরণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথমে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।

পরবর্তীতে কলেজের অডিটোরিয়ামে একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কর্নেল (অবঃ) মোঃ মতিউর রহমান, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: কামাল হোসেন স্যার, গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ আবুল কাশেম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব ওবায়দুল্লাহ হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রমিজ উদ্দীন মাস্টার, গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আলআমীন পারভেজ, গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য ইসরাফীল আলম, দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ উল্লাহ, শ্রীরায়েচর এসআইএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন সুমন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের অভিভাবকদের সরব উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। এ সময় সম্প্রতি এনটিআরসিএ থেকে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষককেও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

তারপর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সবশেষে, শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড শিক্ষকের মাধ্যমে বিশেষ ফাইল বিতরণের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।