খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল বের করার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিতা রায়।
তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি আজকে আমরা প্রত্যেকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী। এই যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বসে আছেন, উনি আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বসে আছেন। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম’ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
আদ্রিতা রায় আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার ব্যর্থতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আমরা আগামীকাল রাজু ভাস্কর্য থেকে আমাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে মশাল মিছিল বের করবো। সেই মিছিল থেকে আমরা আমাদের নয় দফা বাস্তবায়নের লড়াই বেগবান করবো।
এ সময় তিনি সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণপ্রতিরোধ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশা।
তাদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জননিরাপত্তাদানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়স্বীকারপূর্বক পদত্যাগ করতে হবে; সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; অবিলম্বে পাহাড়, সমতলসহ সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন করতে হবে; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, জাতীয়তা, প্রতিবন্ধিতা ও বয়স নির্বিশেষে সবার ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে; অপরাধী বা ভুক্তভোগীর জেন্ডার নির্বিশেষে, সব ধরনের পেনিট্রেশনকে ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘সাজা প্রদান নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা যা অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর শারীরিক-মানসিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তির আনুপাতিকতা নিশ্চিত করবে; ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে; বৈবাহিক বা এই ধরনের সম্পর্কে ধর্ষণের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে ভুক্তভোগীর চধংঃ ঝবীঁধষ ঐরংঃড়ৎু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে কেবল নারী বিচারকরা থাকতে পারবেন এবং তা ক্লোজ ডোরের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে, এর নিশ্চয়তা দিতে হবে; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধন করে, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে; প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সেলের গঠনপ্রক্রিয়া আইনে বিবৃত করতে হবে; সেলের কার্যপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অভিযুক্ত বা অভিযোগকারীর যেকোনো ধরণের ক্ষমতাপ্রয়োগের আওতামুক্ত রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে সেলকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান এবং একইসাথে সেলের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বন্দোবস্ত করতে হবে; বিচার ও আইন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে; প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার সংবেদনশীলতার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সম্মতি ও পছন্দের পরিষ্কার ধারণা দেয়, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের তথ্য ও জ্ঞান প্রদান করে এমন পাঠ, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা তা দূর করতে হবে। বিশেষ আইন অথবা বিশেষ সেল এর অধিকারবলে ধর্ষণ এর অভিযোগ যেকোনো থানা গ্রহণ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সকল প্রকার সুরক্ষা প্রদানের জন্য ২০১১ সালে পর্যালোচিত সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবির মধ্যে আরও আছে চবির নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, স্লাটশেমিং এবং বরখাস্তের ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ স্লাটশেমিং করলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে; বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সেলে আবশ্যিক নারী সদস্য থাকবে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে, দোষীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা উক্ত সেলকে দিতে হবে।
এর আগে এই ৯ দাবিতে দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে’র ব্যানারে পদযাত্রাটি বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে শিক্ষাভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়।
এ সময় ব্যারিকেড সরানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া তাদের হাতে থাকা পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘ধর্ষণ কী, ধর্ষণ কেন, আইন কী জানে’, ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’, ‘আমরা জন্ম থেকে শহীদ’, ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই’, ‘রাষ্ট্র তুই ধর্ষক’ প্রভৃতি প্রতিবাদী লেখা দেখা যায়।

ফরিদগঞ্জে পরিত্যক্ত বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে পরিত্যক্ত বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার মিরপুর তরফদার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাগান থেকে পুলিশ মো.হাসানুর রহমান (৩৭) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ জানান, তিনি এক ছেলে ও দু’মেয়ের জনক। নিহত হাসানুর রহমান পৌরসভার নোয়াগাঁও এলাকার মিজি বাড়ির বাসিন্দা এবং মৃত খোকন মিজির ছেলে।

শুক্রবার বিকেলে তরফদার বাড়ির বাগানে ড্রেনের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফরিদগঞ্জ থানায় পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম,ওসি তদন্ত রাজীব চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল আসে। যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে বলেন, নিহতের দু’হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দগদগে চিহ্ন রয়েছে। তার কোমরে একটি ছুরিও ছিল।

নিহতের মেয়ে তানজিনা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাবা মাছ ধরতে বের হন। এরপর কিছু লোক তাকে খুঁজতে আসে। পরে তাকে মুখ চেপে ধরে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ১৯ জুন ছোল্লা বাড়ির খালেকের ছেলে হাছানের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময় আমার বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয় এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।

নিহতের বড় ভাই শরীফ বলেন, চুরির ঘটনায় হাছান নামে এক ব্যক্তি বহিরাগত লোকজন এনে আমার ভাইকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আজকে সেই হুমকি বাস্তব হলো। আমরা এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহ আলম বলেন, শুক্রবার দুপুরের পর স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মরদেহের হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ছিনতাই ও মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রামপুরে জুলাই আগস্ট বিপ্লবী শহীদদের স্মরনে বৃক্ষ রোপন ও বিতরন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
রামপুরে জুলাই আগস্ট বিপ্লবী শহীদদের স্মরনে বৃক্ষ রোপন ও বিতরন

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নে জুলাই- আগস্ট বিপ্লবী শহীদদের স্বরনে বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশ নায়ক তারেক রহমান ও জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এর নির্দেশনায় বিএনপি নেতা রামপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জে. এম. মেহেদী মাসুদ মিঠু এর সার্বিক ব্যাস্থপনায় ও ছাত্র দলের আয়োজনে শুক্রবার দিনব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ইউনিয়নের ছোটসুন্দর, সকদি পাঁচগাঁও, আলগী পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া, বদরখোলা, দেবপুর, কামরাঙ্গা, মনিহার সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ লোকজন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সহাস্রধিক ফলজ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরণ ও রোপন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রামপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জে. এম. মেহেদী মাসুদ মিঠু, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন আকাশ, বিএনপি নেতা এম. আই. খলিল, খালেদ হোসন সমর, মোস্তফা বেপারী, বাশু মেম্বার, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি শান্ত চৌধুরী, বর্তমান ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন গাজী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কামরাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ছাত্রদল নেতা শরীফ হোসেন রীপ্ত, মুরাদ হোসেন, শুক্কুর হোসেন, রাকিব হোসেন, সিয়াম, জাহিদুল, মাহি, আশ্রাফুল সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

ফ্লাইট ছাড়ার আগে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনকল, বিমানে বোমা থাকার হুমকি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
ফ্লাইট ছাড়ার আগে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনকল, বিমানে বোমা থাকার হুমকি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-কাঠমন্ডু ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি পাওয়া গেছে। এ কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার কিছু সময় আগে বোমা হুমকির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজে থাকা সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উড়োজাহাজে তল্লাশি শুরু করে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।

নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে।উড়োজাহাজটির বৈমানিক ছিলেন ক্যাপ্টেন আবদুর রহমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর সাংবাদিকদের জানান, একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোনকলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, বিমানের ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। সে সময় ফ্লাইটটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ছাড়া কারা কী উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেবিচক।