খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

আহতদের অভিযোগ

সমন্বয়করা আহতদের খোঁজখবর না নিয়ে রাজনৈতিক দল গোছাতে ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:১৪ পূর্বাহ্ণ
সমন্বয়করা আহতদের খোঁজখবর না নিয়ে রাজনৈতিক দল গোছাতে ব্যস্ত

যাদের রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছে। রাত-বিরাতে সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করছে। অথচ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সমন্বয়করা রাজনৈতিক দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমন অভিযোগ করেছেন জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা। এর কয়েক মিনিট পরই তাদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে আহতরা তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

এসময় আহতরা বলেন, সরকারকে আগে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর সংস্কার, দল গোছানো ও নির্বাচন। হাসনাত, সারজিস ও সমন্বয়করা আহতদের পরিবারের খোঁজখবর না নিয়ে তারা রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে ব্যস্ত। আহতদের পুনর্বাসনের কথা সরকার শুধু বলেছে, কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে পাইনি।

এদিকে আহতদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পারে নাই, এটা সরকারের ব্যর্থতা। এজন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি দায়ী, সচিবরা দায়ী, আমলারা দায়ী। যারা আহত হয়েছেন তাদের আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারি নাই, এজন্য আমি নিজে ব্যথিত।

তিনি আরও বলেন, আহতের পুনর্বাসন করার বিষয়টি একটি লম্বা প্রক্রিয়া। নানা জায়গায় তাদের কাগজ চেক করতে করতে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে গ্রুপ, উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে। এখানে একটা দালাল শ্রেণি তৈরি হয়েছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে দোষারোপ করছে। কেউ বলছে আমরা অরিজিনাল, আবার কেউ বলছে ওরা ভুয়া। এ ধরনের ঘটনার কারণে সরকার বিব্রত। অবিলম্বে যারা আহত তাদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এ দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা কিছু করতে পারি না। আপনারা যে চিকিৎসা পান না এটা সত্য। এর জন্য দায়ী সরকারের লোকজন। সরকার ভালো মতো তদারকি করতে পারে নাই।

ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়ায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

আনিসুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়ায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

বৃহষ্পতিবার বিকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাহী বাজার, চৌরঙ্গী বাজার, আমিরা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে নির্ধারিত হবে, দেশ কোনপথে চলবে। স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলিয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল জাতীয়তাবাদের আদর্শ বিএনপি প্রতি মানুষের আস্থা রাখবে না অন্য কিছু। কিন্তু এদেশের মানুষ কখনো ভুল করবে না, কারণ তারা দেশে বিএনপিই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা এদেশের মানুষের মনের ভাষা বুঝে। কিভাবে এদেশের মানুষকে সুখে শান্তিতে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বিল্লাল কোম্পানী, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক টুটুল পাটওয়ারী, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ভুট্টো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মানিক পাটওয়ারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম মাহমুদ রাঢ়ী, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক হারুন পাঠান, জেলা যুবদলের সদস্য ফজলুর রহমান, ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবুল খায়ের রুবেল, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা সেলিম পাটওয়ারী, মশিউর রহমান, রিপন পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:

টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিলেন হাইকোর্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিলেন হাইকোর্ট

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে শেষবারের মতো ৬ মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেই হবে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। সাগর-রুনির পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়।

টাস্কফোর্সের অন্য তিন সদস্য হলেন— পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র‌্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের লাশে নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন, ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ গার্ডিয়ানের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনি বন্দিদের লাশে নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন, ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ গার্ডিয়ানের

গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর সেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন, বেআইনি হত্যাকাণ্ড ও সন্দেহজনক মৃত্যুর ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বন্দিশালা ‘সেডিতিমান’ থেকে ফেরত আসা ১৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির লাশে নৃশংস নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সুস্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া লাশগুলোতে হাত-পা বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা এবং কাছ থেকে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে— যা প্রমাণ করে তারা বন্দি অবস্থায়ই হত্যা হয়েছেন। খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আরও জানান, কয়েকটি লাশ ইসরাইলি ট্যাংকের চাকার নিচে পিষ্ট হওয়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক মুনির আল-বার্শ বলেন, “লাশের ব্যাগে থাকা নথি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো নেগেভ মরুভূমির সেডিতিমান সামরিক বন্দিশিবির থেকে আনা হয়েছে।”

লন্ডনভিত্তিক গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে চিকিৎসা সনদ, গোপন ছবি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য তুলে ধরে জানিয়েছে— ইসরাইলি সেনাদের এই কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে পারে।

জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মরিস টিডবল-বিন্স এসব ভয়াবহ তথ্যের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীদের পরিচয় নির্ধারণ ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে স্বচ্ছ তদন্ত অপরিহার্য।”

এদিকে ২০ মাস ইসরাইলি কারাগারে বন্দি থাকা এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক জানিয়েছেন, বন্দিদের শীতল আবহাওয়ায় নগ্ন অবস্থায় রাখা হতো, তাদের হাত ও চোখ বেঁধে টানা ১০০ দিন ধরে আটক রাখা ও কুকুর দিয়ে নির্যাতন করা হতো।

মানবাধিকার সংস্থা ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুর হার নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। সংস্থাটির মতে, গত দুই বছরে তারা ইসরাইলি আটক কেন্দ্রে পরিকল্পিত নির্যাতনের একাধিক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, “নতুন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এখনই একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত শুরু করা জরুরি, নইলে এসব অপরাধের দায় এড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।”