খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

হাজীগঞ্জের পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আটক প্রবাসীর স্ত্রী

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জের পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আটক প্রবাসীর স্ত্রী

হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে হাতেনাতে আটক হলো প্রবাসীর স্ত্রী বিথি।

রোববার দিবাগত রাত পাতানিশ নূরী বাড়ির মিলন হোসেনের বসতঘর থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। পরে সোমবার দুপুরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে আনেন পুলিশ।

আটক হওয়া বিথী আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী মিলনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী। আর পরকীয়া প্রেমিক বিল্লাল হোসেন একই এলাকার পন্ডিত বাড়ির আব্দুস সোবহানের ছেলে। সেও চার সন্তানের জনক।

পরকীয়ায় জড়িত বিথী আক্তার বলেন, বিল্লালের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। বিল্লাল হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করে তার গায়ে হাত দেয়। লজ্জায় চিৎকার দেয়নি বলে জানান তিনি।

আর পরকীয়া প্রেমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ চলছে তাদের সম্পর্কের। বিথী গলা ব্যথ্যার ঔষুধ আনতে বলেছে। ঔষুধ দিতে আসলে রুমে ডাকে। পরে বাড়ির লোকজন এসে তাদের আটক করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিসান মজুমদার রাশেদ ও শরিফ জানান, রাতে বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লক্ষ করি। ঘরের দরজা খোলা থাকায় তাদের রাত ১১টায় একই খাটে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। বিল্লালের এ গ্রামে আরো পরকীয়ার ঘটনা রয়েছে। তাদের সঠিক বিচার দাবী করেন তারা।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, পরকীয়ায় জড়িত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এতে করে টেনেটুনেই যেন চলছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কর্মযজ্ঞ।

রোববার সকালে ওই কার্যালয়ে গেলে জনবল সংকটের এমন তথ্য উঠে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, একাই একশ’ হিসেবে হরদম কাজ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনিই এখানে সকল কাজের কাজী। যদিও তার সাথে এখানে সেতু প্রকল্পের কার্য সহকারী পদায়িত রয়েছেন।

যদিও বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এই কার্যালয়টিতে অফিস সহায়ক, ২০২৩ সাল থেকে অফিস সহকারী, ২০২২ সাল থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি শুন্য রয়েছে। যদিও অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।

এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে জনবল সংকটের কারনে আমাকেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব দাপ্তরিক প্রয়োজনে একা পালন করতে হচ্ছে। পুরনো একটি ল্যাপটপে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। আমার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পের তদারকী কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া মোটরসাইকেলটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রকল্প মনিটরিং কাজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মতলবে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচীও চলমান রয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রায়শই কোন প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে গেলে বেশিরভাগ সময়ই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।

একই সুরে কথা বললেন চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান। তিনি বলেন, শুধু মতলব দক্ষিণ নয়, আমার জেলা কার্যালয়েও জনবল সংকট রয়েছে। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকীও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমি এ কথা মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি।

চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে রোববার সকালে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন ও জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন মঞ্জু।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ওসমান খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান দুলাল, অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সমন্বয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহনেওয়াজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমীর চন্দ্র রায় ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নাজির আহমেদ সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, চোখের চিকিৎসা নিতে এসে এখানে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।

রোকন বলেন, যার চোখ নেই সে বুঝে চোখের কি মর্যাদা, এজন্যই চোখের যতœ নিতে হবে সবাই চোখ ভালো থাকলে সবই ভালো থাকবে। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক বড় নেয়ামত, এজন্য এর যতœ নেওয়া খুবই জরুরী। আমার মত এই ধরনের মানবতার সেবায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে এলাকায় আর কোন অপরাধ থাকবে না, চোখকে রক্ষা করতে হলে আপনার সন্তানকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। আমরা যেভাবে সন্তানদেরকে মোবাইল দিয়ে রেখেছি এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে অল্পতেই চোখে সমস্যা দেখা দিবে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন বেশির ভাগই বয়স্ক। আপনার সন্তান এবং নাতি নাতনি যারা আছেন তাদেরকে মোবাইল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেই অনেক কিছু থেকে হেফাজত হবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।