২০০ টাকায় পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার ৯০% কমন সাজেশন বিক্রি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার


বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) নন-ক্যাডার চাকরি পরীক্ষায় ৯০% কমন সাজেশন দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মতিউর রহমান।
পিএসসির অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানা এলাকা থেকে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পিএসসির বিভিন্ন নন-ক্যাডার চাকরি প্রার্থীদের চাকরির পরীক্ষায় ৯০% কমন সাজেশন দেওয়ার নাম করে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত মতিউর রহমান চক্র।
তিনি বলেন, তারা পিএসসির বিভিন্ন পদে (নন-ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার আগে নিশ্চিত সাজেশনের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক পেজে “ATEO এর জন্য সিক্রেট শিট কেউ হাতছাড়া করবেন না এই সুযোগ। শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত Secret সাজেশন শিট মাত্র ৫৫০টি MCQ সাথে উত্তর। হুবহু কমন পাবেন ৮০-৯০%” ক্যাশ অন ডেলিভারি ৩৯০ টাকা অগ্রিম ৯০ টাকা, সুন্দরবন কুরিয়ারে অগ্রিম ফুল পেমেন্ট আর পিডিএফ নিতে ২০০ টাকা এবং পেমেন্টের ১ মিনিটের মধ্যেই পিডিএফ পাবেন মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমেইল এ সেন্ড করা হবে। বিকাশ পার্সোনাল/নগদ/রকেট নাম্বার …” এরকম নানা চটকদার শিরোনামে পোস্ট করতো। এরপর তাদের সাথে যোগাযোগ হলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নিত। যার ফলে একদিকে যেমন সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীগণ প্রতারিত হচ্ছিল, অন্যদিকে পিএসসির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বরে সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) পিএসসির পক্ষ থেকে সিআইডিতে অভিযোগ করলে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কাজ শুরু করে। এরপর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থেকে প্রতারক চক্রটির মূলহোতা মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ও ১টি ল্যাপটপ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে পিএসসির পক্ষ হতে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া চক্রের অন্যান্য আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান চলমান আছে।
আপনার মতামত লিখুন