খুঁজুন
বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

অল্প বয়সী হেল্পার ও অদক্ষ্য চালক দিয়েই চলছে জৈনপুরী বাস

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
অল্প বয়সী হেল্পার ও অদক্ষ্য চালক দিয়েই চলছে জৈনপুরী বাস

ঢাকা গুলিস্তান টু বাবুর হাট রূটে নিয়মিত চলাচলকারী জৈনপুরী বাস চালাচ্ছেন অল্প বয়সী হেল্পার ও অদক্ষ্য চালকরা। প্রথমে দক্ষ্য ড্রাইভার বাস কিছুক্ষন চালানোর পরেই চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়া হয় অল্প বয়সী হেল্পার ও অদক্ষ্য চালকদের। এতে করে পুরো যাত্রাই আতঙ্কে কাটে যাত্রীদের।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার গুলিস্তান থেকে রাত সাড়ে আটটায় জৈনপুরীর রেজিঃ ৪৩০ নং বাসটি চাঁদপুর বাবুরহাটের উদ্দেশ্য রওনা হয়। বাসের ড্রাইভার যিনি ছিলেন তিনি প্রথমে বাস চালান। তিনি গুলিস্তান হতে শুরু করে মতলব পেন্নাই সড়ক পর্যন্ত বাসটি চালিয়ে নিয়ে আসেন। বাসে আনুমানিক ৩০/৩৫ জন যাত্রী হবে প্রত্যেকেই চাঁদপুরের উদ্দেশ্য রওনা দেন। বাসের ড্রাইভার প্রথমে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও অধিক হর্ণ বাজিয়ে গাড়ি চালাতে থাকেন। গাড়িতে থাকা অধিকাংশ যাত্রীই বারবার ড্রাইভারকে নিষেধ করা সত্বেও তিনি একই গতিতে এবং একই অবস্থায় গাড়ি চালাতে থাকেন। গাড়িটি তিনি এমন ভাবে চালাচ্ছেন যেন মনে হচ্ছিল এই বুঝি এক্সিডেন্ট হলো। আমরা ড্রাইভারকে বলি আমাদের আধা ঘণ্টা এক ঘন্টা দেরি হোক সমস্যা নাই কিন্তু গাড়ি আস্তে চালিয়ে যান এভাবে গাড়ি চালালে যেকোনো সময় এক্সিডেন্ট হতে পারে, কিন্তু ড্রাইভার কারো কথার তোয়াক্কা না করে নিজের মত করে গাড়ি চালাতে থাকেন।

তারা আরো জানায়, কয়েকবার অন্য গাড়ির সাথেও ধাক্কা লেগেছিলো তবুও তিনি নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চালাননি। যিনি ড্রাইভার ছিলেন তার পেশাদারি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও সবাই বলছিলো ওনি হেল্পার থেকে শিখে ড্রাইভার হয়েছেন, ওনার ড্রাইভিং করার মধ্যে অনেক কিছু ঘাটতি রয়েছে যা রোড এক্সিডেন্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। গাড়ি দাউদকান্দি পার হয়ে মতলব নায়েরগাঁও আসলে ড্রাইভার তার হেল্পারের হাতে গাড়ি বুঝিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। ড্রাইভারের বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ হবে কিন্তু তার হেল্পারের বয়স আনুমানিক ১৬/১৭ হবে। এই অল্প বয়সী হেল্পার দিয়ে ড্রাইভার গাড়িটিকে বাবুরহাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে দেন। এ অবস্থায় গাড়ির সকল যাত্রীই হতভম্ভ হয়ে যায়।

হেল্পারের আবার হেল্পার ছিলো যার বয়স মাত্র ১২ বছর। এরকম অদক্ষ কিশোর দিয়ে এত ভয়ংকর সড়কে গাড়ি চালিয়ে মানুষের জীবন নাশের গল্প তৈরির কি প্রয়োজন। প্রশাসনিক সঠিক ব্যবস্থা থাকলে এরকম ঘটনা কখনো হতো না।

হেল্পার যখন গাড়ি চালাচ্ছিন যেন মনে হচ্ছিল এই যেন সড়কের পাশে পুকুরে গিয়ে বাসটি পড়লো, ড্রাইভারের মতন হেল্পারও বাসটিকে অন্য গাড়ির সাথে ধাক্কা মেরে দাড়িয়ে আছে, অল্প বয়সী হেল্পার যখন বাসটি চালাচ্ছিল সাথে একটান বিড়ি আর একটান কোকও খাচ্ছিলো। বাসের সব যাত্রী বলাবলি করছিলো, হেল্পার সাহেব আপনি বিড়ি খাওয়া বাদ দিয়ে ধীর গতিতে বাস চালান, মানুষের জীবন নিয়ে মস্করা করিয়েন নাহ। কিন্তু হেলপার কিছুতেই কথা কানে তুললো না। মনে হচ্ছিল ড্রাইভারের চেয়ে হেল্পারের ব্যবহার আরো জগণ্য প্রতিমধ্যে হেল্পারের গাড়ি চালানো দেখে কয়েকজন ভিডিও করা ধরছিলো তখনই গাড়িতে থাকা আরো দুজন হেল্পার বাজে ভাবে কথা বলা শুরু করলো।

এভাবে চলত থাকলে মানুষের যাতায়াতের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। সাধারণ স্বল্প আয়ের মানুষজন বাসে চলাচল এড়িয়ে চলবে। গৌরিপুর হতে মুন্সিরহাট পর্যন্ত এই সড়কটিতে দুই আড়াইশ বাঁক রয়েছে। রাস্তার দু পাশে রয়েছে ছোট বড় পুকুর ও খাল। কিন্তু তার মধ্যে ঢাকাগামী অনেক বাস, ট্রাক এমনকি সিএনজি, অটোরিকশা ও বাইক নিয়মিত চলাচল করে এই রূটে।
এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য নিয়মিত যাতায়াতকারী অনেক যাত্রীদের মাঝে এক ধরনের আতংক সৃষ্টি হয়েছে যার কারনে ভুক্তভোগী যাত্রীগণ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, যেন প্রশাসনের দিক থেকে জৈনপুরী বাস মালিক সমিতিকে সতর্ক ও হুশিয়ারী করে দেন।

উল্লেখ্য, ৮ই জুন চাঁদপুর-মতলব পেন্নাই সড়কের যাত্রীবাহী জৈনপুরী বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শিশুসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়েছে। গতবছরও ঢাকা থেকে আসার পথে এই জৈনপুরী বাস এক্সিডেন্ট করে একজন নিহত হয়।
শুধুমাত্র অপেশাদারি ও অদক্ষ অল্প বয়সী হেল্পার দিয়ে গাড়ি চালানোর কারনে প্রতিনিয়তই হচ্ছে দূর্ঘটনা।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।