কাচ্চি ডাইনিংয়ের প্রতারণায় ভোক্তা অভিযানে জরিমানা


চাঁদপুরের কাচ্চি ডাইনিংয়ে স্বাদহীন খাবর বেশি দামে বিক্রি। পুরনো মাংস আর গরু-খাসি মিশিয়ে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা সহ নানান অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অভিযান চালায় চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নতুন উদ্বোধনকৃত কাচ্চি ডাইনিং কর্তৃপক্ষের।
ঢাকার বিখ্যাত ‘কাচ্চি ডাইন’ এর শাখার নামে চাঁদপুর শহরের মীর শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ‘কাচ্চি ডাইনিং’ নামে মাত্র ৯ দিন পূর্বে এ রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পুলিশের সদস্যরা।
তাঁদের ভাষ্য মতে, ফেসবুকে প্রচুর অভিযোগ ও ভিডিও দেখে তাঁরা তৎপর হন। অভিযানে গিয়ে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে পুরনো খাসির মাংস, মেয়াদোত্তীর্ণ বাদাম সরবত ও বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, তারা দেখতে পান খাবারে ব্যবহৃত মাংসের মাঝে গরু ও খাসি একসাথে মেশানো হয়েছে, অথচ রেস্টুরেন্টটি দাবি করে শুধু খাসি পরিবেশন করা হয়। এর ফলে রেস্টুরেন্টটিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একজন হতাশ ভোক্তার অভিজ্ঞতা যেন নাটকীয়তার চূড়ান্ত উদাহরণ। তিনি জানিয়েছেন, খাসির কাচ্চি অর্ডার করেছিলেন দুই প্লেট। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে খাবার আসে এক ঘণ্টা পর। কিন্তু প্লেট খুলতেই একটার পর একটা চুল! মাংসের সাইজ ছোট, স্বাদও ফিকে। খেতে গিয়েই বুঝতে পারেন এক পিস খাসি, আরেক পিস গরু! একই অভিজ্ঞতা হয় তাঁর টেবিলে বসা বাকি তিনজনেরও।
উপস্থিত অনেকে স্পষ্ট করে বলেন, এটা গরুর মাংস। কিন্তু রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার সেটি অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, ওয়েটারদের ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ আছে। আরও বিস্ময়কর তথ্য হলো—তাদের ভ্যাটের কোনো লাইসেন্স নেই, তবুও ৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছে, যা সরাসরি তাদের পকেটে যাচ্ছে।
এই প্রতারণা রোধে দ্রুত আরও কঠোর ব্যবস্থা চেয়েছেন ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।
আপনার মতামত লিখুন