খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩২

নানান আয়োজনে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র দুই দশক উদযাপন

বারাকাত উল্লাহ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নানান আয়োজনে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র দুই দশক উদযাপন

নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম এর দুই দশক উদযাপন করা হয়েছে। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো- চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ, কেক কাটা, বৃক্ষ বিতরণ, ফল উৎসব, সংগঠনের প্রকাশনা ‘মানচিত্র’র মোড়ক আন্মোচন ও আলোচনা সভা। শুক্রবার (৪ জুলাই) ও রোববার (৬ জুলাই) আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানগুলো সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। শুরুতে ছিলো শিশু কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিকালে শিশু কিশোর এবং লেখক ফোরাম কর্তৃপক্ষকে নিয়ে কেক কাটেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.আর.এম জাহিদ হাসান।

এ সময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় লেখক ফোরাম এক অন্যন্য নাম। সংগঠনটি বেশ কিছু অসাধারণ কাজ করেছে। সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে শিশুদের গড়ে তুলছে সংগঠনটি। মফস্বলে থেকে ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে একটি সংগঠনকে ২০ বছর ধরে রাখা অনেক কঠিন কাজ। যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া এটা সম্ভব না।’

ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র সভাপতি ফরিদ আহমেদ মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান তারু’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আফতাব আহম্মেদ ও ওয়ালীউল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সমাজসেবক হাবিবুর রহমান রুবেল, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ম. নুরে আলম পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার দত্ত।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি কে. এম নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাসান শুভ্র, রাবেয়া আক্তার, উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল মুকুল, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াছিন দেওয়ান, সদস্য ইয়াছিন পালোয়ান প্রমুখ।

২য় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় রোববার (৬ জুলাই ) সকাল ১১ টায়। সভাপতি ফরিদ আহমেদ মুন্নার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর প্রয়াত উপদেষ্টা উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এম.এ মতিন ও প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং অসুস্থ সদস্যদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি কে.এম নজরুল ইসলাম।

দোয়া অনুষ্ঠানের পর সংগঠনের নিয়মিত প্রকাশনা ‘মানচিত্র’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাঁধন কুমার শীল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. ফাহিম হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন।

সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি কে.এম নজরুল ইসলাম, বিতার্কিক ফয়সাল তাহসান, সাবেক প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবু সালেহ মো. বারাকাত।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি পাভেল আল ইমরান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আক্তার, বর্তমান কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজের শিক্ষক এমদাদ প্রমুখ।

আলোচনা শেষে হাঁড়ি ভাঙ্গা, মহিলাদের বালিশ বদল এবং শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিগণ।

এসময় সবার হাতে পরিবেশ বান্ধব গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। পরিশেষে ফল উৎসবের মাধ্যমে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পরিসমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সকল স্তরের সদস্য উপস্থিত হয়ে দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখেন।

কাচ্চি ডাইনিংয়ের প্রতারণায় ভোক্তা অভিযানে জরিমানা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
কাচ্চি ডাইনিংয়ের প্রতারণায় ভোক্তা অভিযানে জরিমানা

চাঁদপুরের কাচ্চি ডাইনিংয়ে স্বাদহীন খাবর বেশি দামে বিক্রি। পুরনো মাংস আর গরু-খাসি মিশিয়ে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা সহ নানান অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অভিযান চালায় চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নতুন উদ্বোধনকৃত কাচ্চি ডাইনিং কর্তৃপক্ষের।

ঢাকার বিখ্যাত ‘কাচ্চি ডাইন’ এর শাখার নামে চাঁদপুর শহরের মীর শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ‘কাচ্চি ডাইনিং’ নামে মাত্র ৯ দিন পূর্বে এ রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন করা হয়।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পুলিশের সদস্যরা।

তাঁদের ভাষ্য মতে, ফেসবুকে প্রচুর অভিযোগ ও ভিডিও দেখে তাঁরা তৎপর হন। অভিযানে গিয়ে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে পুরনো খাসির মাংস, মেয়াদোত্তীর্ণ বাদাম সরবত ও বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, তারা দেখতে পান খাবারে ব্যবহৃত মাংসের মাঝে গরু ও খাসি একসাথে মেশানো হয়েছে, অথচ রেস্টুরেন্টটি দাবি করে শুধু খাসি পরিবেশন করা হয়। এর ফলে রেস্টুরেন্টটিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একজন হতাশ ভোক্তার অভিজ্ঞতা যেন নাটকীয়তার চূড়ান্ত উদাহরণ। তিনি জানিয়েছেন, খাসির কাচ্চি অর্ডার করেছিলেন দুই প্লেট। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে খাবার আসে এক ঘণ্টা পর। কিন্তু প্লেট খুলতেই একটার পর একটা চুল! মাংসের সাইজ ছোট, স্বাদও ফিকে। খেতে গিয়েই বুঝতে পারেন এক পিস খাসি, আরেক পিস গরু! একই অভিজ্ঞতা হয় তাঁর টেবিলে বসা বাকি তিনজনেরও।

উপস্থিত অনেকে স্পষ্ট করে বলেন, এটা গরুর মাংস। কিন্তু রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার সেটি অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, ওয়েটারদের ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ আছে। আরও বিস্ময়কর তথ্য হলো—তাদের ভ্যাটের কোনো লাইসেন্স নেই, তবুও ৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছে, যা সরাসরি তাদের পকেটে যাচ্ছে।

এই প্রতারণা রোধে দ্রুত আরও কঠোর ব্যবস্থা চেয়েছেন ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।

‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৩ অপরাহ্ণ
‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

দেশে তারুণ্যের শক্তিকে উজ্জীবিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সমাপনী ঘোষণা করা হলেও সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উৎসবের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’- এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে উদ্যাপিত হয় তারুণ্যের উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ঐক্যের প্রকাশ ঘটানো, সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হয়েছে। উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

‘তরুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এ তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অর্জন ও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ- এই প্রত্যাশায় নতুন উদ্যমে এ আয়োজনের কার্যক্রম চলছে।

জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কমপক্ষে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী, ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৩০২ জন পুরুষসহ মোট ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-যুবক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মোট ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্টের মধ্যে শুধু নারীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ইভেন্ট ছিল দুই হাজার ৯৩১টি।

ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জেলা ক্রীড়া অফিস সারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় হতে শুরু করে, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করে অনূর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল নারীদের ৮৫৫ ম্যাচ যাতে কমপক্ষে ২৫ হাজার ৬০০ নারী অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেছেন।

‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি উদ্যোগ; যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদযাপিত হচ্ছে। তারুণ্যের উৎসবের লক্ষ্য জাতীয় ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনাকে বৃদ্ধি করা, উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।

বিগত ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি

ফরিদগঞ্জে ৩ কিলোমিটার সড়ক ৫ গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে ৩ কিলোমিটার সড়ক ৫ গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মুন্সিরহাট থেকে উভারামপুর গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ ১৬ বছর সংস্কার না হওয়ায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বালুর ট্রাক চলাচল করে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত। পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যার ফলে এলাকার পাঁচ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে খুব শিগগিরই এই সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

সরেজমিন সড়কটির মুন্সিরহাট ব্রিজ থেকে উভারামপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি মাঝার পর্যন্ত গিয়ে দেখাগেছে স্থানীয় লোকদের দুর্ভোগের চিত্র। স্থানীয় বিভিন্ন পেশা শ্রেণির লোকজন জানালেন তাদের দুর্ভোগের কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ এই সড়কটির নির্মাণ কাজ হয় ২০০৯ সালে। এরপর আর এই সড়কের কোন ধরণের সংস্কার কাজ হয়নি। সড়কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, বেশ কয়েকটি কাওমী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং মাজার শরীফ। এছাড়াও স্থানীয় মুন্সিরহাট বাজার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর, জেলা সদরের যোগাযোগের জন্য এই সড়ক অন্যতম। সড়কটি বহুবছর ধরে স্থানীয় কাইতাড়া, উভারামপুর, সমেশপুর, বাশারা ও সুরঙ্গচাল গ্রামের লোকজন ব্যবহার করে আসছে।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর বলেন, এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কোন রোগী যাত্রী নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবী জানাই।

কাইতাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুন হায়দার বলেন, এই সড়ক নির্মাণের পর সংস্কার হয়নি। কিন্তু চলাচলে যোগ্য ছিলো। কিন্তু গতে ৮ থেকে ১০ বছর স্থানীয় একাধিক বালু ব্যবসায়ীর ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। যে কারণে সামন্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার হলে ঠিকাদার এসে দেখেন পাকা সড়কের চিহ্নও নেই। যে কারণে আর কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগের সময়ে অনেক জনপ্রতিনিধি এসে কাজ করার ওয়াদা দিলেও পরে আর খোঁজ খবর নেননি।

উভারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসন সর্বপ্রথম বালুর ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। কারণ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য তারাই দায়ী। এখন নতুন করে পাকা করা হলে তাদের কারণে সড়ের অবস্থার আগের মত হবে। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে দুরের শিক্ষার্থীরা খুবই কষ্ট করে চলাচল করে।

উটতলী নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি বৃষ্টির মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য। সুস্ক মৌসুমে ধুলা-বালির কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে ময়লা প্রবেশ করে। তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সি লোকজন এই সড়কে চলাচলের কারণে এলাার্জি জাতীয় রোগে আক্রান্ত। স্থানীয়দের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সড়ক নির্মাণ খুবই জরুরি।

মুন্সিরহাট বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. কাইয়ুম বলেন, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। গত দেড় দশক এই সড়কের সংস্কার হয়নি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খুবই কষ্ট করে যাতায়াত করে। এখান দিয়ে কোন এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পাকা করার দাবী জানাই।

উভরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, মুন্সিরহাট বেইলি ব্রিজ থেকে উভারামপুর পর্যন্ত সড়কের এই বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগ হয় রোগীদের নিয়ে। আত্মীয় স্বজন করতে রাজি হয়না লোকজন।

একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা ইসমাইল তালুকদার খোকন বলেন, আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন বহুবছর অবহেলিত। আমাদের বহু দাবীর প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়কটি নির্মাণ কাজে কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আমাদের এই করুন অবস্থার কথা জানিয়েছি। আমাদের অঞ্চলের লোকদের দাবী দুর্ভোগ লাগবে সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ চাই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় সড়ক সংস্কার হয় না। ইউনিয়ন সড়কের পরে গ্রামীণ সড়কের নির্মাণ কাজ হয়। তবে এই সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাক্কলন তৈরী করে পাঠাবো। অনুমোদন এলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করা হবে।