খুঁজুন
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বিগত ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি

ফরিদগঞ্জে ৩ কিলোমিটার সড়ক ৫ গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে ৩ কিলোমিটার সড়ক ৫ গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মুন্সিরহাট থেকে উভারামপুর গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ ১৬ বছর সংস্কার না হওয়ায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বালুর ট্রাক চলাচল করে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত। পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যার ফলে এলাকার পাঁচ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে খুব শিগগিরই এই সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

সরেজমিন সড়কটির মুন্সিরহাট ব্রিজ থেকে উভারামপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি মাঝার পর্যন্ত গিয়ে দেখাগেছে স্থানীয় লোকদের দুর্ভোগের চিত্র। স্থানীয় বিভিন্ন পেশা শ্রেণির লোকজন জানালেন তাদের দুর্ভোগের কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ এই সড়কটির নির্মাণ কাজ হয় ২০০৯ সালে। এরপর আর এই সড়কের কোন ধরণের সংস্কার কাজ হয়নি। সড়কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, বেশ কয়েকটি কাওমী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং মাজার শরীফ। এছাড়াও স্থানীয় মুন্সিরহাট বাজার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর, জেলা সদরের যোগাযোগের জন্য এই সড়ক অন্যতম। সড়কটি বহুবছর ধরে স্থানীয় কাইতাড়া, উভারামপুর, সমেশপুর, বাশারা ও সুরঙ্গচাল গ্রামের লোকজন ব্যবহার করে আসছে।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর বলেন, এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কোন রোগী যাত্রী নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবী জানাই।

কাইতাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুন হায়দার বলেন, এই সড়ক নির্মাণের পর সংস্কার হয়নি। কিন্তু চলাচলে যোগ্য ছিলো। কিন্তু গতে ৮ থেকে ১০ বছর স্থানীয় একাধিক বালু ব্যবসায়ীর ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। যে কারণে সামন্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার হলে ঠিকাদার এসে দেখেন পাকা সড়কের চিহ্নও নেই। যে কারণে আর কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগের সময়ে অনেক জনপ্রতিনিধি এসে কাজ করার ওয়াদা দিলেও পরে আর খোঁজ খবর নেননি।

উভারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসন সর্বপ্রথম বালুর ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। কারণ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য তারাই দায়ী। এখন নতুন করে পাকা করা হলে তাদের কারণে সড়ের অবস্থার আগের মত হবে। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে দুরের শিক্ষার্থীরা খুবই কষ্ট করে চলাচল করে।

উটতলী নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি বৃষ্টির মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য। সুস্ক মৌসুমে ধুলা-বালির কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে ময়লা প্রবেশ করে। তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সি লোকজন এই সড়কে চলাচলের কারণে এলাার্জি জাতীয় রোগে আক্রান্ত। স্থানীয়দের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সড়ক নির্মাণ খুবই জরুরি।

মুন্সিরহাট বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. কাইয়ুম বলেন, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। গত দেড় দশক এই সড়কের সংস্কার হয়নি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খুবই কষ্ট করে যাতায়াত করে। এখান দিয়ে কোন এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পাকা করার দাবী জানাই।

উভরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, মুন্সিরহাট বেইলি ব্রিজ থেকে উভারামপুর পর্যন্ত সড়কের এই বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগ হয় রোগীদের নিয়ে। আত্মীয় স্বজন করতে রাজি হয়না লোকজন।

একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা ইসমাইল তালুকদার খোকন বলেন, আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন বহুবছর অবহেলিত। আমাদের বহু দাবীর প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়কটি নির্মাণ কাজে কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আমাদের এই করুন অবস্থার কথা জানিয়েছি। আমাদের অঞ্চলের লোকদের দাবী দুর্ভোগ লাগবে সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ চাই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় সড়ক সংস্কার হয় না। ইউনিয়ন সড়কের পরে গ্রামীণ সড়কের নির্মাণ কাজ হয়। তবে এই সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাক্কলন তৈরী করে পাঠাবো। অনুমোদন এলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করা হবে।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।