খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফরিদগঞ্জে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে মরণ ফাঁদ

মোঃ আনিছুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে মরণ ফাঁদ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত গাজীপুর-ধানুয়া সেতুর সংযোগ সড়কের বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর গাজীপুর অংশের সংযোগ সড়কের নিচের বালি সরে গিয়ে এ ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানীর পশুর হাট ও যানবাহনের বাড়তি চাপে এই ভাঙ্গন বেড়ে সেতু থেকে সড়ক আলাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি জরুরী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। যদিও উপজেলা প্রকৌশলী দ্রুত ভাঙ্গন স্থান মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর ও গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর ওপর ৬ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৯ মিটার লম্বা সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে এসে সেতুটির কাজ শেষ হয়।

দুই পাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ও সেতুর নির্মাণ শৈলির কারণে এটি দ্রুত ধানুয়ার নিকলি হাওর নামে পরিচিতি পায়। প্রতিদিন বিকালে জেলার গ-ি ছাড়িয়ে হাজারো দর্শনার্থী বিনোদনের আশায় এই সেতুটিকে বেছে নেয়। দুই ঈদসহ বিভিন্ন বড় ধরনের ছুটির সময়ে ভ্রমণ পিপাসুদের আড্ডার স্থান হিসেবে এখানো জনপ্রিয়।

কিন্তু রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এবং অপরিকল্পিত মৎস্য চাষ ও অবৈধ ড্রেজিং এর কারণে সেতু উদ্বোধনের পুর্বে সংযোগ সড়কের ধানুয়া অংশে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ওই সময়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামত করে। কিন্তু এবছর সেতুর গাজীপুর অংশের সংযোগ সড়কে বড়ো ধরনের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম, গাড়ী চালক মফিজুল ইসলাম, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল আমিনসহ আরো অনেকেই জানান, ভাঙ্গনের কারণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। দিনদিন ভাঙ্গনের পরিধি বাড়ছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে সেতু থেকে সড়ক আলাদা হয়ে যাবে। ফলে ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দা ছাড়াও সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও এই অঞ্চলের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, সেতুর দুই পাশে অপরিকল্পিত মৎস্য চাষ ও অবৈধ ড্রেজিং এর কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের নিচের বালি সরে গিয়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, ধানুয়া-গাজীপুর সেতুর পূর্ব তথা গাজীপুর অংশের সংযোগ সড়কে ধসের কথা জেনেছি। আমরা দ্রুত তা মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এর আগেও সেতুর অপর অংশে ভাঙ্গন দেখা দিলে আমরা দ্রুত মেরামত করেছি।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণ পিআইও কার্যালয়

জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এতে করে টেনেটুনেই যেন চলছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কর্মযজ্ঞ।

রোববার সকালে ওই কার্যালয়ে গেলে জনবল সংকটের এমন তথ্য উঠে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, একাই একশ’ হিসেবে হরদম কাজ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনিই এখানে সকল কাজের কাজী। যদিও তার সাথে এখানে সেতু প্রকল্পের কার্য সহকারী পদায়িত রয়েছেন।

যদিও বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এই কার্যালয়টিতে অফিস সহায়ক, ২০২৩ সাল থেকে অফিস সহকারী, ২০২২ সাল থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি শুন্য রয়েছে। যদিও অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য সহকারী ও অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।

এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে মতলব দক্ষিণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে জনবল সংকটের কারনে আমাকেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব দাপ্তরিক প্রয়োজনে একা পালন করতে হচ্ছে। পুরনো একটি ল্যাপটপে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। আমার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পের তদারকী কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া মোটরসাইকেলটিও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রকল্প মনিটরিং কাজসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মতলবে ২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচীও চলমান রয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রায়শই কোন প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে গেলে বেশিরভাগ সময়ই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।

একই সুরে কথা বললেন চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান। তিনি বলেন, শুধু মতলব দক্ষিণ নয়, আমার জেলা কার্যালয়েও জনবল সংকট রয়েছে। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকীও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমি এ কথা মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি।

চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে রোববার সকালে শিবিরের চক্ষু চিকিৎসা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন ও জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন মঞ্জু।

হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ওসমান খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান দুলাল, অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সমন্বয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শাহনেওয়াজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমীর চন্দ্র রায় ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নাজির আহমেদ সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, চোখের চিকিৎসা নিতে এসে এখানে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।

রোকন বলেন, যার চোখ নেই সে বুঝে চোখের কি মর্যাদা, এজন্যই চোখের যতœ নিতে হবে সবাই চোখ ভালো থাকলে সবই ভালো থাকবে। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক বড় নেয়ামত, এজন্য এর যতœ নেওয়া খুবই জরুরী। আমার মত এই ধরনের মানবতার সেবায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে এলাকায় আর কোন অপরাধ থাকবে না, চোখকে রক্ষা করতে হলে আপনার সন্তানকে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। আমরা যেভাবে সন্তানদেরকে মোবাইল দিয়ে রেখেছি এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে অল্পতেই চোখে সমস্যা দেখা দিবে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন বেশির ভাগই বয়স্ক। আপনার সন্তান এবং নাতি নাতনি যারা আছেন তাদেরকে মোবাইল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেই অনেক কিছু থেকে হেফাজত হবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।