খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ভাঙ্গন আতংকে পাঁচগ্রামের বাসিন্দারা

ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ, দুপাশে নেই দুই কি.মি রাস্তা

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ, দুপাশে নেই দুই কি.মি রাস্তা

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ। নদীর জলে ভেসে গেল দুপাশের দুই কিলোমিটার রাস্তা। ফসলী জমি ও বসতভিটা নিয়ে আতংকে পাঁচ গ্রামের নদীপাড়ের শত শত পরিবার। বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

চাঁদপুরের ধনাগোদা নদীর উপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বেইলি ব্রীজ। ব্রীজটি দেখলে বুঝার উপায় নেই, ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন ও গ্রামবাসীর চলাচল ছিল। ব্রীজটির দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নদীতে বিলীন।

চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর নতুন বাজার থেকে মতলব দক্ষিণের বরদিয়া আড়ং বাজারের কানুদি- বরদিয়া সড়ক ছিল এটি। রাস্তা বিলীন হওয়ার পর এখন ভাঙ্গছে নদীপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। বসতভিটার ভাঙ্গন আতংকে নদীপাড়ের মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত।

বিষ্ণুপুর গাজী বাড়ীর বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, ব্রীজ আছে, রাস্তা চলে গেছে। আমরা ৬ জনের পরিবার, একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে, তাদের নিয়ে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। রাতে কখন ভেঙে পড়ে যায়, তাই সজাগ থাকা লাগে। দিনের মাঝে ঘুমাই।

তার স্বামী আবুল বাসার বলেন, আমরা ৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করতেছি। এই পর্যন্ত আমাদের অনেক কষ্টে দিন গেছে। আমাদের এক বাড়ি ভেঙে নিয়ে গেছে আরেক বাড়ি ভাঙতেছে। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দিন বলেন, পুরানো কবরস্থান ভেঙেচুরে গেছে। এখনো আমাদের বাড়িঘর সব ভেঙে নিয়ে যাইতেছে। চারটা মসজিদ, তিনটা স্কুল। কানুদি-বহরদিয়া রোড ভেঙে যাচ্ছে। সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ চাই।

দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক ছিল এটি। এখন নৌকা আর দূরের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হলে রাস্তাটি পুনরায় সচল করার দাবী এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের এখানে রাস্তা ছিল। এখন নদীতে রাস্তা ভেঙে নিয়ে গেছে। ব্রীজটা নদীর উপরে আছে। আমাদের স্থানীয় বাঁধ দিয়ে যেন আমাদের বাড়িঘর আটকানো হয়। ব্রীজটা এখন নদীর মাঝে ভাসতেছে। রাস্তাঘাট সব ভেঙে নিয়ে গেছে নদীতে। আমরা পরিবার নিয়ে অনেক আতংকে আছি। সরকারের কাছে স্থায়ী একটা বাঁধ চাই।

পথচারী গৃহবধূ জান্নাতুন নাঈম বলেন, আগে রাস্তা ছিল, এখন রাস্তা নাই। এই কারনে আমরা অর্ধেক পথ রাস্তা দিয়ে আসছি আর অর্ধেক পথ মানুষের বাড়ি হেঁটে হেঁটে আসছি।

সোহেল প্রধানীয়া বলেন, ওইখান থেকে এইটুক পর্যন্ত ভেঙে নিছে। এখন আমরা সরকারের কাছে বাঁধ চাই। রাস্তা যতটুকু হইছিল আমরা অনেক খুশি হইছি। বেড়িবাঁধ হবে আমাদের বলছে কিন্তু এখনো হয় নাই। সরকারের কাছে আমাদের গ্রামবাসীর আবেদন দ্রুত আমাদের এই ভাঙন রক্ষা করার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেন- এটা আমাদের আকুল দাবি।

তৎকালীন সময়ে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ব্রীজটি নির্মিত হয়নি দাবী করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এখানে ২.১ কিলোমিটার একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে পাঠানো হয়। নকশা পাওয়া গেলে দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করা হবে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষ্ণুপুর এলাকায় আমরা গত বর্ষায় আমরা যে সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা ছিল এবং বিশেষ করে যেখানে কিছু স্থাপনা আছে স্কুল তারপর বাজার, মসজিদ এবং মন্দির সংলগ্ন যেই জায়গা আছে সেই জায়গাতে আমরা অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করে নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা অনেকটাই রোধ করেছি। এর পাশাপাশি আমরা এখানে একটি স্থায়ী ২.১ কিলোমিটার একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে লিখেছি, তো নকশা পাওয়া গেলে আমরা দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করবো এলাকায়।

এই রাস্তা ও চারটি ব্রীজ নির্মিত হয় ২০০৮ সালে, গেলো ৩/৪ বছর ধরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাস্তাটি। ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনের কবলে দুই উপজেলার কানুদি, মনোয়ারখাদী, বিষ্ণুপুর, লালপুর ও বরদিয়া গ্রাম।

গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফাহিম হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এসে অভিযোগকারী মো. আরাফাত হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের এবং নিয়োগকালিণ সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ খোরশেদ আলম চৌধুরীর বক্তব্য শুনেন এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

এব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যা আল মামুন জানান, তদন্তের শুরুতে আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। অভিযোগের আলোকে নিয়োগ বিধিমালা যাচাই বাছাই করে আমরা রিপোর্ট প্রদান করবো। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ১২মে যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরাফাত হোসেন গত ৪ মে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং কলেজের গভর্নিংবডির বর্তমান সভাপতি ও ফরিদঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই বছরের ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত নিয়োগ বোর্ড বর্তমান অধ্যক্ষ হরিপদ দাসকে নিয়োগ প্রদান করেন। হরিপদ দাস এরপূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগকারীর দাবি অধ্যক্ষ পদে হরিপদ দাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান এর অবৈধ হস্তক্ষেপে অবৈধ উপায়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কলেজের নামে উপজেলা পিআইও অফিস থেকে বিগত চার বছরে ৮/১০ টি আর/কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগও করা হয়।

অভিযোগ প্রাপ্তির পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদস্ত কমিটি সেই অনুযায়ী বুধবার (২১ মে ২০২৫) তদন্তের জন্য কলেজে যান।

ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা

ফেব্রুয়ারি মাসে তিনদিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় কবিতা আবৃত্তিকার, সংগীত, নৃত্য ও অভিনয় শিল্পীসহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (২১ মে ) বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম ফরহাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।

একুশে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকৃত ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান খুনজুড়ি শিল্প একাডেমির ক্ষুদে শিল্পীদের মাঝে এই সংবর্ধনা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, “আপনারা যারা অভিভাবক রয়েছেন, আপনারা যেন আপনাদের সন্তানদেরকে এমন পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারেন, যেখান গেলে তারা তাদের শুদ্ধ প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমাদের সন্তানেরা যখন বিপথে যায়, তখন এর দায়ভার আমাদের অভিভাবকদের ওপরেই যায়। কারণ, আমরা তাদেরকে তাদের উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারি না। তারা এখন মোবাইল ছাড়া কিছুই বোঝে না। এই দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তাদেরকে আমরা ভালো অ্যাক্টিভিটিস্টগুলোতে ব্যস্ত রাখতে পারি না। যদি রাখতে পারতাম, তাহলে নিশ্চয়ই তারা মোবাইলে আসক্ত হতো না। আমরা সকল অভিভাবক যদি চাই আমার সন্তান ভালো হোক। সবার সন্তান যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের দেশ উন্নত হয়ে যাবে। এজন্যই যখন আপনি আপনার সন্তানের পেছনে সময় দিবেন, আপনি কিন্তু দেশের জন্যও কাজ করছেন। সকলের ভেতরে এই বোধটুকু জেগে উঠুক, এটাই আজকের অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা থাকল।”

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফতাবুল ইসলাম, মো. অলিউল্যাহ, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ডা. ইমাম হোসেন সৌরভ, ফরিদগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের আইসিটি শিক্ষক মোবারক করিম, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমদাদুল হক, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি কেএম নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আক্তার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান তারু, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন খান, অভিভাবক নুসরাত জাহান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মোট ৩৫ জন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মী, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য এবং খুনজুড়ি শিল্প একাডেমির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দূর্গাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হাসমত আলী প্রধান

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দূর্গাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হাসমত আলী প্রধান

মতলব দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর পিতার কবর যজয়ারত করছেন হাসমত আলী প্রধান।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার হাসমত আলী প্রধান।

জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন খান গত ৫ আগষ্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ইউপি শাখা-১ ১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখের স্মারক নম্বরের জারীকৃত পরিপত্রের আলোকে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয় হাসমত আলী মেম্বার এর উপর।

পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন এর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ পাওয়ার পর ২০ মে মঙ্গলবার হাসমত আলী প্রধান প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে তার দায়িত্বভার সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বোঝে নেন।

উল্লেখ্য, তিনি দূর্গাপুর ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার। দায়িত্ব বুঝে নেবার পরের দিন ২১ মে মঙ্গলবার তার নিজ গ্রাম খালপাড় দুর্গাপুর প্রধান বাড়িতে নিজের বাবার কবর জিয়ারত করেন এবং শুকরিয়া স্বরূপ নিজ বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এবং গরীব অসহায় মানুষদের কল্যাণে তিনি সর্বদা কাজ করবেন।