খুঁজুন
বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩২

ফেনীতে বন্যা

‘স্বপ্নের ঘর ভেসে গেলো, কিছুই করতে পারলাম না’

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৮:১০ অপরাহ্ণ
‘স্বপ্নের ঘর ভেসে গেলো, কিছুই করতে পারলাম না’

বিকেল থেকেই ঘরের পাশের বন্যা রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল মুহুরী নদীর পানি। এলাকার সবাই মিলে নদীরক্ষা বাঁধের ওপর বিভিন্ন ধরনের বস্তা দিয়ে পানি গড়ানো বন্ধ করার চেষ্টা করছিলাম। পুরো বিকেলজুড়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করেছি। সন্ধ্যায় হঠাৎ দেখি আমার ঘরের পাশেই বেড়িবাঁধ ভেঙে হু হু করে গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

অবস্থা বেগতিক দেখে মা, স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয়ে রেখে আসি। সন্ধ্যার মাঝেই বাঁধভাঙা পানির তীব্র চাপে ঘরের একটি অংশ ভেঙে তলিয়ে যায়। একে একে ঘরের দেওয়াল, পিলারসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখেছি। স্বপ্নের ঘর পানির তোড়ে ভেসে যেতে থাকলেও দেখে দেখে কান্নাকাটি করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না আমার।

বুধবার বিকেলে এসব কথা বলছিলেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির আলী আশরাফ। মুহুরী নদীর পানির চাপে তার নবনির্মিত আধাপাকা ঘরটি বিলীন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতি বুধবার পর্যন্ত আরও অবনতি হয়েছে। ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া ফেনী পৌরসভার শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক এখন পর্যন্ত হাঁটুপানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। শহরের বিভিন্ন পাড়ার সড়ক, অলিতে-গলিতেও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।

বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ফেনীর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ও নদীতে পানির পরিমাণ কমলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙায় লোকালয়ে পানি বাড়ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও ছিলোনিয়া নদীরক্ষা বাঁধের ১৫টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে দুই উপজেলায় ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আরও নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বেড়িবাঁধের পরশুরামের ১০টি স্থানে এবং ফুলগাজী উপজেলার পাঁচটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এছাড়া দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে যেতে দেখা গেছে।

প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে পরশুরামে ১৫টি ও ফুলগাজীতে ১২টি গ্রাম রয়েছে। প্লাবিত এসব গ্রামের পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এদিকে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম অঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পরশুরামের পশ্চিম অলকা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেম। তিনি বলেন, ‌চব্বিশের বন্যায় আমাদের এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। এর মাঝেই আবার বন্যার কবলে পড়েছি। বাড়ির সামনের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, বীজতলা তলিয়ে গেছে। ঘরে পানি ঢুকে গেছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সর্বস্ব হারাতে বসেছি। আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থায়ী সমাধান চাই।

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, মুহুরী ও কহুয়া নদীর ১৫টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনো নদীর পানি বিপ‌দসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করলেও বাঁধভাঙা পানির চাপে লোকালয়ে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে ফেনীর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় ভারী বৃষ্টি কমলেও বুধবার দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার একাংশে এরইমধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে দেড় হাজার ব্যক্তি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। তাদের খাবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরশুরাম উপজেলা ৯৯, ফুলগাজীতে ৩২ এবং ফেনী সদর উপজেলায় ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় দুই হাজার ৫৩৭ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলায় এরইমধ্যে ত্রাণ কাজের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিসি বলেন, ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ফুলগাজী ও পরশুরামে ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ২৯ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ফুলগাজী, পরশুরামে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তার বাস্তবতা দৃশ্যমান হয়নি।

হামানকর্দি উবি’র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানান অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
হামানকর্দি উবি’র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানান অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক সদস্যদের সাথে কোন যোগাযোগ না করে নিজে মনমতো কমিটি করেন। বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে তার ভালো সর্ম্পক নেই।

অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাচারীতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে মাধ্যমিকের এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আমাদের রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে বিদ্যালয়ে এনে সারাদিন ক্লাশে বসিয়ে রেখেছেন, অথচ তিনি নিজেই বিদ্যালয়ে আসেন নি। এমনকি ওনার ইচ্ছেমতো সময়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বদনাম করেন যে, শিক্ষকরা নাকি ঠিকমতো পাঠদান করাতে পারেন না।

বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমরা ক্লাশ সিক্সে ছিলাম স্যার আমাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড দেয়ার কথা বলে ২০০ টাকা করে নিয়েছে আর এখনোও বিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেননি। আমরা যদি খেলাধুলা করতে চাই, মিজানুর রহমান স্যার আমাদেরকে খেলাধুলা করতে বারন করেন। মেয়েদের নাকি খেলাধুলা ইসলাম জায়েজ নাই, খেলাধুলা করা ইসলামে হারাম। খেলাধুলা করার জন্য ক্রীড়া সামগ্রী চাইলে তিনি বলেন ক্রীড়া সামগ্রীর বাজেট নেই। আমাদেরকে নামাজ পড়তে বললেও অথচ বিদ্যালয়ে একটি নামাজের কক্ষ নেই। টিফিন করার ব্যবস্থা নেই। সবমিলিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় চলে আমাদের বিদ্যালয়টি।

অভিযোগ সূত্রে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার আরো জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ক্লাসের মেধাবী শিক্ষার্থীকে সবার সামনে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ লেখিয়েছে তিনি।

বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর আরে শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার জানান, বছরের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়নি, পুরস্কার বিতরণ তারিখ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাদের কে হুমকি ধুমকি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের হুমকি দেয়।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও প্রধান শিক্ষকের কাছে একপ্রকার জিম্মি বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি তার ক্ষমতা অব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে শোকজ করে আবার সেই শোকজের লেটার তিনি চিরে পেলেন। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সুর দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোঃ রাসেল মিয়া ও সাইফুল ইসলাম বাবুল মৃর্ধারা বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বিশেষ করে ছাত্রীদের কে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে তার উপযুক্ত শাস্তি কামনা ও পদত্যাগ দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।