খুঁজুন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

ভাঙলো মাউশি, হচ্ছে পৃথক দুই অধিদপ্তর

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২০ অপরাহ্ণ
ভাঙলো মাউশি, হচ্ছে পৃথক দুই অধিদপ্তর

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভেঙে নতুন দুটি পৃথক অধিদপ্তর করা হচ্ছে। একটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে পৃথক করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। দুটি পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পৃথক অর্গানোগ্রাম ও কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুটি পৃথক অর্গানোগ্রাম প্রস্তুতপূর্বক মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (সরকারি মাধ্যমিক অধিদপ্তর) ও সদস্য সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-১)।

সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা/বাস্তবায়ন অনুবিভাগের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজেট)।

অফিস আদেশে কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে Rules of Business, 1996 অনুসরণপূর্বক গঠিতব্য অধিদপ্তরসমূহের কার্যতালিকা (Allocation fo Business) প্রণয়ন; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো (organogram) প্রস্তুত; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের কর্মবণ্টন প্রস্তুত; টিওএন্ডই (Table of official & Equipment) নির্ধারণ।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।