খুঁজুন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

রূপসা আহমদিয়া মাদরাসা’র আলিম শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

আনিছুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
রূপসা আহমদিয়া মাদরাসা’র আলিম শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

রূপসা আহমদিয়া মাদরাসা’র আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ, ছবক ও ইসলামিক সংস্কৃতি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে মাদারসার হল রুমে মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মইদুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রূপসা আহমদিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল পাটওয়ারী, সহকারী অধ্যাপক শরীফ হোসাইন মিয়াজী, উপজেলা যুবদলের সি.সহসভাপতি ফারুক খান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা শুধু প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া এবং শ্রেণী শিক্ষা নেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষকদের সম্মান করা, গুরুজনদের সম্মান করা, আদব শিখা এবং শিক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞানার্জন হলো প্রকৃত শিক্ষা।

আমাদের সমাজে একটি ট্রেন্ড চালু আছে বিশেষ করে মাদ্রাসা পরবা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ শেষে সকলেই কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। কিন্তু এটি সঠিক পথ নয়। যে সকল শিক্ষার্থী মাদ্রাসা লাইনে লেখাপড়া করছে, তাদের উচিত মাদ্রাসা লাইনের মাধ্যমেই তাদের লেখাপড়াটা সম্পূর্ণ করা। কারণ অসম্পূর্ণ জ্ঞানার্জন অনেক সময় ভয়ংকর হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের যদি মাদ্রাসা লাইনে পড়ার পরে জেনারেল লাইনে পড়ার ইচ্ছা হয় তবে অবশ্যই সেটা সম্ভব। আপনি ইচ্ছে করলেই একাধিক বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন।

ছেলেরা অবশ্যই আধুনিক হবে তবে, তাদেরকে ইসলামী মূল্যবোধ, শিক্ষা, ধর্মীয় আচার আচরণ এসব বিষয়ে খেয়াল রেখেই করতে হবে।

মেয়েরা যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে তার পরিবার সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। সে তার পরিবারকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে। তাদের কেউ ইসলামী শিষ্টাচার, পোশাক নির্বাচন এবং আদপের বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করছে। মাদ্রাসা পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে নিয়মিত পড়ালেখা করছেন এখন। তাই হতাশা নয়, আমরা আশাবাদী আগামীতে এদেশে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।

এর আগে মাদরাসা’র আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিযে নবীন বরণ করে নেয়া হয়। পরে ছবক অনুষ্ঠান ও ইসলামিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।