খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

মো.ইউনুছ
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা,আশপাশের ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের ময়লা আর্বজনা রাস্তার পাশে ফেলে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ওই স্থানটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু। ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কের পাশ দিয়ে পথচারীরা ও যানবাহনের যাত্রীরা ময়লার গন্ধে নাক চেপে যেতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসীর দাবি পৌর প্রশাসক এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।

পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় বর্তমানে ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১ জন সুপারভাইজার ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২৪ টি ভ্যান রয়েছে। কচুয়া পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ও খালে ফেলা হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং এলাকায় উত্তর পাশে রয়েছে কয়েকশত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল সহ বসতবাড়ি। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ন সড়কের পাশেই ময়লা আর্বজনা ফেলে স্তূপ করে রাখছে আসপাশের দোকান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

আবর্জনার স্তুপে আগুন দিয়ে পোড়ানোর সময় ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ দূষন হয়। ময়লা ও আর্বজনা দূর্গন্ধ হওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণে এলাকার লোকজন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং না করায় দুর্গন্ধে নাজেহাল বাইপাস সড়কের আশপাশের এলাকার মানুষ। ময়লার এমন গন্ধ আর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণে দৃশ্যত কোনো ভূমিকা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দরা।

কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আজিজুল জানান, আমার বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বছরের পর বছর ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে ফেলে রাখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই স্তূপের উপর ময়লা ফেলে যাচ্ছে- পৌর সভার পরিচ্ছন্নকর্মী ও হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য। এই ব্যাপরের পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পর পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা অবর্জনা সরানো ও বর্জ্য না ফেলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ময়লা অবর্জনার দুর্গন্ধে ঘুমানো যায়না। বাড়ির বাচ্ছারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাতের বেলায় দুর্গন্ধে ঘুমানো যাচ্ছেনা, খাওয়া দাওয়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেখার ও যেন কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.জাহিদ হোসাইন বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ থেকে বাতাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীর বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হয়ে থাকে। বজ্য পদার্থ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে। বর্জ্য যদি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হয় তাহলে পানির মাধ্যমে দূষিত হয়ে যেমন- কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড সহ নানান ধরনের জটিল রোগ হতে পরে।

কচুয়া পৌর সচিব মো. ফখরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে জমি খোঁজা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলার ব্যাপারে আমি অবগত নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (পৌর প্রশাসক) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন- পৌরসভার ময়লা যত্রতত্র রাস্তার পাশে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর প্রশাসককে নিয়ে শিগগির ময়লা অপসারণ ও ভবিষ্যতে আর যেন না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের ডিসি স্যারের নির্দেশনায় ডাম্পিং এর জায়গা ক্রয় করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে কয়েটি জায়গা দেখা হয়েছে। অতি শীগ্রই ডাম্পিং স্টেশন করতে পারবো। তাহলে এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।

 

শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার গ্রেফতার

শাহরাস্তি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার গ্রেফতার

শাহরাস্তির এস এস সি পরীক্ষা কেন্দ্র নং ৫, নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উওর সরবরাহ করায় হল সুপার ও দেবকরা মারগুবা ড. শহীদউল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: আজমল হককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঐ কক্ষে দায়িত্বরত সহকারী হল সুপার ও ২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঐ কেন্দ্রের সচিব আযাদ হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার এসএসসির গনিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের (এমসিকিউ) উত্তর বলে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট নিরুপম মজুমদারের নজরে আসে। তিনি শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা শিক্ষক হল সুপার আজমল হকের নাম বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। হল সুপার আজমল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। পরবতীতে শাহরাস্তি থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার (অব্যাহতি) পাওয়া অপর ২ শিক্ষকরা হলেন জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার ও আনিছুর রহমান।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিব আযাদ হোসেন জানান, অভিযুক্ত ৩ শিক্ষককে পরীক্ষার (চলতি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশরাফ খাঁন জানান, পরীক্ষায় অসুদপায় বা উওর বলে দেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

কচুয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষন ও কর্মশালা

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষন ও কর্মশালা

কচুয়ায় পানি ব্যবহারের সুষ্ঠু এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে বিএডিসির সেচ পাম্পের প্রান্তিক কৃষকদেরকে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সেচ বিভাগের কচুয়া উপজেলা বিএডিসির অফিসের আয়োজনে বাংলাদেশের পুষ্টি উদ্যোক্তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের বিষয়কের “দক্ষ সেচ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক এক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এলাকার কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশাজীবীরা। বিএডিসির চাঁদপুর জেলা সহকারী উপকৌশলী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কচুয়া বিএডিসির অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএডিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুল ইসলাম, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞরা সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি, পানি সংরক্ষণ, সেচ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংকট ও তা সমাধানের কৌশল এবং কৃষিতে পানি ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতির উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর করেছে গণিত পরীক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে তারা এই ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে কেউ আটক বা আহত নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. কবির হোসেন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রটি ছিল রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পরীক্ষা শেষে তারা কয়েকটি বেঞ্চ ও কিছু গ্লাস ভাঙচুর করেছে। কেউ আহত নেই। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭২ জন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের শনাক্ত করে তাদের পরিবারকে ডেকে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র সচিবকে বলা হয়েছে।