খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন, ১৪৩২

কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

মো.ইউনুছ
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা,আশপাশের ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের ময়লা আর্বজনা রাস্তার পাশে ফেলে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ওই স্থানটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু। ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কের পাশ দিয়ে পথচারীরা ও যানবাহনের যাত্রীরা ময়লার গন্ধে নাক চেপে যেতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসীর দাবি পৌর প্রশাসক এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।

পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় বর্তমানে ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১ জন সুপারভাইজার ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২৪ টি ভ্যান রয়েছে। কচুয়া পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ও খালে ফেলা হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং এলাকায় উত্তর পাশে রয়েছে কয়েকশত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল সহ বসতবাড়ি। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ন সড়কের পাশেই ময়লা আর্বজনা ফেলে স্তূপ করে রাখছে আসপাশের দোকান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

আবর্জনার স্তুপে আগুন দিয়ে পোড়ানোর সময় ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ দূষন হয়। ময়লা ও আর্বজনা দূর্গন্ধ হওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণে এলাকার লোকজন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং না করায় দুর্গন্ধে নাজেহাল বাইপাস সড়কের আশপাশের এলাকার মানুষ। ময়লার এমন গন্ধ আর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণে দৃশ্যত কোনো ভূমিকা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দরা।

কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আজিজুল জানান, আমার বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বছরের পর বছর ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে ফেলে রাখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই স্তূপের উপর ময়লা ফেলে যাচ্ছে- পৌর সভার পরিচ্ছন্নকর্মী ও হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য। এই ব্যাপরের পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পর পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা অবর্জনা সরানো ও বর্জ্য না ফেলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ময়লা অবর্জনার দুর্গন্ধে ঘুমানো যায়না। বাড়ির বাচ্ছারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাতের বেলায় দুর্গন্ধে ঘুমানো যাচ্ছেনা, খাওয়া দাওয়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেখার ও যেন কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.জাহিদ হোসাইন বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ থেকে বাতাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীর বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হয়ে থাকে। বজ্য পদার্থ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে। বর্জ্য যদি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হয় তাহলে পানির মাধ্যমে দূষিত হয়ে যেমন- কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড সহ নানান ধরনের জটিল রোগ হতে পরে।

কচুয়া পৌর সচিব মো. ফখরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে জমি খোঁজা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলার ব্যাপারে আমি অবগত নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (পৌর প্রশাসক) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন- পৌরসভার ময়লা যত্রতত্র রাস্তার পাশে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর প্রশাসককে নিয়ে শিগগির ময়লা অপসারণ ও ভবিষ্যতে আর যেন না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের ডিসি স্যারের নির্দেশনায় ডাম্পিং এর জায়গা ক্রয় করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে কয়েটি জায়গা দেখা হয়েছে। অতি শীগ্রই ডাম্পিং স্টেশন করতে পারবো। তাহলে এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।

 

শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আসন্ন দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

​উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিয়া হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসন এবং বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও নাজিয়া হোসেন বলেন, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ বছর শাহরাস্তি উপজেলায় মোট ১৯টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল বাসার, হাজীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ইমদাদুল হক, চাঁদপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবুল হোসাইন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী, উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ মোস্তফা কামাল, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নিখিল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমৃত মজুমদার টুটন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. কমল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র দাশ (মাধু), শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়ার সভাপতি বাবু হারাধন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণকান্ত দে।

​সভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া পূজার দিনগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

​সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

শাহরাস্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩শ’৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাত্তলা এলাকায় বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ২শ’ ৫০ পিস ইয়াবাসহ মনির হোসেন (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

অন্যদিকে শাহরাস্তি থানাধীন আয়নাতলী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ১শ’ পিস ইয়াবাসহ নুরে আলম (৪০) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা (এফআইআর নং-১১, তারিখ-১৫/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। তারা স্বল্প মূল্যে ইয়াবা কিনে বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে বিক্রি করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছিল।

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার, পিপিএম (বার)। তত্ত্বাবধানে ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ অলি উল্লাহ।

নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে ২০২৫- ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃর্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন, নবীনবরণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথমে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।

পরবর্তীতে কলেজের অডিটোরিয়ামে একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কর্নেল (অবঃ) মোঃ মতিউর রহমান, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: কামাল হোসেন স্যার, গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ আবুল কাশেম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব ওবায়দুল্লাহ হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রমিজ উদ্দীন মাস্টার, গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আলআমীন পারভেজ, গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য ইসরাফীল আলম, দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ উল্লাহ, শ্রীরায়েচর এসআইএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন সুমন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের অভিভাবকদের সরব উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। এ সময় সম্প্রতি এনটিআরসিএ থেকে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষককেও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

তারপর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সবশেষে, শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড শিক্ষকের মাধ্যমে বিশেষ ফাইল বিতরণের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।