খুঁজুন
শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ়, ১৪৩২

কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

মো.ইউনুছ
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা,আশপাশের ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের ময়লা আর্বজনা রাস্তার পাশে ফেলে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ওই স্থানটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু। ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কের পাশ দিয়ে পথচারীরা ও যানবাহনের যাত্রীরা ময়লার গন্ধে নাক চেপে যেতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসীর দাবি পৌর প্রশাসক এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।

পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় বর্তমানে ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১ জন সুপারভাইজার ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২৪ টি ভ্যান রয়েছে। কচুয়া পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ও খালে ফেলা হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং এলাকায় উত্তর পাশে রয়েছে কয়েকশত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল সহ বসতবাড়ি। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ন সড়কের পাশেই ময়লা আর্বজনা ফেলে স্তূপ করে রাখছে আসপাশের দোকান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

আবর্জনার স্তুপে আগুন দিয়ে পোড়ানোর সময় ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ দূষন হয়। ময়লা ও আর্বজনা দূর্গন্ধ হওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণে এলাকার লোকজন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং না করায় দুর্গন্ধে নাজেহাল বাইপাস সড়কের আশপাশের এলাকার মানুষ। ময়লার এমন গন্ধ আর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণে দৃশ্যত কোনো ভূমিকা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দরা।

কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আজিজুল জানান, আমার বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বছরের পর বছর ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে ফেলে রাখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই স্তূপের উপর ময়লা ফেলে যাচ্ছে- পৌর সভার পরিচ্ছন্নকর্মী ও হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য। এই ব্যাপরের পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পর পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা অবর্জনা সরানো ও বর্জ্য না ফেলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ময়লা অবর্জনার দুর্গন্ধে ঘুমানো যায়না। বাড়ির বাচ্ছারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাতের বেলায় দুর্গন্ধে ঘুমানো যাচ্ছেনা, খাওয়া দাওয়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেখার ও যেন কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.জাহিদ হোসাইন বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ থেকে বাতাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীর বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হয়ে থাকে। বজ্য পদার্থ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে। বর্জ্য যদি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হয় তাহলে পানির মাধ্যমে দূষিত হয়ে যেমন- কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড সহ নানান ধরনের জটিল রোগ হতে পরে।

কচুয়া পৌর সচিব মো. ফখরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে জমি খোঁজা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলার ব্যাপারে আমি অবগত নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (পৌর প্রশাসক) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন- পৌরসভার ময়লা যত্রতত্র রাস্তার পাশে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর প্রশাসককে নিয়ে শিগগির ময়লা অপসারণ ও ভবিষ্যতে আর যেন না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের ডিসি স্যারের নির্দেশনায় ডাম্পিং এর জায়গা ক্রয় করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে কয়েটি জায়গা দেখা হয়েছে। অতি শীগ্রই ডাম্পিং স্টেশন করতে পারবো। তাহলে এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।

 

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে।’

প্রেস সচিব শনিবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকার আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।

এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হতে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না।

সভায়, সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আলাদা বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের চারমাস পার হলেও এ নিয়ে অগ্রগতি নেই কেন সেই প্রশ্নও তোলে সংগঠনটি।

শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে খুব শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার চাহিদা মতো ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করেছে। আগামী মাস থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। এটা শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তিনি আরও বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, এটা সত্য। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী মাসের শুরু থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হবে। এবার ৫৩ লাখ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শুরু হলে দ্রুতই সুফল মিলবে।

চালের বাজারে মূল্য কমছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি খাদ্য মজুতের বর্তমান স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তবে শিগগির চালের বাজার সহনীয় হয়ে উঠবে। তবে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এমনভাবে দাম কমানো যাবে না যাতে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এরই মধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধানচাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি:নাহিদ ইসলাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি:নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‌আমরা পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি। আমরা খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি। খেলার নিয়ম বদলাতে হবে। রাজনীতির নিয়ম বদলাতে হবে ।

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারের পরই নির্বাচন। তারা বলছে বিচার দেরি হবে, কিন্তু বিচার শুরু করতে হবে। বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। যে সরকারই আসুক না কেন, এই বিচারে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে শনিবার (৫ জুলাই) বগুড়ায় পথযাত্রা ও পথসভা করে এনসিপি। সেখানে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, পৃথিবীর যা কিছুই দেওয়া হোক, সেই ক্ষতি পূরণ হবে না। আপনাদের পরিবারের সদস্যরা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, মানুষের মুক্তির জন্য শহীদ হয়েছেন, স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ফেরাউন চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। স্বৈরশাসকদের কখনো না কখনো পতন হয়। এবারও সেই ফেরাউনের পতন হয়েছে। আমরা এখন চাই, যে কারণে শহীদরা মারা গেলেন…একটা স্বাধীন দেশ যেখানে স্বৈরাচার থাকবে না, সেরকম একটা দেশ গঠন করবো। সেটার জন্য আমাদের আরও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে থাকতে চাই। গত এক বছর দেশে অনেক কিছু হয়েছে। আমরা হয়তো আপনাদের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। আরও আগেই আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। সেটা পারিনি, এজন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আজীবনের। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আপনাদের পাশে থাকার।’

জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কারের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘শহীদ পরিবার যারা আছে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। শুধু এই সরকার নয়, যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, এটা করতে হবে। এটার জন্য আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলছি। যে জুলাই ঘোষণাপত্রে এই শহীদদের কথা থাকবে, এই পরিবারগুলোর কথা থাকবে এবং সেটা সংবিধানে যুক্ত করা হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের কী কী সংস্কার লাগবে সেই কথা থাকবে। আমরা এই দুটি দাবিতে সারাদেশে পদযাত্রা করছি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, বগুড়া বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বগুড়ার নাম শুনলে তাদের কোথায় চাকরি দেওয়া হতো না। বগুড়াবাসীকে নির্বিচারে ভুয়া ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো। জুলাই গণঅভ্যুথানে বগুড়ায় পনেরর বেশি নিহত ও সাতশর বেশি আহত হয়েছেন। আমারা শুনতে পেরেছি, বগুড়া প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। জুলাই গণঅভ্যুথানের দাবি, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ ও নিরপেক্ষ আদালত।

এসময় বগুড়ার প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আপনারা নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে কাজ করবেন না।

পথসভার আগে বগুড়ায় পর্যটন মোটেলে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।