খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

মো.ইউনুছ
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা,আশপাশের ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের ময়লা আর্বজনা রাস্তার পাশে ফেলে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ওই স্থানটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু। ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কের পাশ দিয়ে পথচারীরা ও যানবাহনের যাত্রীরা ময়লার গন্ধে নাক চেপে যেতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসীর দাবি পৌর প্রশাসক এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।

পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় বর্তমানে ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১ জন সুপারভাইজার ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২৪ টি ভ্যান রয়েছে। কচুয়া পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ও খালে ফেলা হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাইপাস সড়কের কোর্টবিল্ডিং এলাকায় উত্তর পাশে রয়েছে কয়েকশত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল সহ বসতবাড়ি। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ন সড়কের পাশেই ময়লা আর্বজনা ফেলে স্তূপ করে রাখছে আসপাশের দোকান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

আবর্জনার স্তুপে আগুন দিয়ে পোড়ানোর সময় ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ দূষন হয়। ময়লা ও আর্বজনা দূর্গন্ধ হওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণে এলাকার লোকজন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং না করায় দুর্গন্ধে নাজেহাল বাইপাস সড়কের আশপাশের এলাকার মানুষ। ময়লার এমন গন্ধ আর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণে দৃশ্যত কোনো ভূমিকা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দরা।

কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আজিজুল জানান, আমার বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বছরের পর বছর ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে ফেলে রাখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই স্তূপের উপর ময়লা ফেলে যাচ্ছে- পৌর সভার পরিচ্ছন্নকর্মী ও হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য। এই ব্যাপরের পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পর পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা অবর্জনা সরানো ও বর্জ্য না ফেলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ময়লা অবর্জনার দুর্গন্ধে ঘুমানো যায়না। বাড়ির বাচ্ছারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাতের বেলায় দুর্গন্ধে ঘুমানো যাচ্ছেনা, খাওয়া দাওয়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেখার ও যেন কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.জাহিদ হোসাইন বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ থেকে বাতাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীর বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হয়ে থাকে। বজ্য পদার্থ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে। বর্জ্য যদি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হয় তাহলে পানির মাধ্যমে দূষিত হয়ে যেমন- কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড সহ নানান ধরনের জটিল রোগ হতে পরে।

কচুয়া পৌর সচিব মো. ফখরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে জমি খোঁজা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলার ব্যাপারে আমি অবগত নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (পৌর প্রশাসক) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন- পৌরসভার ময়লা যত্রতত্র রাস্তার পাশে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর প্রশাসককে নিয়ে শিগগির ময়লা অপসারণ ও ভবিষ্যতে আর যেন না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের ডিসি স্যারের নির্দেশনায় ডাম্পিং এর জায়গা ক্রয় করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে কয়েটি জায়গা দেখা হয়েছে। অতি শীগ্রই ডাম্পিং স্টেশন করতে পারবো। তাহলে এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।

 

কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা

মো. ইউনুস
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ বিষয়ক অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাকের আয়োজনে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কি রোগ হতে পারে, যেমন ডেঙ্গু, মেলেরিয়া, চিকুনবুনিয়া ঠান্ডা কাশি শাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  modc  ডাঃ  পংকজ চন্দ্র সরকার, নার্সিং সুপার ভাইজার তাসনীমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মাকসুদা ও বাসন্তী দেবনাথ,  mt  ইপি আই বোরহান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ব্রজ পোদ্দার, ব্রাকের cco অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন ও প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মা ফেরদৌসী বেগম (৬৫) এর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মরহুম আব্দুছ ছাত্তার মিয়াজির স্ত্রী, সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মমতাময়ী ‘মা’ ফেরদৌসী বেগম দীর্ঘদিন ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মরহুমার
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও নাতি নাতনি সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, বার্তা সম্পাদক মিজান লিটন ভূঁইয়া, দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শান্ত, সাংবাদিক মারুফ হোসেন,  অলিউল্লাহ মাহবুব, মরহুমার আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম।
সাংবাদিক রাজুর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেন ও জেলা সাংবাদিক ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
ওনারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় আজ মধ্যরাতের পর লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ইনশাআল্লাহ কাতার এয়ার লাইন্সের মাধ্যমে আজ মধ্যরাতের পর বা আগামীকাল সকালে উনাকে (খালেদা জিয়াকে) লন্ডনে নিয়ে যাবো। দেশ-দেশের বাইরের বেশ কিছু চিকিৎসক উনার সঙ্গে যাবেন।

তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসকেও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এদিকে, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় আসছেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

গত ২৩ নভেম্বর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন।

৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।