খুঁজুন
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নম্বর রূপসা ইউনিয়নের আমিরা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ‘খাজা ঔষধালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘ডাক্তার’ এবং ‘কবিরাজ’ বলে পরিচয় দিয়ে নারী-পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার নানা অলৌকিক সমাধান দেওয়ার দাবি করে আসছিলেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া একাধিক অভিযোগ অনুযায়ী, এই স্বঘোষিত কবিরাজ প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। রোগ নিরাময়ের নামে অসংখ্য নারী-পুরুষের সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব কথাবার্তা বলে তাদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করতেন তিনি। এই প্রতারক নানা রকম “জ্বীন তন্ত্র”, “তাবিজ”, “ভালোবাসার টান তৈরি করা” ইত্যাদি নামে চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন।

একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদক গোপনে অনুসন্ধান শুরু করেন। সংবাদকর্মীর পরিচয় গোপন রেখে, একজন সাধারণ রোগীর ভঙ্গিতে কবিরাজ মোখলেছুর রহমানের ক্লিনিকে সরাসরি গিয়ে দেখা করেন।

প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কবিরাজ জানান, রোগী অর্থাৎ প্রতিবেদকের “ভাবি” নাকি তার সঙ্গে প্রেমে পড়ে যাবে, যদি নির্দিষ্ট কিছু তাবিজ ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “৬ হাজার টাকা দিলেই জ্বীন ব্যবহারে আপনার ভাবিকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলব। এক মাসের মধ্যে গভীর রাতে সে আপনাদের ঘরে চলে আসবে এবং ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে।”

এই ধরনের বক্তব্য শুধু প্রতারণামূলক নয়, ভয়াবহ অনৈতিক এবং মানসিকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

এই সব কথোপকথন প্রতিবেদক নিজের মুঠোফোনে গোপনে ভিডিও রেকর্ড করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর কবিরাজের দালাল আশপাশের লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়। তারা তার ফোন কেড়ে নিয়ে রেকর্ড করা ভিডিওগুলো মুছে দেয়।

প্রতিবেদক যখন নিজের সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করেন, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কবিরাজের অনুসারীরা তাকে সংবাদ প্রচার না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে “ভুয়া সাংবাদিক” বলে অপবাদ দেয়।

কবিরাজের একজন দালাল (মনির করিম নামে একজন ব্যক্তি) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবেদকের একটি ভিডিও আপলোড করে অপমানজনক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে থাকে। একই সঙ্গে, কবিরাজ মোখলেছুর রহমান স্থানীয় চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনীকে ফোন করে ডেকে আনে। তারা প্রতিবেদককে হুমকি দেয় যে, সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে “চাঁদাবাজ” হিসেবে গণপিটুনি দিয়ে জনসমক্ষে অপদস্থ করা হবে।

এছাড়া, প্রতিবেদকের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এই সংকটজনক অবস্থায় প্রতিবেদক দ্রুত ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে থানার এসআই সঞ্জয় ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সাংবাদিককে উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবিরাজের ক্যাডার বাহিনী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কবিরাজ মোখলেছুর রহমান নিজেই প্রতারণার কথা স্বীকার করে। আশপাশের সাধারণ মানুষও পুলিশকে ঘটনার সত্যতা এবং সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে অবগত করেন।

ঘটনার পর ৬ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানায় ডাঃ শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা, হুমকি দেওয়া, গোপনে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলা, অপপ্রচার চালানো এবং একজন সংবাদকর্মীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এমন প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করার সাহস না পায়।

এছাড়া অনেকে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এই ধরনের ভুয়া চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও নিরাপদ রাখতে।

এই ঘটনা শুধু একজন কথিত কবিরাজের মুখোশ উন্মোচনের ঘটনা নয়, বরং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, স্বাধীন অনুসন্ধান এবং মত প্রকাশের অধিকার নিয়েও এক বড় প্রশ্ন তুলেছে। একজন পেশাদার সংবাদকর্মী যখন প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামেন, তখন তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজে থাকা এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

হাইমচরে ১২লাখ চিংড়ি রেনু জব্দ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
হাইমচরে ১২লাখ চিংড়ি রেনু জব্দ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে প্রায় ১২লাখ বাগদা চিংড়ির রেনু পোনা ধরে পাচারের সময় জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। জব্দ চিংড়ি পোনার আনুমানিক মূল্য ৪৫ লাখ টাকা। পরে এসব রেনুপোনা ডাকাতিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এসব তথ্য জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইমচর উপজেলার গরম বাজার এলাকায় কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই এলাকায় মেঘনা নদীতে ধরে আনা বাগদা চিংড়ির পোনা খুলনা ও সাতক্ষিরা পাচারের সময় জব্দ করা হয়। এক শ্রেণির অসাধু জেলে বছরের এই সময়টাতে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ছোট জাল দিয়ে বাগদা চিংড়ির রেনু পোনা ধরে সংরক্ষণ করে রাখে। পরিমানে বাড়লে ট্রাকে করে এসব পোনা চালান করে।

অভিযানে কোস্টগার্ডের চীফ পেটি অফিসার এম. শফিকুল ইসলামসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের উপস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে ড্রাম ভর্তি এসব চিংড়ি রেনু পোনা কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

সন্তানদের লেখাপড়া, সুঁই সুতা গাঁথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নারীদের: জেলা প্রশাসক

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
সন্তানদের লেখাপড়া, সুঁই সুতা গাঁথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নারীদের: জেলা প্রশাসক

চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয় সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ওয়াইডব্লিউসিএ এর সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

তিনি বলেন, কিছু কিছু গন্ডি থেকে নারীদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। নারীরাও যেন পুরুষদের মত হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারে সেদিকেও চিন্তা করতে হবে।

ডিসি বলেন, একটা সময় ছিলো নারীকে সেবাদাসী হিসেবে বলা বা ভাবা হতো। ছেলেদের পড়াশোনার সময় টাকার কোন ঘাটতি থাকে না আর মেয়েদের পড়াশোনার সময় টাকার ঘাটতি থাকে। মেয়েদের সাবলম্বী করে তুলতে বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্যে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা বানিজ্য চালু করতে হবে। ইলিশ কেন্দ্রিক অনেক ব্যবসা করা যেতে পারে।

ডিসি আরো বলেন, বাসায় বসে থাকলে নারীরা এগিয়ে যেতে পারবে না। নারীদের ঘর থেকে বের হয়ে এসে জয়ীতা হতে হবে। বেগম রোকেয়া লেখনির মাধ্যমে বুজাতে চেয়েছেন আপনাদের তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, সুঁই সুতার গাঁথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি ব্যাংকার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, নারীদেরকে আপনারা ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করেন। নারীরা আপনাদের কাছে গেলে সহায়তা করেন। আমাদের তাদের সহায়তা করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা আক্তার, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মাসুদ রানা, ফয়সাল আহমেদ বাহার প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরা আক্তার।

উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ফেরদৌসী বেগম আলোর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি পাপড়ি বর্মন। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ নারী উদ্যোক্তাসহ উপস্থিত সূধীজন।

শাহরাস্তিতে বৃটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় প্রথম সভা বয়কট

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে বৃটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় প্রথম সভা বয়কট

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজের নবাগত সভাপতির নেতৃত্বে প্রথম সভা বয়কট করেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে বৃটিশ নাগরিক নবাগত সভাপতি আনোয়ার হোসেন খোকন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়নি।

বিষয়টি জানতে চাইলে মেহের ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মুঠফোনে বলেন, নবাগত কমিটির প্রথম সভা ছিল। কিন্তু সভাটি আর হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের ১৩ জনের মধ্যে ৮ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র সভাপতিসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রথম সভার আগে সম্প্রতি বৃটিশ নাগরিককে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যের দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানা মতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।

শাহরাস্তির প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘেœ পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাবনা অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন প্রদান করার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।’

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪শে মার্চ মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওই হিসেবে গভর্নিং বডির সদস্যরা গত বছরের ৫ নভেম্বর গভর্নিং বডির সবাই এক সভায় মিলিত হন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠিত নির্বাচন কমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নতুন গভর্নিং বডি গঠনকল্পে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সম্পন্ন করতঃ গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন প্রদানের নিমিত্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। ওই সময় প্রেরিত কাগজে সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাবনা করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার।
আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া, যদু চন্দ্র শীল, মো. আবু ইউসুফ, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. ইকবাল হোসেন, সুফিয়া আক্তার ও মো. জাকির হোসেন।

জানতে চাইলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য মো. আয়াত আলী ভূঁইয়া বলেন, কলেজের স্বার্থে স্থানীয় নাগরিককে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। যাকে দেয়া হয়েছে, তিনি বৃটেন থাকেন। কলেজ কমিটির জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়ে তিন জনের নাম পাঠিয়েছি জাতীয় বিশ^ বিদ্যালয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে গোপন কারসাজিতে ওই তিনজনের বাহিরে আনোয়ার হোসেন খোকনের নাম যুক্ত হয়। তা আমরা মেনে নিতে পারি না।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন খোকনের হোয়াটস্যাপ নাম্বারে কল ও ম্যাসেজ করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে এ বিষয়ে জানতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।