খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে এমনও আছেন যাদের এখন আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বাসায় যাচ্ছেন না। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সমন্বয়কসহ সব পক্ষকেই।

বিভিন্ন সময়ে নানান মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, হাসপাতালে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হন আহতরা। আবার চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন তারা। গত ১০ মার্চ জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) স্টাফদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় ১০ জন আহত হন। ঘণ্টারও বেশি সময় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছিল। পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের মাধ্যমে সেটির সুরাহা করতে হয়েছে।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে, ডিম কিনে এনে তা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ফ্লোরে ভেঙে পিচ্ছিল করে একে অপরকে টেনে-হিঁচড়ে আনন্দ করছেন জুলাই যোদ্ধারা। আবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে মামলার আসামি হয়েছেন এমন উদাহরণও আছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, জুলাই যোদ্ধারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে পরিবার ও সমাজে ফিরে গেলে, তাদের সঙ্গে মিশলে বা কর্মে যুক্ত হলে মানসিক আঘাত কেটে যাবে। অন্যথায় এভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে পড়ে থাকলে তাদের মানসিক অবস্থার উন্নতির বদলে অবনতি হবে। দেশীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও একই মত দেন। কিন্তু আহতরা হাসপাতাল ছাড়তে নারাজ।

কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় অনেকে আর্থিক সহায়তা পাননি। আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য সরকারের করা তিনটি ক্যাটাগরি নিয়েও অসন্তুষ্ট অনেকেই। এর সহজ ও দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন না তারা। গত ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলেও এখনো আহত অনেকে এই কার্ড পাননি। যারা পেয়েছেন, তাদের কার্ডে অহরহ ভুল। এগুলোর সমাধানে দফায় দফায় ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না জুলাই যোদ্ধারা। হাসপাতালে থেকে তারা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দপ্তরগুলোতে দৌড়াতে পারেন। কিন্তু বাসায় চলে গেলে দলচ্যুত হয়ে পড়বেন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ও উদ্ভূত সমস্যাগুলো সমাধানে দেরি হবে বলে মনে করছেন তারা।

গত ৮ থেকে ১০ মার্চ যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। ১১৫ জন রোগী দেখেছেন, এর মধ্যে ২৩ জনের সার্জারি করেন।

১১ মার্চ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে ওই চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. মাহি মুকিত বলেন, ‘আন্দোলনে আহতদের যথাযথ মানসিক ট্রমার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া অনেক রোগী পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে। এভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে থাকা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে, তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।’
পরদিন (১২ মার্চ) চক্ষু হাসপাতালের ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে মাত্র এক-দুজন বাড়ি গেছেন। বাকিরা হাসপাতাল ছাড়ছেন না।
চক্ষু হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া জুলাই যোদ্ধা বাপ্পী ইসলাম বলেন, ‘প্রতি রুম থেকে কয়েকজন করে রিলিজ দিছে। কেউ তো যায়নি। তবে আমি ১৬ মার্চ চলে এসেছি।’

একই হাসপাতালে ভর্তি আরেক জুলাই যোদ্ধা মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় জরুরি কাজে নিজ বাড়ি নরসিংদী গিয়েছিলেন। পরে রিলিজ দেওয়ার কথা শুনে আর হাসপাতালে যাননি।
এর বাইরে সবাই রয়ে গেছেন হাসপাতালে। কেন যাননি? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিরুল নামের একজন বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখে দেখি। কিন্তু এটাতেও সমস্যা হয় মাঝেমধ্যে। এখন ভালো আছি। ছুটি দিয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় ধাপের টাকা দিলে চলে যাবো। ঢাকায় থাকলে তো জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যাওয়া-আসা যায়, গ্রাম থেকে আসা তো কঠিন।’

আরেকজন আহত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার তামিম মাহমুদ (১১)। সে এক চোখে দেখে, আরেক চোখে দেখে না। দুই মাস ধরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি। তাকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাচ্ছে না।

তার বাবা নুরুদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলেটা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। আমাকে হাসপাতাল ছাড়তে হলে আগে বোঝাতে হবে- এখানে কী চিকিৎসা পেয়েছে? সিএমএইচে দেড় মাস, চক্ষুতে দুই মাস। অথচ সন্তোষজনক চিকিৎসা পাইনি। তার রগে বুলেট আছে এখনো। কেউ বের করতে রাজি না। বাংলাদেশের এরা পারবে না। তাহলে বিদেশ পাঠান। তাও করছে না।’

নুরুদ্দিন আরো বলেন, ‘আপনি আমাকে রিলিজ দিয়ে দিবেন, আপনি কি আমায় ডেকে আনছেন? আমার চিকিৎসার বুঝ না পাইলে যাবো না। বুঝিয়ে দিতে হবে। হেলথ কার্ড ও সহায়তা হলেই তো হবে না, উন্নত চিকিৎসা লাগবে।’

১২ মার্চ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে আমরা তাদের ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। অনেককে ছুটি দিয়েছি। ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে থাকার দরকার যাদের অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু তারা মনে করছে, এখানে থাকলে আমার চোখ লাল হলে, পানি পড়লে, ফুলে গেলে বা যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে, সঠিক চিকিৎসা পাবো। এজন্য থাকে। আমরা সব মেডিকেল কলেজকে বলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ ধরনের চিকিৎসা যাতে তারা দেয়। আর অপারেশনের প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে পাঠাবে। এর বাইরেও আরেকটা বিষয় আছে, তারা মনে করে এখানে থাকলে সরকারের বা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সুযোগ-সুবিধাগুলো সরাসরি পাওয়া যায়। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি, সরকারি-বেসরকারি সব সুযোগ-সুবিধা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জেলাভিত্তিক দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছি। এটি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সময় লাগবে।’

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল বলেন, ‘রোগীরাও বোঝে, তাদের যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার বেশি কিছু করার নেই। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে চায়, পুনর্বাসন। অনেকে মুখে বলে, অনেকে বলে না, তবে আকার ইঙ্গিতে বোঝা যায়। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি, এখন পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।’
জানা গেছে, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি আছে ১২৬ জন। কিন্তু এক বিছানায় দুজন থেকে বা নানাভাবে ১৫০ থেকে ২০০ জন অবস্থান করেন।

একই চিত্র পাশের জাতীয অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের। সেখানেও ভর্তি আছেন ১০৭ জন। কিন্তু ২০০’র বেশি রোগী নানান সময়ে অবস্থান করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের সবার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। এমন আহতদের হাসপাতাল ছাড়তে বললেও রাজি হচ্ছে না।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘এরা আসলে পরিপূর্ণ সুস্থ নয়। তবে সবার হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়। আমি মনে করি, যাদের হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়, তারা প্রয়োজনে ১৫ দিন বা এক মাস পরপর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বা ফলোআপ করবে। তারা পরিবারের সঙ্গে থাকলে জুলাই আন্দোলনের বিভীষিকায় পড়ে যে ট্রমা হয়েছে, এটার মানসিক উন্নতি হবে। চিন্তা-ভাবনা স্বাভাবিক হবে।’

ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০-২৫ জন আছে যাদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। আমরা তাদের সরাসরি তালিকা করে ছুটি দেইনি। এর আগে ছুটি দিয়েছিলাম, পরে আবার চলে আসছে। ফোর্স করে ছুটি দিলেই তো হবে না। কাউন্সিলিং করার চেষ্টা করছি। তাদের বুঝিয়ে রাজি করে বাড়ি পাঠাতে হবে। কারণ, এখানে গত ১০ তারিখ যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা (মারামারি) ঘটেছে। তাই, বুঝের মধ্যে সব করার চেষ্টা করছি।’

হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা তামিম খানও এ বিষয়ে একমত যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়া জুলাই যোদ্ধাদের মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পরিবার ও সমাজে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ চক্ষু হাসপাতাল থেকে ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। ৩১ জনই হাসপাতালে থেকে গেছে। তারা যাবে না। এটার মূল কারণ হচ্ছে, চক্ষু ও অর্থপেডিক হাসপাতালে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই আর্থিক সহযোগিতার একটা অংশ এই রোগীরা পায়। যার কারণে তারা হাসপাতাল ছাড়তে চাইছে না। এটা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। আমরা অনেক চেষ্টা করছি, তাদের বোঝাতে। তারা কোনো কথা শোনে না, বরং মারতে আসে। তাদের সুবিধার জন্য আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি, হাসপাতালে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছি। সব ধরনের সহযোগিতা জেলাভিত্তিক আমরা পৌঁছে দেব।’

চক্ষু হাসপাতালে ২০০ রোগী এবং অর্থপেডিকে তারও বেশি অবস্থান করছে উল্লেখ করে তামিম খান জানান, এমনিতেই তো তারা ট্রমাটাইজড। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার ফলে তাদের আরও মানসিক অসুস্থতা তৈরি হচ্ছে। পরিবার থেকে দূরে। মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। হাসপাতাল তো থাকার জায়গা নয়। ওখানে সুস্থ মানুষ থাকলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। মেডিসিনের গন্ধ ও প্রভাব আছে। প্রত্যেক দিন নানা ধরনের রোগী দেখছে। বাসায় চলে গেলে বরং পরিবার ও সমাজের সঙ্গে মিশে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

এর বাইরে সিআরপি, সিএমএইচ ও নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে গণঅভ্যুত্থানে আহত কিছু রোগী আছে। তবে সেসব হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি এবং প্রয়োজনেই তারা সেখানে থাকছেন।

তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মতলব দক্ষিণ উপজেলার একঝাঁক তরুনদের আয়োজনে মতলব টিভি কাপ মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মতলব নিয়ে হোস্টেল মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ফাইনাল খেলায় ব্যাচ ২০২৪ দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্যাচ ২০২৩ বিজয় লাভ করে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে ও মতলব মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্ট কমিটির আয়োজক তানভীর আহমেদ হৃদয়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক প্রথম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব আশরাফুর রহমান বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।

উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. তোফাজ্জল হোসেন লিটন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবদল নেতা আমির খান, মতলব পৌর বিএনপি নেতা কায়েস প্রধান, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম শিপলু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম লিংকন, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রধান, ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য (ছাত্র প্রতিনিধি) মোঃ ফয়সাল খন্দকার, আমিনুল ইসলাম সাব্বির, অনিক খান ও ছাত্রনেতা মোল্লা মাহিন প্রমূখ

পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

আনিসুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জীবিকার টানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে চাকুরি করে এদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ। বাড়িতে একমাত্র ভাই থাকলেও তিনিও শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকেও দেখভাল করার কেউ নেই। ফলে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখশোনা করার জন্য তিনি ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়িতে আসার পর পৈত্রিক সম্পত্তি কাগজপত্র হালনাগাদও করেছেন। তারপরও তার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি নিজের পৈত্রিক ভুমির উপর নিজেই মালিকানা সত্ত্ব নিশ্চিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপাসা বাজারের।

সাইনবোর্ড লাগানোর কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী আরিফুর রহমান বলেন, রূপসা মৌজার সিএস ওয়ারিশ সূত্রে মালিক শর্তে বি এস ফাইনাল হওয়ার পরেও নিজেদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত শঙ্কায় আমি আমার পরিবারের পক্ষে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজারে সংলগ্ন ভূইয়া বাড়ির সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।
তিনি জানান, তার পিতা নূর মিয়া ও তার দুই ভাই মালিক হন ২৭ শতক জমির। সেই অনুযায়ী ১৪০ নং রূপসা মৌজার সিএস ৮ নং খতিয়ানে দাগ ১৭১৩ আর এস ২৩ খতিয়ান এবং বিএস চূড়ান্ত ৩১৪১ দাগে খারিজি ৩৪৪৩ তার পিতা নূর মিয়া মালিক হন ৯ শতক জমির। এর মধ্যে দুই শতক জমি বিক্রি করার পরে অবশিষ্ট ৭ শতক জমির সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে। ওই জমির আমি খারিজ সম্পন্ন করে নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করছি। এবার দেশে আসার পর জেনেছি আমার চাচাতো ভাই গোলাম মাওলার ওয়ারিশরা হিস্যার বাইরে গিয়ে আমার অর্বতমানে আমাদের সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। যা আইনগত ভাবে সঠিক নয়।

আরিফুর রহমানের নিকাটাত্মীয় রবিউল ইমাম বাবু জানান, আরিফুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই যেন একজন প্রবাসী দেশে না থাকার সুযোগে নিজের জন্মভূমিতে নিজের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাই কাম্য।

বর্তমান এই জমির মালিকানা দাবি করা আশরাফুল আলম ও মাওলানা মোস্তফা কাজী জানান, তারা ওই জমি ক্রয় সূত্রে মালিক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল আলম ও মোস্তফা কাজী মালিকানা স্বত্ত্বাবিহীন কাগজপত্র দিয়ে জমি ক্রয়ের কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

আরিফুর রহমানের ভাতিজা মৃত গোলাম মাওলার ওয়ারিশ গোলাম মাহমুদ গংদের না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব উত্তর উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে মাদক বিরোধী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ঠেটালীয়া এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহমান (৩৯) এবং মোঃ ইউসুফ সাইদ (৪৭) কে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তির নিকট হতে ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ১ টি মোবাইল এবং ১৫০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্ধার কৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত ব্যক্তিদেরকে মতলব উত্তর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।