খুঁজুন
সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে এমনও আছেন যাদের এখন আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বাসায় যাচ্ছেন না। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সমন্বয়কসহ সব পক্ষকেই।

বিভিন্ন সময়ে নানান মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, হাসপাতালে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হন আহতরা। আবার চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন তারা। গত ১০ মার্চ জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) স্টাফদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় ১০ জন আহত হন। ঘণ্টারও বেশি সময় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছিল। পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের মাধ্যমে সেটির সুরাহা করতে হয়েছে।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে, ডিম কিনে এনে তা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ফ্লোরে ভেঙে পিচ্ছিল করে একে অপরকে টেনে-হিঁচড়ে আনন্দ করছেন জুলাই যোদ্ধারা। আবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে মামলার আসামি হয়েছেন এমন উদাহরণও আছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, জুলাই যোদ্ধারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে পরিবার ও সমাজে ফিরে গেলে, তাদের সঙ্গে মিশলে বা কর্মে যুক্ত হলে মানসিক আঘাত কেটে যাবে। অন্যথায় এভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে পড়ে থাকলে তাদের মানসিক অবস্থার উন্নতির বদলে অবনতি হবে। দেশীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও একই মত দেন। কিন্তু আহতরা হাসপাতাল ছাড়তে নারাজ।

কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় অনেকে আর্থিক সহায়তা পাননি। আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য সরকারের করা তিনটি ক্যাটাগরি নিয়েও অসন্তুষ্ট অনেকেই। এর সহজ ও দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন না তারা। গত ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলেও এখনো আহত অনেকে এই কার্ড পাননি। যারা পেয়েছেন, তাদের কার্ডে অহরহ ভুল। এগুলোর সমাধানে দফায় দফায় ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না জুলাই যোদ্ধারা। হাসপাতালে থেকে তারা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দপ্তরগুলোতে দৌড়াতে পারেন। কিন্তু বাসায় চলে গেলে দলচ্যুত হয়ে পড়বেন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ও উদ্ভূত সমস্যাগুলো সমাধানে দেরি হবে বলে মনে করছেন তারা।

গত ৮ থেকে ১০ মার্চ যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। ১১৫ জন রোগী দেখেছেন, এর মধ্যে ২৩ জনের সার্জারি করেন।

১১ মার্চ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে ওই চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. মাহি মুকিত বলেন, ‘আন্দোলনে আহতদের যথাযথ মানসিক ট্রমার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া অনেক রোগী পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে। এভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে থাকা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে, তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।’
পরদিন (১২ মার্চ) চক্ষু হাসপাতালের ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে মাত্র এক-দুজন বাড়ি গেছেন। বাকিরা হাসপাতাল ছাড়ছেন না।
চক্ষু হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া জুলাই যোদ্ধা বাপ্পী ইসলাম বলেন, ‘প্রতি রুম থেকে কয়েকজন করে রিলিজ দিছে। কেউ তো যায়নি। তবে আমি ১৬ মার্চ চলে এসেছি।’

একই হাসপাতালে ভর্তি আরেক জুলাই যোদ্ধা মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় জরুরি কাজে নিজ বাড়ি নরসিংদী গিয়েছিলেন। পরে রিলিজ দেওয়ার কথা শুনে আর হাসপাতালে যাননি।
এর বাইরে সবাই রয়ে গেছেন হাসপাতালে। কেন যাননি? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিরুল নামের একজন বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখে দেখি। কিন্তু এটাতেও সমস্যা হয় মাঝেমধ্যে। এখন ভালো আছি। ছুটি দিয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় ধাপের টাকা দিলে চলে যাবো। ঢাকায় থাকলে তো জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যাওয়া-আসা যায়, গ্রাম থেকে আসা তো কঠিন।’

আরেকজন আহত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার তামিম মাহমুদ (১১)। সে এক চোখে দেখে, আরেক চোখে দেখে না। দুই মাস ধরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি। তাকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাচ্ছে না।

তার বাবা নুরুদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলেটা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। আমাকে হাসপাতাল ছাড়তে হলে আগে বোঝাতে হবে- এখানে কী চিকিৎসা পেয়েছে? সিএমএইচে দেড় মাস, চক্ষুতে দুই মাস। অথচ সন্তোষজনক চিকিৎসা পাইনি। তার রগে বুলেট আছে এখনো। কেউ বের করতে রাজি না। বাংলাদেশের এরা পারবে না। তাহলে বিদেশ পাঠান। তাও করছে না।’

নুরুদ্দিন আরো বলেন, ‘আপনি আমাকে রিলিজ দিয়ে দিবেন, আপনি কি আমায় ডেকে আনছেন? আমার চিকিৎসার বুঝ না পাইলে যাবো না। বুঝিয়ে দিতে হবে। হেলথ কার্ড ও সহায়তা হলেই তো হবে না, উন্নত চিকিৎসা লাগবে।’

১২ মার্চ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে আমরা তাদের ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। অনেককে ছুটি দিয়েছি। ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে থাকার দরকার যাদের অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু তারা মনে করছে, এখানে থাকলে আমার চোখ লাল হলে, পানি পড়লে, ফুলে গেলে বা যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে, সঠিক চিকিৎসা পাবো। এজন্য থাকে। আমরা সব মেডিকেল কলেজকে বলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ ধরনের চিকিৎসা যাতে তারা দেয়। আর অপারেশনের প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে পাঠাবে। এর বাইরেও আরেকটা বিষয় আছে, তারা মনে করে এখানে থাকলে সরকারের বা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সুযোগ-সুবিধাগুলো সরাসরি পাওয়া যায়। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি, সরকারি-বেসরকারি সব সুযোগ-সুবিধা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জেলাভিত্তিক দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছি। এটি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সময় লাগবে।’

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল বলেন, ‘রোগীরাও বোঝে, তাদের যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার বেশি কিছু করার নেই। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে চায়, পুনর্বাসন। অনেকে মুখে বলে, অনেকে বলে না, তবে আকার ইঙ্গিতে বোঝা যায়। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি, এখন পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।’
জানা গেছে, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি আছে ১২৬ জন। কিন্তু এক বিছানায় দুজন থেকে বা নানাভাবে ১৫০ থেকে ২০০ জন অবস্থান করেন।

একই চিত্র পাশের জাতীয অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের। সেখানেও ভর্তি আছেন ১০৭ জন। কিন্তু ২০০’র বেশি রোগী নানান সময়ে অবস্থান করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের সবার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। এমন আহতদের হাসপাতাল ছাড়তে বললেও রাজি হচ্ছে না।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘এরা আসলে পরিপূর্ণ সুস্থ নয়। তবে সবার হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়। আমি মনে করি, যাদের হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়, তারা প্রয়োজনে ১৫ দিন বা এক মাস পরপর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বা ফলোআপ করবে। তারা পরিবারের সঙ্গে থাকলে জুলাই আন্দোলনের বিভীষিকায় পড়ে যে ট্রমা হয়েছে, এটার মানসিক উন্নতি হবে। চিন্তা-ভাবনা স্বাভাবিক হবে।’

ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০-২৫ জন আছে যাদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। আমরা তাদের সরাসরি তালিকা করে ছুটি দেইনি। এর আগে ছুটি দিয়েছিলাম, পরে আবার চলে আসছে। ফোর্স করে ছুটি দিলেই তো হবে না। কাউন্সিলিং করার চেষ্টা করছি। তাদের বুঝিয়ে রাজি করে বাড়ি পাঠাতে হবে। কারণ, এখানে গত ১০ তারিখ যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা (মারামারি) ঘটেছে। তাই, বুঝের মধ্যে সব করার চেষ্টা করছি।’

হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা তামিম খানও এ বিষয়ে একমত যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়া জুলাই যোদ্ধাদের মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পরিবার ও সমাজে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ চক্ষু হাসপাতাল থেকে ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। ৩১ জনই হাসপাতালে থেকে গেছে। তারা যাবে না। এটার মূল কারণ হচ্ছে, চক্ষু ও অর্থপেডিক হাসপাতালে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই আর্থিক সহযোগিতার একটা অংশ এই রোগীরা পায়। যার কারণে তারা হাসপাতাল ছাড়তে চাইছে না। এটা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। আমরা অনেক চেষ্টা করছি, তাদের বোঝাতে। তারা কোনো কথা শোনে না, বরং মারতে আসে। তাদের সুবিধার জন্য আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি, হাসপাতালে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছি। সব ধরনের সহযোগিতা জেলাভিত্তিক আমরা পৌঁছে দেব।’

চক্ষু হাসপাতালে ২০০ রোগী এবং অর্থপেডিকে তারও বেশি অবস্থান করছে উল্লেখ করে তামিম খান জানান, এমনিতেই তো তারা ট্রমাটাইজড। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার ফলে তাদের আরও মানসিক অসুস্থতা তৈরি হচ্ছে। পরিবার থেকে দূরে। মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। হাসপাতাল তো থাকার জায়গা নয়। ওখানে সুস্থ মানুষ থাকলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। মেডিসিনের গন্ধ ও প্রভাব আছে। প্রত্যেক দিন নানা ধরনের রোগী দেখছে। বাসায় চলে গেলে বরং পরিবার ও সমাজের সঙ্গে মিশে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

এর বাইরে সিআরপি, সিএমএইচ ও নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে গণঅভ্যুত্থানে আহত কিছু রোগী আছে। তবে সেসব হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি এবং প্রয়োজনেই তারা সেখানে থাকছেন।

আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিল (বিআরসি)কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫) বিকেলে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ৬ মাস। বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের আহবায়ক করা হয়েছে টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি নিম্নরূপ : আহ্বায়ক চ্যানেল এস-এর জয়েন্ট নিউজ এডিটর টিএই এম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

যুগ্ম-আহবায়ক : দি ডেইলী স্টেটের সম্পাদক রফিক উল্লাহ্ সিকদার, অর্থনীতির ৩০দিনের সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, অর্থধারার নির্বাহী সম্পাদক জাহিদ আহমদ চৌধুরী বিপুল, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমসের প্রধান সম্পাদক মো: ওমর ফারুক জালাল, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার লায়লা ফেরদৌসী শোহেলী,  ক্রাইম নিউজ গবেষকের হারুন আল কবির নিক্সন, দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণের সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল সেতু, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার নার্গিস জুঁই, খিলগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএইচ পাপ্পু চৌধুরী, আজকের প্রভাতের সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, সদস্য সচিব অপরাধ অনুসন্ধানের সিনিয়র রিপোর্টার মো: বিল্লাল হোসেন, অর্থ-সচিব বাংলা টাইমসের বার্তা সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

সদস্যরা হলেন : নেক্সাস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি তালাত মাহমুদ, একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মানিক সিকদার, সিআইএস-এর চীফ ক্রাইম রিপোর্টার এফএইচঅপু, রূপান্তর সংবাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এস এম মেহেদী,  সময়ের বাংলাদেশের শরীফ মোহাম্মদ মাসুম, জিটুফোর সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, বিডি টাইমস নিউজের সম্পাদক নোমান রহমান, সাপ্তাহিক আমাদের অধিকারের সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন,  ডেইলী রূপসী বাংলার সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, সোনালী খবরের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিয়া, নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভয়েজ এশিয়া ডট কম-এর বার্তা সম্পাদক মো. সাজেদুল হক (ডিউক), বার্তা প্রবাহ যুগ্ম-সম্পাদক  মো. সালাহ উদ্দিন (সালেহ বিপ্লব), বাংলা নিউজ ২৪.কম রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন বাদল, দৈনিক নতুন আশার সম্পাদক আকাশ মিয়াজী, ডেইলী অবজারভার-এর স্টাফ রিপোর্টার তানভির রায়হান, ডেইলী পোস্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার আল-ইহসান, দি৷ ডেইলী আর্থ-এর সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ সাজিদ, দৈনিক মুক্তখবর রিপোর্টার আহমদ আলী, দৈনিক গণকন্ঠ-এর সি: রিপোর্টার মো. সিকান্দর আলী, সময় নিউজ বিডির সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, বিজনেস আই বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক এসএম ফয়সল আহমদ, দৈনিক রূপালীর সিনিয়র রিপোর্টার এম আতাউর রহমান, দৈনিক আমাদের বাংলার সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, চ্যানেল এস-এর নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু , এটিএন নিউজ-এর রিপোর্টার মো. মাহবুবুল হক মাহবুব, বাংলা নিউজ বিডি-এর এসএম শাহ্ জালাল, দৈনিক নতুন আশা-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. এ কে ফজলুল হক (সুমন), দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির সিনিয়র রিপোর্টার নাহিদা আক্তার পপি, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কালাম আজাদ, বিএসআর-এর আনিসুর রহমান আনিস, সকালের সময়-এর স্টাফ রিপোর্টার মিরাজ ইসলাম, চ্যানেল এস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির আহমদ জীবন, চ্যানেল এস  কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু বক্কর, সিআইএস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির হোসাইন, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সাব-এডিটর সেলিনা আক্তার ইতি, এস এম মিডিয়ার পরিচালক সঞ্জয় মোদক, ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মো.  রাজন মাদবর।

সংগঠনটির লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত মান উন্নয়ন, এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা। নতুন কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা শীঘ্রই সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও পেশাগত নীতিমালার উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের সাংবাদিক সমাজ আরও সুসংগঠিত হবে এবং নীতিগতভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীকে বিদায় বা স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ দুইজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন।

যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় আগত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বেবিচক।

হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ জনে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন নামের আরও একজন মারা গিয়েছে। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

মাকিনের বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে ছোট মাকিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা এলাকায় জানাজার পর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।