খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করলেন সদর ইউএনও জামিউল হিকমা

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করলেন সদর ইউএনও জামিউল হিকমা

চাঁদপুর সদর উপজেলা ইউএনও এস.এম.এন জামিউল হিকমা ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ও ভুমি অফিস সশরীরে পরিদর্শন করেন।

এসময় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের প্রতিটি কক্ষ, ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের কে দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি। দীর্ঘক্ষন বসে ছিলেন তার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এসময় তিনি ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সচেতন নাগরিকদের কাছ থেকে বিষয় বস্তু গুনেন।

ইউপি সচিব হালিমা আক্তারের সার্বিক প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ইউপি সদস্যগন সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপস্থিত সকলে বলেন, এই ইউনিয়নটি একটি মাদক সয়লাব, কিশোরগ্যাং সহ এগুলোর প্রতিকার চেয়ে আগামীতে আমরা আমাদের এ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নটি মাদক মুক্ত চাই।

এসময় তারা আরো বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কাঁচা রাস্তা, টিউবওয়েল এর অভাবে পানি পান না করা। এই কাজ গুলো হয়ে গেলেই আমরা সবাই ভালোভাবে বসবাস করতে পারবো।

পরে ইউনিয়ন ভুমি অফিস পরিদর্শন কালে এস.এম.এন জামিউল হিকমাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হালিমা আক্তার, ভূমি কর্মকর্তা আছমা খাতুন, ইউপি সদস্য হিসাব সহকারি মহসিন হাওলাদার, ইউনিয়ন ভুমি অফিস সহকারী শাহীন পাটোয়ারী ও গ্রাম পুলিশের সদস্যগণ ফুলেল শুভেচছা জানান।

সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ কাজি, মোঃ আবু তাহের, সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি বারেক হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেনসহ ইউনিয়ন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী আন্দোলনের নেতবৃন্দগন।

হাজীগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

মো. ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

oplus_4194304

হাজীগঞ্জে অননুমোদিতভাবে সার ও কীটনাশক বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাবেদ হোসেন চৌধুরী।

অভিযানকালে মেসার্স পূবালী ট্রেডার্স ও মেসার্স জামাল ব্রাদার্স নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহায়তা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামাল আহমেদ, হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের এএসআই মনির হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাবেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়া সার ও কীটনাশক বিক্রি করা যাবে না। কৃষকদের স্বার্থে এবং বাজারে সঠিক মূল্য ও গুণগতমান নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ বলেন, যেসব ব্যবসায়ীর সার বিক্রির অনুমতি নেই, তারা যেন বিক্রি না করে। অননুমোদিত ব্যবসা থেকে বিরত থেকে কৃষকদের নিকট নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করতে হবে।

টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন-২০২৫

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন-২০২৫

চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও ডব্লিউএইচও এর আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মঙ্গলবার মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

এসময় মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ মোহাম্মদ গোলাম রায়হান, (এসআইএমও ডব্লিএইচও) ডাঃ মালিহা পারভীন, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট (ইনচার্জ) মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম সবুজসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন টিমকে সহযোগিতা করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার এমটি ইপিআই (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নয়ন সরকার।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম-২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুরে গত ১২ অক্টোবর চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজে উদ্বোধন হয়। ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে) ১৮ কর্ম দিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান প্রদানে ৮ লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী হচ্ছে ৫ লাখ ৪১হাজার ৮শ’৪৪জন। ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২লাখ ৬৩ হাজার ৪শ’ ১জন। ইতোমধ্যে ৪১ ভাগ শিশুর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।এছাড়াও টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩হাজার ৭শ’ ৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২হাজার ৪শ’ ২৪টি। টিকাদানকারী টিমের সংখ্যা ৩শ’ ১৩টি। সর্বমোট টিকা প্রদানকারী ৬শ’ ১৬জন এবং স্বেচ্ছাসেবী ৯শ’ ১৯জন। সর্বমোট প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩শ’ ৩জন।

বর্ষার পরিকল্পনা জোবায়েদকে খুন করে মাহির, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই: পুলিশ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
বর্ষার পরিকল্পনা জোবায়েদকে খুন করে মাহির, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই: পুলিশ

রাজধানীর পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যার নেপথ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। পুলিশ জানিয়েছে, জোবায়েদের ছাত্রী ও প্রেমিকা শবনম বর্ষা নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায়, আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তার আরেক প্রেমিক মাহির ও তার বন্ধু আইলান। আর এ ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশ মিল রয়েছে। বর্ষা দুজনের কারো কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলো না। ফলে সে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েদ পুরান ঢাকার বংশাল থানার নুরবক্স লেনের একটি বাসায় ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে হত্যার শিকার হন। নিহত জোবায়েদ বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকা বর্ষা একই সময়ে মাহির ও তার জোবায়েদেরে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলো। ত্রিভূজ প্রেম থেকে বের হতে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায় বর্ষা। এই ঘটনায় ছাত্রী বর্ষা তার প্রথম প্রেমিক মো. মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা একই সময়ে তার গৃহ শিক্ষক জোবায়েদ ও মাহিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলো। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বর্ষার প্রথম প্রেমিক মাহির বিষয়টি নিয়ে বর্ষাকে চাপ প্রয়োগ করলে সেদিনই গৃহশিক্ষক জোবায়েদ কে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। পরবর্তীতে মাহির ও তার বন্ধু আইলান মিলে চাকু কিনে গত ১৯ অক্টোবর বর্ষার বাসায় অবস্থান নেয়। আর বর্ষা তার শিক্ষক ও প্রেমিক জোবায়েদকে ডেকে আনেন। এরপরই বর্ষার বাসার সিড়ি রুমে জোবায়েদকে বলা হয় বর্ষার থেকে সরে আসতে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে জোবায়েদকে গলায় পোচ দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় তাদের তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা তদন্তে পেয়েছি মাহির একই বাসায় ভাড়া থাকতো। মাহির ও বর্ষার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তবে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে দেড় বছর আগে। নিহত জোবায়েদ এক বছর ধরে বর্ষাকে পড়াতো। মেয়েটা জোবায়েদেরে প্রতি দূর্বল হয়ে যায়। মেয়েটার অবস্থা ছিলো এমন যে সে যখন যার কাছে যেতো তার কথা বলতো। এমন অবস্থায় মাহিরকে তার প্রেমিকা বর্ষা বলেছে জোবায়েদকে না সরাতে পারলে আমি তোমার হতে পারবো না। এভাবেই তারা জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। মাহিরের এক আঘাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় জোবায়েদের।

মাহিরকে তার মা থানায় হস্তান্তরের বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের নানা ধরনের কৌশল থাকে। আগে চট্টগ্রামের রাউজানে নিয়মিত শিক্ষার্থী অপহরণ করতো, মুক্তিপণ আদায় করতো। আমরা তখন অপহরণকারীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে তাদের ব্যবহার করে সমোঝতার চেষ্টা করতাম। ঠিক এভাবেই আমরা মাহিরকে থানায় দিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেছি। এটা আমাদের কৌশলের অংশ। স্বেচ্ছায় থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যার বিষয়টি পুরো পরিকল্পনা বর্ষার। বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশ মিল রয়েছে। মেয়েটা দুজনের কারো কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলো না। ফলে সে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায়। হত্যার পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিলো কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মাহির ও বর্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর হত্যার পরিকল্পনা করে। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই। এটা ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা।

প্রসঙ্গত, জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায় কৃষ্ণপুর গ্রামে। গতকাল জোবায়েদকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।