খুঁজুন
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ়, ১৪৩২

পুরান ঢাকায় হত্যার পর লাশ ঘিরে প্রকাশ্যে উল্লাস, সব আসামি শনাক্ত

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:১০ অপরাহ্ণ
পুরান ঢাকায় হত্যার পর লাশ ঘিরে প্রকাশ্যে উল্লাস, সব আসামি শনাক্ত

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে কম্পাউন্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ। সেখানে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে কম্পাউন্ডের বাইরের সড়কে এনে শত শত মানুষের সামনে চলে উন্মত্ততা। ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মহিন ও তারেক নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিন ঘটনার মূলহোতা। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান।

শুক্রবার বিকেলে ডিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মহিন ও তারেক নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার সময় অদূরেই চলছিল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, নিরাপত্তায় ছিলেন আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও। তবে এমন সন্ত্রাস আতঙ্কে কেউ এগিয়ে আসেনি। যখন তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়, তখন চিকিৎসক জানান, আগেই মারা গেছেন সোহাগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি সন্ত্রাসীরা। সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও লাশের ওপর চলতে থাকে নৃশংসতা। রক্তাক্ত নিথর দেহটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে চলে ভয়াবহ উন্মত্ত উল্লাস। একজন নয়, একাধিক যুবক মৃত ব্যক্তির নাক-মুখে এবং বুকের ওপর আঘাত করে যেতে থাকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসা লোকদের মধ্যে একজন মোবাইলে কথা বলছিল। ওই সময় দুই হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে থাকা সোহাগের রক্তাক্ত মুখের ওপর কিলঘুষি দিতে থাকে আরেকজন। অন্য এক তরুণ দৌড়ে এসে পড়ে থাকা নিথর দেহের বুকের ওপর লাফাচ্ছিল! মানুষজনও দেখছিল এমন ভয়ংকর দৃশ্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। তার দোকানের নাম সোহানা মেটাল। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের কাছে। তবে নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মাহমুদুল হাসান মহিন ও সারোয়ার হোসেন টিটু নামে আরও দুজন। তারা অনেকটা ওই অবৈধ বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বে ঘটে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ঘটনার দিন সোহাগকে তার দোকান থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ ও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন, টিটুসহ জড়িত অন্যরাও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে সংগঠনে তাদের কোনো পদ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিন, সারোয়ার হোসেন টিটু, মনির ওরফে ছোট মনির, আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, নান্নু, সজীব, রিয়াদ, টিটন গাজী, রাকিব, সাবা করিম লাকী, কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু, রজব আলী পিন্টু, মো. সিরাজুল ইসলাম, রবিন, মিজান, অপু দাস, হিম্মত আলী ও আনিসুর রহমান হাওলাদারসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।

অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমি আজ থেকে ৮-৯ মাস আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শত্রু আছে। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই অদৃশ্য শত্রু।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ছাত্রদলের শহীদ পরিবারের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় একজন শহীদ বাবার প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র ছিল, আমরা স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছি। কিন্তু আমরা বিজয় অর্জন করলেও ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি।

তিনি বলেন, আমি আজ থেকে ৮-৯ মাস আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শত্রু আছে। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই অদৃশ্য শত্রু। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকারের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছিল, জনগণের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিল।

আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বারবার বলেছি, অন্যায়কারী যেই হোক আমরা প্রশ্রয় দেবো না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে? এখানে যে শহীদের বাবা প্রশ্ন তুলেছেন তার সঙ্গে মিলিয়ে আমরাও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একই প্রশ্ন করতে চাই।

শহীদদের বিচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিএনপি ছাড়াও অনেক দলের নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। এমনকি নিরপেক্ষ অনেক মানুষও শহীদ হয়েছেন দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে। আগামীতে বিএনপি দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারলে এসব হত্যার বিচার সুষ্ঠুভাবে হবে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেবে বিএনপি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।

কোনো বোমা পাওয়া যায়নি, ফেইক কল ছিল: বিমানের জিএম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫০ অপরাহ্ণ
কোনো বোমা পাওয়া যায়নি, ফেইক কল ছিল: বিমানের জিএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকির পর ওই ফ্লাইটটিতে ব্যাপক তল্লাশি চালান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিমানবন্দরের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। এরপর ওই বিমানে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম (পিআর) এ বি এম রওশন কবীর।

শুক্রবার তিনি বলেন, বিমানে কোনো বোমা বা কিছুই পাওয়া যায় নি, এটি ছিল ফেইক কল। যাত্রীদের বোর্ডিং করানো হচ্ছে, শেষ হলেই কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-কাঠমান্ডুগামী ওই ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি পাওয়া যায়। এ কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। উড়োজাহাজটির বৈমানিক ছিলেন ক্যাপ্টেন আবদুর রহমান।

বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার কিছু সময় আগে বোমা হুমকির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজে থাকা সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উড়োজাহাজে তল্লাশি শুরু করে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কারও কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

সে সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম (পিআর) এ বি এম রওশন কবীর সাংবাদিকদের জানান, একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোনকলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, বিমানের ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। সে সময় ফ্লাইটটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ছাড়া কারা কী উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৩ টায় চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক ক্লাবে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ঝন্টু দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মজুমদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেস্টা খোকন পোদ্দার, সহ-সভাপতি চন্দন দত্ত, টুটুল চক্রবর্তী, সম্পাদক শান্ত মাষ্টার, সুনিল দাস, রতন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক বিকাশ প্রধান, অর্থ সম্পাদক মেঘনাদ কর্মকার, প্রচার সম্পাদক জীবন সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল ঘোষ, ভাসান ঘোষ, সাংবাদিক নারায়ণ রবিদাস প্রমূখ।