ঘাতক বিল্লাল আটক
চাঁদপুরে জুম্মার সময় মসজিদে প্রবেশ করে খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা


চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম নূরুর রহমানকে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মুসল্লি বিল্লাল হোসেন নামক একজন তরকারী ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রায় ২টার সময় শহরের প্রফেসার পাড়া মোল্লাবাড়ি মসজিদের ভিতরে।
ঘটনার পর মসজিদের মুসল্লিরা গুরুতর জখম মসজিদের খতিব বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আ.ন. ম নুরুর রহমান মাদানীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
পুলিশ ঘাতক বিল্লালকে শতশত জনতার রোষানল থেকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
চাঁদপুর মডেল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বাহার মিয়া জানান,জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম যে বয়ান দিয়েছে তাতে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি তরকারী বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন অসন্তষ্ট হয়ে নামাজ শেষে ইমামের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপস্থিত মুসল্লিরা জানান, জুমার নামাজ শেষে মুসল্লীরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নেওয়ার সময় হঠাৎ করেই হামলাকারী বিল্লাল খতিব আ.ন.ম নুরুর রহমান মাদানীকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় মুসল্লীরা ইমাম সাহেবকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় হামলাকারীকে মুসল্লীরা উত্তম-মধ্যম দিয়ে মসজিদের বারান্দায় আটকে রাখে। খবর পেয়ে শত শত মুসল্লী এসে মসজিদ ঘেরাও করে রাখে। হামলাকারীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
এলাকাবাসী জানান, গুরুতর রক্তাক্ত জখম খতিব আ. ন. ম নুরুর রহমান মাদানী চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারী বিল্লালকে গণধোলাই দিয়ে মসজিদে আটকে রাখে মুসল্লীরা। পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ হামলাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
হামলাকারী বিল্লাল সাংবাদিকদের জানান, আমার নবীজিকে অবহেলা করে কথা বলেছেন ইমাম সাহেব। এর জন্য তার উপর হামলা করেছি। তবে আইন নিজের হাতে নেয়া ঠিক হয়নি।
বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা জানান, হামলাকারী বিল্লাল জঙ্গি টাইপের লোক, নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাওহীদের সদস্য। সে ইমাম সাহেবকে হামলা করার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই মসজিদে চাপাতি নিয়ে এসেছেন। তার আঘাতে ইমাম সাহেবের এক কান কেটে গেছে। এছাড়া গলায় জখম হয়েছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া জানান, আটক বিল্লাল একজন তরকারী ব্যবসায়ী। জুমার খুতবায় ইমামের বক্তব্য তার মনের মতো না হওয়ায় ইমামকে সে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন