খুঁজুন
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ়, ১৪৩২

ঘাতক বিল্লাল আটক

চাঁদপুরে জুম্মার সময় মসজিদে প্রবেশ করে খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

আলোকিত চাঁদতপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জুম্মার সময় মসজিদে প্রবেশ করে খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম নূরুর রহমানকে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মুসল্লি বিল্লাল হোসেন নামক একজন তরকারী ব্যবসায়ী।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রায় ২টার সময় শহরের প্রফেসার পাড়া মোল্লাবাড়ি মসজিদের ভিতরে।

ঘটনার পর মসজিদের মুসল্লিরা গুরুতর জখম মসজিদের খতিব বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আ.ন. ম নুরুর রহমান মাদানীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

পুলিশ ঘাতক বিল্লালকে শতশত জনতার রোষানল থেকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।

চাঁদপুর মডেল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বাহার মিয়া জানান,জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম যে বয়ান দিয়েছে তাতে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি তরকারী বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন অসন্তষ্ট হয়ে নামাজ শেষে ইমামের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপস্থিত মুসল্লিরা জানান, জুমার নামাজ শেষে মুসল্লীরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নেওয়ার সময় হঠাৎ করেই হামলাকারী বিল্লাল খতিব আ.ন.ম নুরুর রহমান মাদানীকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় মুসল্লীরা ইমাম সাহেবকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় হামলাকারীকে মুসল্লীরা উত্তম-মধ্যম দিয়ে মসজিদের বারান্দায় আটকে রাখে। খবর পেয়ে শত শত মুসল্লী এসে মসজিদ ঘেরাও করে রাখে। হামলাকারীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়।

এলাকাবাসী জানান, গুরুতর রক্তাক্ত জখম খতিব আ. ন. ম নুরুর রহমান মাদানী চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারী বিল্লালকে গণধোলাই দিয়ে মসজিদে আটকে রাখে মুসল্লীরা। পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ হামলাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

হামলাকারী বিল্লাল সাংবাদিকদের জানান, আমার নবীজিকে অবহেলা করে কথা বলেছেন ইমাম সাহেব। এর জন্য তার উপর হামলা করেছি। তবে আইন নিজের হাতে নেয়া ঠিক হয়নি।

বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা জানান, হামলাকারী বিল্লাল জঙ্গি টাইপের লোক, নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাওহীদের সদস্য। সে ইমাম সাহেবকে হামলা করার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই মসজিদে চাপাতি নিয়ে এসেছেন। তার আঘাতে ইমাম সাহেবের এক কান কেটে গেছে। এছাড়া গলায় জখম হয়েছেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া জানান, আটক বিল্লাল একজন তরকারী ব্যবসায়ী। জুমার খুতবায় ইমামের বক্তব্য তার মনের মতো না হওয়ায় ইমামকে সে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কোনো বোমা পাওয়া যায়নি, ফেইক কল ছিল: বিমানের জিএম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫০ অপরাহ্ণ
কোনো বোমা পাওয়া যায়নি, ফেইক কল ছিল: বিমানের জিএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকির পর ওই ফ্লাইটটিতে ব্যাপক তল্লাশি চালান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিমানবন্দরের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। এরপর ওই বিমানে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম (পিআর) এ বি এম রওশন কবীর।

শুক্রবার তিনি বলেন, বিমানে কোনো বোমা বা কিছুই পাওয়া যায় নি, এটি ছিল ফেইক কল। যাত্রীদের বোর্ডিং করানো হচ্ছে, শেষ হলেই কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-কাঠমান্ডুগামী ওই ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি পাওয়া যায়। এ কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। উড়োজাহাজটির বৈমানিক ছিলেন ক্যাপ্টেন আবদুর রহমান।

বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার কিছু সময় আগে বোমা হুমকির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজে থাকা সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উড়োজাহাজে তল্লাশি শুরু করে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কারও কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

সে সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম (পিআর) এ বি এম রওশন কবীর সাংবাদিকদের জানান, একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোনকলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, বিমানের ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। সে সময় ফ্লাইটটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ছাড়া কারা কী উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৩ টায় চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক ক্লাবে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ঝন্টু দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মজুমদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেস্টা খোকন পোদ্দার, সহ-সভাপতি চন্দন দত্ত, টুটুল চক্রবর্তী, সম্পাদক শান্ত মাষ্টার, সুনিল দাস, রতন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক বিকাশ প্রধান, অর্থ সম্পাদক মেঘনাদ কর্মকার, প্রচার সম্পাদক জীবন সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল ঘোষ, ভাসান ঘোষ, সাংবাদিক নারায়ণ রবিদাস প্রমূখ।

চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হন সোহাগ: পুলিশ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:১৮ অপরাহ্ণ
চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হন সোহাগ: পুলিশ

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন তথ্য দিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি জানিয়েছে, চাঁদাবাজি নয়, একটি দোকানে কারা ব্যবসা করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের একসঙ্গে ব্যবসাও ছিল।

শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, ভাঙারি ব্যবসা এবং দোকানে কারা ব্যবসা করবে সেটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ এবং যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তারা সম্পর্কিত। তারা একসঙ্গে কিছুদিন ব্যবসা করেছেন। যখন ব্যবসার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তখনই তারা বিবাদে লিপ্ত হন। এর ফলে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম বলেন, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে ১০ জুলাই এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ ১১ জুলাই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতার তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাব কর্তৃক আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামের আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া, শুক্রবার রাতে মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরও এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

লালবাগ বিভাগের ডিসি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূল রহস্য উৎঘাটন, সংশ্লিষ্ট সব অপরাধী গ্রেফতার এবং সোহাগ কেন এই ঘটনার শিকার হলো তা উৎঘাটনের জন্য একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।