খুঁজুন
রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ২২ আষাঢ়, ১৪৩২

হাজীগঞ্জে খাজা চোহরভী ও তৈয়্যব শাহ (রঃ)’র সালানা ওরছ মাহফিল

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে খাজা চোহরভী ও তৈয়্যব শাহ (রঃ)’র সালানা ওরছ মাহফিল

বাংলাদেশের তরিকতপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে সর্ব শীর্ষ মানবতাবাদী সংগঠন ‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে বিশ্বে অনন্য ত্রিশপারা দুরূদ শরীফের গ্রন্থ ‘মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল’ গ্রন্থের প্রণেতা, সাহেবে ইলমে লাদুনি খাজায়ে খাজেগাঁ খাজা আবদুর রহমান চোহরভী (রাঃ)’র ১০৪তম ওরছ মোবারক এবং আরেক মহান ওলী, আওলাদে রাসুল, গাউছে জামান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রাঃ)’র ৩৩তম ওরছে পাক উপলক্ষে সালানা ওরছ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি হাইস্কুল মিলনায়তনে এই আজিমুশ্বান সালানা ওরছ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন এশিয়া খ্যাত সুন্নী দ্বীনি মাদ্রাসা চট্টগ্রাম জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান ফকিহ মুফতিয়ে আজম, আল্লামা কাজী আবদুল ওয়াজেদ (মা. জি. আ.)। প্রধান আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি আবুল হাসানাত আল-কাদেরী।

চাঁদপুর জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহজামাল তালুকদারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জসিম উদ্দিন আল-কাদেরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ, জেলা দাওয়াতুল খায়ের সম্পাদক মাওলানা আহম সাইফুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা শাহাদাত হোসেন জাহিদ ও মাওলানা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

প্রধান মেহমান মুফতি আবদুল ওয়াজেদ তাঁর আলোচনায় বলেন, এই বাংলাদেশ সুজলা সুফলা হয়েছে আল্লাহর ওলীগণের পদচারণায়।

খাজায়ে চোহরভী (রাঃ) যে ত্রিশপারা দুরূদ শরীফ মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল লিখেছেন তা ইলমে লাদুন্নি ছাড়া সম্ভব নয়। আল্লাহর পেয়ারা মাহবুব সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামার এমন কোনো সিফাত, গুণ নাই যা খাজায়ে চোহরভী এই দুরূদ শরীফের গ্রন্থে আনেন নি। বিশ্বে দুরূদ শরীফের ত্রিশপারা বিরল। দুরূদের খাজানা যেনো মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল।

তিনি বলেন, খাজায়ে চোহরভী (রা.) প্রকাশ পেয়েছেন শাহেনশাহে সিরিকোট আওলাদে রাসুল সৈয়দ আহমদ সিরিকোটি (রা.)’র মাধ্যমে। এই মহান ওলীই হচ্ছেন বানীয়ে জামেয়া। আর তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি গাউছে জামান হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (র.) হচ্ছেন বানীয়ে গাউছিয়া কমিটি। আজকে সারা বাংলাদেশে হুজুর কেবলার প্রতিষ্ঠিত আনজুমানের দ্বারা শত শত সুন্নী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। এর দ্বারা সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এবং আমরা যারা হক্ব তরীকাপন্থী আছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের অনৈক্য করা যাবে না। তাহলে শয়তান আমাদের মাঝে ঢুকে যাবে। তিনি মুসলমানদের ঈমান ও আমল হেফাজতের জন্যে আল্লাহর ওলীগণের কাছে যাওয়া যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা কোরআনের আয়াত দ্বারা বুঝিয়ে দেন।

সবশেষে মিলাদ কিয়াম ও দোয়া মুনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বাদ মাগরিব অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন খতম, মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল খতম এবং খতমে গাউছিয়ার মধ্য দিয়ে। ত্রিশজন উল্লেখযোগ্য আলেম এসব খতম সম্পন্ন করেন।

কচুয়ায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কচুয়ার ১নং সাচার ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ নুরুন নাহার বেগমের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতা দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। রবিবার বিকালে রাগদৈল বাজারে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্যরা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

রাগদৈল, বজরীখোলা ও মঙ্গল মুড়া এলাকার এলাকাবাসী জানান, বিগত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নুরুন নাহার বেগম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবদী ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সাথে উগ্র আচরণ করে আসছেন। তার এমন উগ্র আচরণে অতিষ্ঠ রাগদৈল, বজরীখোলা, মঙ্গলমুড়া এলাকার সাধারণ মানুষ।

ভুক্তভোগিরা জানান, ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার বেগম শুধুমাত্র উগ্র আচরণই করেন না, ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও টিসিবি ফ্যামিলী কার্ড ও বিভিন্ন ভাতা প্রতি ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা ও সরকারি চাল এর কার্ড করে দিবে বলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া ও টিসিবি ফ্যামিলী কার্ড, সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার নামে টাকা সাধারণ মানুষ ফেরত চাইলে নুরুন নাহার বেগম তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী সহ সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুন নাহার বেগম মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এতোদিন তারা কোথায় ছিলো। সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।

মতলবে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মেঘনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
মতলবে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মেঘনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মতলব উত্তর উপজেলার সাতানী গ্রামের যুবক মো. ফরহাদ জুয়েল (২৭) নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর তার লাশ মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

একের পর এক তথ্য, পরস্পরবিরোধী বয়ান ও মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের দাবিতে জড়িয়ে গেছে একাধিক ব্যক্তি- যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল ও রহস্যময় করে তুলেছে। নিহত জুয়েল কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের মো. আবুল হাশেমের ছেলে। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও চার বছরের একমাত্র সন্তান আবু সুফিয়ান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই ) সকাল বেলায় ফরহাদ জুয়েল বাড়ি থেকে বের হয়ে এখলাসপুর বকুলতলা এলাকায় যান বলে খবর পাওয়া যায়।

তার মা সুফিয়া বেগম জানান, “আমার ছেলে শাহ আলম মেম্বারের কাছে গিয়েছিলো। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি।” তবে এখলাসপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম দাবি করেন, “আমার সাথে জুয়েলের কোনো সাক্ষাৎ হয়নি।”

এদিন রাত ৮টার দিকে হাসিমপুর গ্রামের রুহুল আমিনের সঙ্গে নয়ানগর বটতলায় দেখা হয় জুয়েলের। রুহুল জানান, জুয়েল তাকে কথা বলার কথা বললে তিনি বলেন, বাজারে গিয়ে চা খেতে খেতে কথা বলা যাবে। এরপর দুজনেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারের পথে রওনা দেন। তবে পথিমধ্যে এখলাসপুরের নুরু মিয়া রাজার সঙ্গে দেখা হলে জুয়েল থেমে যান। রুহুল বাজারে পৌঁছালেও জুয়েল আর আসেননি।

নুরু মিয়া রাজা জানান, “জুয়েল বলেছে সে মনির হোসেন গাজীর ছেলে সজিবের কাছে বালুর টাকা নিতে যাচ্ছে।” অন্যদিকে সজিব বলেন, “জুয়েলের সঙ্গে আমার কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। এমনকি ওই দিন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।”

নিখোঁজের পরদিন ভোরে পাঁচানী স্কুলের পাশের রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় জুয়েলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এর কিছুক্ষণ পরই জুয়েলের বড়ো ভাই সোহেলের মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

সবকিছু ছাপিয়ে শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে হাইমচরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি মরদেহটি উদ্ধার করে, যা পরে নিখোঁজ ফরহাদ জুয়েলের বলে শনাক্ত হয়।

এই ঘটনায় সাতানী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল, জাহিদুল এবং হযরত আলী প্রধানের ছেলে মনির হোসেনকে মতলব উত্তর থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় শ্বাসরুদ্ধ করে জুয়েলকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে কিছু অসঙ্গতিও পাওয়া গেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দিকটিই আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

ফরহাদ জুয়েলের পরিবার বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মতলব উত্তরের সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, “একজন নিরীহ যুবককে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনের কাছে আমরা কঠোর বিচার চাই।”

মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহের সময় কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘটনায় আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানায়, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসের শেষ দিকে এই ত্রাণ কর্মসূচি চালু করা হয়।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, এটি ন্যূনতম হিসাব। বাস্তবে আরও অনেক হতাহত রয়েছে। খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আর সেই সময়েই তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, জিএইচএফ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সাহায্যপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ও স্টান গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দুজন মার্কিন ঠিকাদার জানান, অনেক কর্মী ‘যা ইচ্ছা তাই করছেন।’

জিএইচএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই খবর সম্পূর্ণভাবে ‘মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’। সংগঠনটি দাবি করেছে, তারা তাদের সাইটগুলোর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।

তীব্র সমালোচনার মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এটি একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।

জুন মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু মানবাধিকার সংস্থা জিএইচএফ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি একে ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী সামরিকীকৃত কর্মসূচি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, জিএইচএফ মূলত আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রশমনের একটি মুখোশ। এটি ইসরায়েলের গণহত্যার আরেকটি হাতিয়ার।

সূত্র: আল-জাজিরা