খুঁজুন
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভাঙ্গন আতংকে পাঁচগ্রামের বাসিন্দারা

ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ, দুপাশে নেই দুই কি.মি রাস্তা

মনিরুজ্জামান বাবলু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ, দুপাশে নেই দুই কি.মি রাস্তা

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ধনাগোদা নদীতে দাঁড়িয়ে আছে বেইলি ব্রীজ। নদীর জলে ভেসে গেল দুপাশের দুই কিলোমিটার রাস্তা। ফসলী জমি ও বসতভিটা নিয়ে আতংকে পাঁচ গ্রামের নদীপাড়ের শত শত পরিবার। বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

চাঁদপুরের ধনাগোদা নদীর উপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বেইলি ব্রীজ। ব্রীজটি দেখলে বুঝার উপায় নেই, ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন ও গ্রামবাসীর চলাচল ছিল। ব্রীজটির দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নদীতে বিলীন।

চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর নতুন বাজার থেকে মতলব দক্ষিণের বরদিয়া আড়ং বাজারের কানুদি- বরদিয়া সড়ক ছিল এটি। রাস্তা বিলীন হওয়ার পর এখন ভাঙ্গছে নদীপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। বসতভিটার ভাঙ্গন আতংকে নদীপাড়ের মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত।

বিষ্ণুপুর গাজী বাড়ীর বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, ব্রীজ আছে, রাস্তা চলে গেছে। আমরা ৬ জনের পরিবার, একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে, তাদের নিয়ে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। রাতে কখন ভেঙে পড়ে যায়, তাই সজাগ থাকা লাগে। দিনের মাঝে ঘুমাই।

তার স্বামী আবুল বাসার বলেন, আমরা ৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করতেছি। এই পর্যন্ত আমাদের অনেক কষ্টে দিন গেছে। আমাদের এক বাড়ি ভেঙে নিয়ে গেছে আরেক বাড়ি ভাঙতেছে। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দিন বলেন, পুরানো কবরস্থান ভেঙেচুরে গেছে। এখনো আমাদের বাড়িঘর সব ভেঙে নিয়ে যাইতেছে। চারটা মসজিদ, তিনটা স্কুল। কানুদি-বহরদিয়া রোড ভেঙে যাচ্ছে। সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ চাই।

দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক ছিল এটি। এখন নৌকা আর দূরের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হলে রাস্তাটি পুনরায় সচল করার দাবী এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের এখানে রাস্তা ছিল। এখন নদীতে রাস্তা ভেঙে নিয়ে গেছে। ব্রীজটা নদীর উপরে আছে। আমাদের স্থানীয় বাঁধ দিয়ে যেন আমাদের বাড়িঘর আটকানো হয়। ব্রীজটা এখন নদীর মাঝে ভাসতেছে। রাস্তাঘাট সব ভেঙে নিয়ে গেছে নদীতে। আমরা পরিবার নিয়ে অনেক আতংকে আছি। সরকারের কাছে স্থায়ী একটা বাঁধ চাই।

পথচারী গৃহবধূ জান্নাতুন নাঈম বলেন, আগে রাস্তা ছিল, এখন রাস্তা নাই। এই কারনে আমরা অর্ধেক পথ রাস্তা দিয়ে আসছি আর অর্ধেক পথ মানুষের বাড়ি হেঁটে হেঁটে আসছি।

সোহেল প্রধানীয়া বলেন, ওইখান থেকে এইটুক পর্যন্ত ভেঙে নিছে। এখন আমরা সরকারের কাছে বাঁধ চাই। রাস্তা যতটুকু হইছিল আমরা অনেক খুশি হইছি। বেড়িবাঁধ হবে আমাদের বলছে কিন্তু এখনো হয় নাই। সরকারের কাছে আমাদের গ্রামবাসীর আবেদন দ্রুত আমাদের এই ভাঙন রক্ষা করার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেন- এটা আমাদের আকুল দাবি।

তৎকালীন সময়ে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ব্রীজটি নির্মিত হয়নি দাবী করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এখানে ২.১ কিলোমিটার একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে পাঠানো হয়। নকশা পাওয়া গেলে দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করা হবে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষ্ণুপুর এলাকায় আমরা গত বর্ষায় আমরা যে সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা ছিল এবং বিশেষ করে যেখানে কিছু স্থাপনা আছে স্কুল তারপর বাজার, মসজিদ এবং মন্দির সংলগ্ন যেই জায়গা আছে সেই জায়গাতে আমরা অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করে নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা অনেকটাই রোধ করেছি। এর পাশাপাশি আমরা এখানে একটি স্থায়ী ২.১ কিলোমিটার একটি স্থায়ী প্রকল্পের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা নকশা প্রণয়নের নিমিত্তে ডিজাইন দপ্তরে লিখেছি, তো নকশা পাওয়া গেলে আমরা দ্রুতই কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন এবং ডিপিপি দাখিল করবো এলাকায়।

এই রাস্তা ও চারটি ব্রীজ নির্মিত হয় ২০০৮ সালে, গেলো ৩/৪ বছর ধরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাস্তাটি। ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনের কবলে দুই উপজেলার কানুদি, মনোয়ারখাদী, বিষ্ণুপুর, লালপুর ও বরদিয়া গ্রাম।

কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা

মো. ইউনুস
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা অবহিতকরন সভা
কচুয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুকি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ বিষয়ক অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাকের আয়োজনে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কি রোগ হতে পারে, যেমন ডেঙ্গু, মেলেরিয়া, চিকুনবুনিয়া ঠান্ডা কাশি শাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  modc  ডাঃ  পংকজ চন্দ্র সরকার, নার্সিং সুপার ভাইজার তাসনীমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মাকসুদা ও বাসন্তী দেবনাথ,  mt  ইপি আই বোরহান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ব্রজ পোদ্দার, ব্রাকের cco অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন ও প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রাজুর মায়ের দাফন সম্পন্ন 
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মা ফেরদৌসী বেগম (৬৫) এর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মরহুম আব্দুছ ছাত্তার মিয়াজির স্ত্রী, সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলম রাজুর মমতাময়ী ‘মা’ ফেরদৌসী বেগম দীর্ঘদিন ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মরহুমার
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও নাতি নাতনি সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, বার্তা সম্পাদক মিজান লিটন ভূঁইয়া, দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শান্ত, সাংবাদিক মারুফ হোসেন,  অলিউল্লাহ মাহবুব, মরহুমার আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম।
সাংবাদিক রাজুর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেন ও জেলা সাংবাদিক ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
ওনারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় আজ মধ্যরাতের পর লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ইনশাআল্লাহ কাতার এয়ার লাইন্সের মাধ্যমে আজ মধ্যরাতের পর বা আগামীকাল সকালে উনাকে (খালেদা জিয়াকে) লন্ডনে নিয়ে যাবো। দেশ-দেশের বাইরের বেশ কিছু চিকিৎসক উনার সঙ্গে যাবেন।

তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসকেও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এদিকে, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় আসছেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

গত ২৩ নভেম্বর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন।

৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।