খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়েছে সেতু-ভবন, রাস্তায় ফাটল

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৮ অপরাহ্ণ
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়েছে সেতু-ভবন, রাস্তায় ফাটল

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার দুপুরে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। জার্মানির জিওসায়েন্স ইনস্টিটিউট জিএফজেডের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭ এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং অঞ্চলে। তবে এর কম্পন মিয়ানমারজুড়ে অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি থাইল্যান্ড, চীন ও লাওসেও টের পাওয়া গেছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মিয়ানমারের সাগাইং সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয়, নেপিদো, পিনমানা, অউংবান ও ইনলে অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে।

ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থিত দোথেতাওয়াদি সেতুও ভেঙে গেছে। এছাড়া ৩৬২ মাইল দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রথম ভূমিকম্পের মাত্র ১২ মিনিট পরই আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৪, যা প্রথমটির তুলনায় কম। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের দক্ষিণে ১৮ কিলোমিটার দূরে।
মিয়ানমারে তুলনামূলকভাবে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশি ঘটে, বিশেষ করে থাইল্যান্ডের তুলনায়। ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে সাগাইং ফল্ট লাইনের আশপাশে ৭ মাত্রার ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

থাইল্যান্ড ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা নয় এবং সেখানে যেসব ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার বেশিরভাগই মিয়ানমার থেকে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংককের ভবনগুলো সাধারণত শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করার জন্য তৈরি নয়, তাই এই ভূমিকম্পের ফলে সেখানে কাঠামোগত ক্ষতি মারাত্মক হতে পারে।

ছেংগারচরে বিএনপি’র ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
ছেংগারচরে বিএনপি’র ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদার নির্দেশে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আধুরভিটি ও ঠাকুরচর গ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তারা স্থানীয় জনগণের হাতে হাতে বিএনপি’র ৩১ দফার প্রচারপত্র পৌঁছে দেন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান লস্কর, জেলা যুবদলের সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের সুমন, মতলব উত্তর উপজেলা শ্রমিক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আখন, যুবদল নেতা মুজাম্মেল কাজি আক্তার দর্জি, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, নুরুল হুদা, ছেংগারচর পৌর ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো: নূরে আলম (নিঝুম), ছাত্রদল নেতা তানভীর হোসেন, হাসান ঢালী, অপূর্ব শাকিল, নাফিজ মজুমদার, রাতুল প্রধান রাফসান রাকিব ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এখন জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন জরুরি। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।

বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট ডাকাতির রাজনীতির অবসান ঘটাতে হলে মাঠে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তানভীর হুদা ভাইয়ের নেতৃত্বে মতলব উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপি সংগঠিতভাবে জনগণের পাশে আছে।

তারা বলেন, বিএনপি এখন আর কেবল রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি গণঅধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। ৩১ দফার প্রতিটি ধারা জনগণের কল্যাণে রচিত হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আসবে।

বক্তারা তানভীর হুদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনি মাঠে থেকে যে সাহসিকতার সঙ্গে দলের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তা মতলবের রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। শেষে নেতৃবৃন্দ জনগণকে আহ্বান জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামুন।

বিএনপির হাইব্রিড নেতাদের দৌরাত্মে কোণঠাসা ত্যাগী নেতারা

মো. হোসেন বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
বিএনপির হাইব্রিড নেতাদের দৌরাত্মে কোণঠাসা ত্যাগী নেতারা

ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরের রাজনৈতিক আমলে হামলা-মামলা মোকাবেলা, দলের জন্য মাঠে থেকে রাজনীতি আর দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দাবড়িয়ে বেড়ানো বিএনপির নেতারা এখন অনেকটা অসহায়। নিজ দলেরই হাইব্রিড নেতাদের দাপটে একপ্রকারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ত্যাগী নেতাগণ।

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তাল মিলিয়ে বিলাসী জীবন কাটানো নেতারাই যেন এখন দলের হর্তাকর্তা। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়া আর জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে নেওয়াই যেনো হাইব্রিড নেতাদের মূল লক্ষ্য।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামনে দলীয় ব্যানারে মিটিং-মিছিল যখন আকাশছোয়া তখন দলের পরিচয় দেওয়া নেতার বাড়িতে শুরু হতো ধরপাকড়। নানান অভিযোগে জেল-জুলুম আর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হতো। হাতেগোনা কয়েকজনকে জেলা-উপজেলায় শক্ত হাতে দলকে আঁকড়ে ধরতে দেখা গিয়েছিল তখন।

৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর বিএনপির ত্যাগী নেতাদের পিছনে ফেলে দৌরাত্ম্য বেড়েছে দলের হাইব্রিড নেতাদের। সাথে যুক্ত হয়েছেন নব্য কিছু নেতাও। পূর্বে যাদের কখনোই মিছিল-মিটিং বা কোনো কর্মসূচিতেই সরব দেখা যায়নি। যাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। আবার কেউ মাতৃভূমির রাজনীতি ছেড়ে দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন প্রবাসে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলটির ত্যাগী এবং দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা এক রকমের কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। তবে তুঙ্গে রয়েছে বিএনপির হাইব্রিডদের দাপট। সড়কের অলিগলিতে হাইব্রিড নেতাদের ব্যানার, পোস্টার শোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন নেতার বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে এসব নেতার পদচারণাও বাড়ছে। ভিড় করছেন বিভিন্ন লবিং-তদবির নিয়ে।

অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এখন অনেকটা অসহায়। হাইব্রিড নেতাদের চাপে তাদের অনেকেই এখন দলীয় কার্যালয়, নেতাদের বাসাবাড়ি এড়িয়ে চলছেন এবং অহেতুক মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকেই।

যদিও হাইব্রিড নেতাদের বিরুদ্ধে সহনশীল নয় দলটির হাইকমান্ড। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে নিজ এলাকায় গোপন জরিপ চালিয়েছে দলটি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জনপ্রিয়তাকেও প্রাধান্য দেবে দলটি। তবে নব্য বিএনপি ও হাইব্রিড নেতাদের রুখতে না পারা এবং ত্যাগী নেতাদের সাথে বৈষম্য করা হলে জনপ্রিয়তা হারাবে বিএনপি। তখন বিএনপি দলের নামের পাশে ফ্যাসিবাদের তকমা পড়লেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। অতএব, সাধু সাবধান।

এপিবির নতুন কমিটির সম্পাদক ডা. শামীম আহমেদ

আল-আমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
এপিবির নতুন কমিটির সম্পাদক ডা. শামীম আহমেদ

বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজের অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন এপিবি এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটিতে সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মতলব উপজেলার কৃতি সন্তান ডা. শামীম আহমেদ।

ডা. শামীম আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তিনি একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত, যিনি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা সহকর্মী চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

তাঁর এই অর্জনে মতলব ও চাঁদপুর জুড়ে আনন্দ ও গর্বের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ডা. শামীম আহমেদ চাঁদপুরের মতলব উপজেলার এক সম্মানিত পরিবারের সন্তান। শৈশব থেকেই তিনি মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন। চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে এপিবি চিকিৎসক সমাজের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।