খুঁজুন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে পাঁচ কোটি শিশুকে, ১২ অক্টোবর কার্যক্রম শুরু

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে পাঁচ কোটি শিশুকে, ১২ অক্টোবর কার্যক্রম শুরু

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী পাঁচ কোটি শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। দেশের সকল স্কুল এবং টিকাদান কেন্দ্রে একযোগে এই কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়টিতে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

ডা. সায়েদুর বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে। এ কাজে কেউ টাকা নিতে পারবে না। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তাই টিকাদান কার্যক্রমে তারা বাধা সৃষ্টি করবে না বলে আশা করি।

সায়েদুর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি ২০১১ সালের। তারপরও আমরা তাদের প্রতি সহনশীলতা দেখিয়েছি। আশা করা যায়, সকলের সহযোগিতায় টিকা কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় টিকাদান টিম অবস্থান করবে। প্রতিটি স্কুলে এই কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।

সচিব জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে পথ শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। কেউ বাদ পড়বে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, প্রথম পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পরবর্তী পর্যায়ে ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

তিনি আরও জানান, টাইফয়েডের এই টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই এটি শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত বলে টিকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

মহাপরিচালক বলেন, সারা দেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশি শিশু টিকা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে।

তবে রেজিস্ট্রেশন না করলেও, টিকাদান কেন্দ্রে গেলে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের যেকোনো শিশু টিকা নিতে পারবে। সেখানে ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রেশনের সুযোগও থাকবে।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।