
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনই বহাল থাকছে। তবে শিক্ষাপঞ্জিতে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্কুলে যদি প্রকৃত অর্থে পাঠদান নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে ‘কন্ট্রাক্ট আওয়ার’ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটা সময় দিতে পারছেন, সেটি নির্ভর করছে স্কুল কত দিন খোলা থাকে তার ওপর। আমাদের স্কুল বছরে মাত্র ১৮০ দিন খোলা থাকে, যেখানে বছরজুড়ে রয়েছে ৩৬৫ দিন। এর মানে অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপঞ্জিতে কিছু অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনতে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে করলে সফলতা আসবে না।
সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন থেকে এক দিনে নামিয়ে আনার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, সপ্তাহে দুই দিনের ছুটি কমিয়ে এক দিন করা এখনো আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই নিয়মে চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে এটা করা কঠিন।
উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের একটা দাবি আছে— তারা ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। যদি এটিকে নন-ভ্যাকেশন করতে চাই, তাহলে সরকারের আর্থিক ব্যয়ের বিষয়টি চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে কোন কোন দিনগুলো বাদ দেওয়া হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যখনই সিদ্ধান্ত হবে, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষাকে স্বাক্ষরতা অর্জনের মূল ভিত্তি হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হলো স্বাক্ষরতা অর্জন। অথচ এখানে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা আমাদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন