খুঁজুন
রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শিক্ষার্থী এবং জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শিক্ষার্থী এবং জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনে হাতপাখা প্রতীকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিন।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর কেন্দ্রীয় কমিটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম ইয়াসিন রাশেদসানী।

শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বলেন, আমাদের দেশে অনেক মেধাবী আছে, কিন্তু সবাই তাদের মেধাকে ন্যায়ের পথে ব্যয় করে না। তাই মেধাবী হওয়ার চেয়ে নীতিবান ও আদর্শিক মানুষ হওয়াটা জরুরী। তোমরা যারা মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে জিপিএ ফাইভ পেয়েছ, তাদের কাছে দেশ এবং মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জুলাই যোদ্ধারা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সুযোগ এনে দিয়েছে। সেই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। অথচ সেটি না করে জুলাই যোদ্ধাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি জুলাই যোদ্ধাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আপনাদের যুদ্ধ তখনই শেষ হবে, যখন আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সেই স্বপ্ন হলো একটি আদর্শিক রাষ্ট্র গঠন করা। যে রাষ্ট্রে মানুষের টাকা লুটপাট করে কেউ বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করবে না। যে রাষ্ট্রে একজন মানুষও নিরাপদহীন থাকবে না। যে রাষ্ট্রে মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত হবে।

শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিন বলেন, এদেশের ছাত্র জনতা কেবলমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য জুলাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। অথচ একটি দল জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে নির্বাচন নির্বাচন করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর এদেশে অনেক নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, হত্যা বন্ধ হয়নি। আজকে মবসৃষ্টি নিয়ে কথা হচ্ছে। অথচ বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে এদেশে মবের সৃষ্টি করেছিল। তারা মব করে বিডিআর হত্যা, শাপলার গণহত্যা এবং ২৪ শে গণহত্যা চালিয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সেই মব জাস্টিসের বিচার না করে বর্তমান সরকার নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন আমরাও চাই, তবে তার আগে সংস্কার এবং গণহত্যার বিচারের রোড ম্যাপ দিতে হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডিএম ফয়সালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইংল্যান্ড শাখার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুল ইসলাম মিয়া, নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ বেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল, ইউনি এইড চাঁদপুর শাখার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফিজ আল আসাদ (বাবর), চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান, চাঁদপুর আইডিয়াল একাডেমীর অধ্যক্ষ খান মোহা. নিয়াজ মোর্শেদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি আবুল বাশার তালুকদার, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন।

অনুষ্ঠান শেষে কৃতি শিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।