খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে চাঁ.সা.এ. কমিটি করার জন্য জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে চাঁ.সা.এ. কমিটি করার জন্য জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিতর্কিত ভোটার তালিকা দিয়ে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর কমিটি না করার দাবিতে বঞ্চিত সাহিত্যকর্মীরা জেলা প্রশাসককে অভিযোগ দিয়েছে। ১৩ মে বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে বঞ্চিত সাহিত্যকর্মীদের পক্ষে ১৫ জন সাহিত্যকর্মী স্বাক্ষরিত স্মারক লিপি প্রদান করেছে।

ফ্যাসিবাদের সময় তৈরিকৃত ভোটার তালিকা দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া জানাজানি হওয়ায় চাঁদপুরে বৈষম্যের শিকার বঞ্চিত সাহিত্যকরা এই স্মারক লিপি প্রদান করেন।

বঞ্চিত সাহিত্যকর্মীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, নিষিদ্ধ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রস্তুতকৃত জেলা প্রশাসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির একটি খসড়া সদস্য ভোটার তালিকা গত ১৭ মার্চ চাঁদপুরের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাহিত্য একাডেমীর সদস্য ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য উক্ত খসড়া সদস্য তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।

প্রকাশিত সদস্য তালিকায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ: এক এর ধারা-২ অনুযায়ী যাদের সাধারণ সদস্য পদ থাকার কথা নয় এবং সাহিত্যে এবং লেখালেখির সাথে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই; শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও ফ্যাসিবাদের দোসর বিবেচনায় স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তৈরি করা চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সদস্য ভোটার তালিকায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির বাসভবনে অগ্নিসংযোগ মামলা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার মামলার পলাতক ও জেলখানায় আটক আসামি রয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে এবং গণহত্যার পক্ষে অবস্থানকারী বিতর্কিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে।

বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তৈরি করা সাধারণ সদস্যদের ভোটার তালিকায় ব্যক্তি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ এবং হিংসাত্মক কর্মকান্ডের কারণে অনেক সাহিত্যকর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিগত দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ (পনের) বছরের মধ্যে ভিন্ন মতের কাউকে সাহিত্য একাডেমীতে সদস্য পদ দেওয়া তো দূরের কথা সাহিত্য একাডেমীতে কোন আচার অনুষ্ঠানেও যেতে দেয়নি। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ সদস্যকে কোন কারণ দর্শানো ছাড়া সদস্য পদ থেকে বাদ দিয়েছে। এমনকি বাদ দেওয়ার সদস্যদের নথিপত্র এবং প্রমানাদিও মুছে ফেলেছে। তারা সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে সাহিত্য একাডেমীকে একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এরা দুর্বৃত্ত দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।

এছাড়াও দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার পতনে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান করে আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। এসব অবৈধ বিতর্কিত সদস্যদের বাদ দেওয়ার জন্য নির্দেশিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রমাণাদিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন ও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু দুঃখের সাথে পরিলক্ষিত হয়েছে যে, সম্প্রতি চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর কার্যকরী পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে আহ্বান করার সাধারণ সভার সদস্য ভোটার তালিকা এসব অবৈধ বিতর্কিতদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে! যা চাঁদপুরের সাহিত্যকর্মী ও ছাত্র-জনতাকে অবাক, বিস্ময় ও সংক্ষুব্ধ করেছে। অথচ, ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশে যোগ্যতা থাকার পরেও রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে হিংসাত্মকভাবে যাদেরকে সদস্য করা হয়নি তারা সদস্য হওয়ার জন্য আপনার আহবানে আবেদন করা সত্বেও তাদেরকে সদস্য করা হয়নি! যা সাহিত্য কর্মী ও চাঁদপুরবাসীর কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দুরভিসন্ধিমূলক এবং নব্য ফ্যাসিবাদকে পূর্ণবাসনের চক্রান্ত মনে হচ্ছে।

উল্লেখিত বিষয় ও বর্ণনা অনুযায়ী পতিত ও নিষিদ্ধ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রস্তুতকৃত চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সদস্য তালিকা থেকে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অবৈধ বিতর্কিত সদস্যদের বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও হিংসাত্মক কারণে বাদপড়া সাহিত্যকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন সাধারণ সদস্য তালিকা প্রস্তুত পূর্বক কার্যকরী কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা। এসময় নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা।

শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা ভারী হবে।

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু তা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল। ওই সময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েন জেলেরা।

এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে না গেলেও নিষেধাজ্ঞার পর বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে এবং মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে আক্ষেপ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মূল জেলেদের কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে। অথচ যারা মাছ ধরতে জীবনেও নদীতে নামেনি এমন বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষ সরকারী সহায়তার কার্ড পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকি বেশ কিছু জেলে সরকারি সহযোগিতা পেয়েও সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারের পরবর্তী সহযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হয়নি। এবার রেকর্ড পরিমাণে ইলিশ উৎপাদন হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো ৪৪৫ টি অভিযানে ৭৭ টি মামলা ও ৭৪ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১১৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১১০০ টন ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করাহয়।

জনশ্রুতি আছে অভিযানে সময় অনেক জেলে সরকারের বরাদ্দ করা চাল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই উপকূলের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। বিশেষ করে হরিনা ঘাট, আখনের ঘাট, পুরানবাজার রনাগোয়াল, লঞ্চ ঘাট, হাইমচরের নীলকমল, মতলব উত্তর মোহনপুর নৌঅঞ্চলের জেলেরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনি। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে। পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল রুবেল হোসেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায়, এ এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারির সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই। তিনি আরো জানান, তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।