খুঁজুন
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশ আহত, আটক দুই

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশ আহত, আটক দুই

Oplus_131072

চাঁদপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক মামলার আসামী সবুজ ক্বারী ও সোহাগ ক্বারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া। এর আগে শনিবার দিনগত রাত আড়াইটায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী ক্বারী বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী ক্বারী বাড়ীর মৃত বিল্লাল ক্বারীর ছেলে সবুজ ক্বারী ও তার ভাই সোহাগ ক্বারী। শনিবার পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এসআই (উপ-পরিদর্শক) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৮।

পুলিশ জানায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী ক্বারী বাড়িতে মাদক মামলা নং-৩১, (জি আর ১২০) ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সবুজ ক্বারীকে গ্রেপ্তার করতে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশের উপর হামলা করে আসামী সবুজ ক্বারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামী পক্ষের লোকজনের হামলায় এসআই শফিকুল ইসলাম ও কন্সটেবল জাকির হোসেন গুরুত্বর আহত হয়।

শনিবার দিনগত রাত আড়াইটায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়ার নেতৃত্বে আসামীদের ধরতে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সবুজ ক্বারী ও তার ভাই সোহাগ ক্বারী কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, গত ৩ দিন পূর্বে থানার একটি চৌকস টিম ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক মামলার আসামী সবুজ ক্বারীকে গ্রেপ্তার করতে যায়। এ পর্যায়ে সবুজ ক্বারী ও তার ভাই সোহাগ ক্বারীসহ কয়েকজন পুলিশ কে হেনস্তা করে। পরবর্তীতে গতকাল পুনঃরায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সবুজ ক্বারীর বিরুদ্ধে মাদক ও মটর সাইকেল চুরিসহ ৭ টি এবং তার ভাই সোহাগ ক্বারীর বিরুদ্ধে মটর সাইকেল ও বসতঘরে চুরিসহ ২ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফরিদগঞ্জে দুধ উৎপাদন প্রকল্পের টাকা গেল কোরবানির পশুতে

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে দুধ উৎপাদন প্রকল্পের টাকা গেল কোরবানির পশুতে

দুধের উৎপাদন কম দেশের এমন ৫০ উপজেলায় ১০০ সমবায় সমিতি গঠন করে সরবরাহ বাড়াতে ২০২২ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলায় দুটি দুগ্ধ সমিতির মাধ্যমে ১০০ জনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ঋণ বিতরণ হয় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তবে এসব ঋণ গ্রহীতা যাচাই বাছাইয়ে করা হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতি। ঋণের টাকা বিনিয়োগ হয়েছে অন্য খাতে। ৬১ জনের মাঝে অনুসন্ধান করে মিলেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৯ জনই ঋণের টাকা কোরবানিতে বিক্রির জন্য পশু ক্রয়, অন্যের গোয়াল ঘর দেখিয়ে ঋণ নেয়া, কয়েকজনের নামের টাকা নিয়েছেন একজন। উপজেলা সমবায় দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে এই ধরণের অনিয়মের তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা তারাও পেয়েছেন।

সম্প্রতি সময়ে উপজেলার দুটি দুগ্ধ সমিতির ঋণ গ্রহীতাদের বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের সাথে মিল পাওয়া যায়নি অনেক ঋণ গ্রহীতার বাড়িতে। ঋণ বন্টন হয়েছে উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৩ ইউনিয়নে।

চান্দ্রা দুগ্ধ সমবায় সমিতির ৫০জন বালিথুবা ইউনিয়নের। গাজীপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতির ৫০জন হলেন সুবিদপুর ও পাইকপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। বাকী ১৩ ইউনিয়নে ঋণ পাওয়ার যোগ্য গ্রহীতা থাকলেও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দুটি সমিতিই গঠন হয় ২০২৩ সালে।

উপজেলা সমবায় কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি চান্দ্রা বাজারে দুটি দুগ্ধ সমিতির ১০০ জন ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে উন্নত জাতের গাভী ক্রয় করার জন্য ১লাখ ৬০ হাজার করে ঋণের চেক প্রদান করা হয়। প্রকল্প পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এসব চেক ঋণ গ্রহীতাদের হাতে তুলেদেন। ঋণ বিতরণের প্রায় ৪ মাস পর অর্থাৎ এপ্রিল মাসেও অনেক ঋণ গ্রহীতা গাভী ক্রয় করেনি। তবে একজন গ্রাহক তার ঋনের টাকা ফেরত দিয়েছেন।

চান্দ্রা দুগ্ধ সমবায় সমিতি: এই সমিতির মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন ৫০ জন সদস্য। ঋণ গ্রহীতা ২৯ জনের মধ্যে অনুসন্ধান চালানো হয়। এর মধ্যে ১৭ জন গাভী ক্রয় করেননি। ঋণের টাকা বিনিয়োগ করেছেন অন্য খাতে।

ঋনের টাকা যথাযথ বিনিয়েগের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি গ্রহীতা সকদীরামপুর গ্রামের সফিকুর রহমান, মদনেরগাঁও গ্রামের জহিরুল হকের। জহিরুল হক উপজেলা প্রাণী সম্পদ এর আওতায় একটি প্রকল্পে চাকরি করেন। তার মা ফয়েজুন্নেছা বলেন, ঋণের টাকা কোরবানিতে বিক্রির জন্য ষাঁড় গরু ক্রয় করেছেন।

সকদীরামপুর গ্রামের ঋণ গ্রহীতা নাজমা আক্তার। তার সাথে কথা হয়। তিনি জানেননা কত টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং কী কাজে। পরে জানালেন তার ভাই ইসমাইল জানেন এই বিষয়ে। জানা গেল ইসমাইল ফেলকন নামে আরেক সমিতির মালিক। তিনি নিজে এবং তার বোনের নামে ঋণ নিয়ে অন্য কাজে বিনিয়োগ করেছেন।

এসব ঋণ গ্রহীতা সকলে বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের। এর মধ্যে মিনু বেগম, তফুরী বেগম, মো. নুর মিয়া, মো. ওয়াসিম হোসেন, ফাতেমা বেগম, নাছির উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গাজী, মো. সেলিম মিয়া, ফাহিমা আক্তার ও রৌশন আরা বেগম গাভী ক্রয় করেননি। এদের মধ্যে ওয়াসিম হোসেন ঋণের টাকায় নিম্নমানের ওষুধ কিনে মজুদ করেছেন। স্থানীয় ফার্মেসীতে তিনি এসব ওষুধ বিক্রি করেন। তার বাড়িতে গিয়ে গোয়াল ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

ঋণ গ্রহীতা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তিনি চান্দ্রা দুগ্ধ সমিতির সমন্বয়ক। তিনি নিজে, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ঋণ গ্রহীতা নুরুন্নাহার আক্তার লাকী ও মো. নাছির উদ্দিন ঋনের টাকা নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন তাদের পূর্বের গরুর খামারে। লাকী ও নাছির উদ্দিনের গাভী দেখার জন্য বাড়িতে গেলে সকলে একই খামার দেখান। তাদের এই খামারে আছে ২৮টি ষাঁড় গরু। এসব ষাঁড় বিক্রি করবেন কোরবানির হাটে। এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে ঋণ গ্রহীতা শাহাবুদ্দিন।

গাজীপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতি: এই সমিতির মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন ৫০ জন সদস্য। ঋণ গ্রহীতা ৩৩ জনের মধ্যে অনুসন্ধান চালানো হয়। এর মধ্যে ১৪ জনই গাভী ক্রয় করেননি। সমিতিরি ঋণ গ্রহীতা সাখাওয়াত হোসেন, রাজু হোসেন. মো. কাইয়ুম এর বাড়িতে গিয়ে গরুর কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। তারা অন্যের গোয়াল ঘর দেখিয়ে ঋনের টাকা নিয়েছেন। তাদের বাড়ীর লোকজনের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। সাখাওয়াত মুন্সিরহাট বাজারে জুতার ব্যবসায়ী, রাজু বাড়িতে থাকেন না এবং কাইয়ুম বালু ব্যবসায়ী। কাইয়ুম জানালেন, তিনি গোয়াল ঘর ঠিক করে গরু ক্রয় করবেন। গোবার চিত্রা গ্রামের মোহাম্মদ রাশেদ খান ও নুর হোসেন খানের বাড়িতে গিয়ে গোয়াল ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানালেন তারা কোন গরু ক্রয় করেননি।

পাশ্ববর্তী ঘড়িহানা গ্রামের সরদার বাড়িতে বেশ কয়েকজন নিয়েছেন ঋনের টাকা। তাদের আগ থেকে অনেকের গোয়ালঘর এবং বিভিন্ন ধরণের গরু আছে। এই বাড়ির জসিম উদ্দিন মিন্টু ছিলেন গাজীপুর দুগ্ধ সমিতির সমন্বয়ক। তিনি নিজ বাড়ির লোকদের এবং আশপাশের ১১ জনের ঋণ নেয়ার কাজে সহযোগিতা করেন। এদের মধ্যে অনেকেই আগ থেকে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে খামার করেছেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, এই ঋণ বিতরণের সময় সমিতিতে যাদের নাম ছিলো, চূড়ান্ত করার দিন তা পাওয়া যায়নি। উপজেলা সমবায় অফিসার এবং ওই কার্যালয়ের কর্মচারিরা তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। ওইদিন আমি উপস্থিত হয়ে দেখলাম রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। ওই সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে সাহস করে কোন কথা বলতে পারিনি। যে কারণে ঋণের টাকা বিতরণে অনিয়ম হয়েছে।

এই সমিতির ঋণ গ্রহীতা সুখরঞ্জন, মরিয়ম বেগম, মো. সাইফুল, ফাতেমা বেগম, নাছিমা বেগম, জিয়াউল হক ও মো. আলমের বাড়িতে কোন গরু পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ফাতেমা বেগম এর স্বামী সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। তাদের বাড়িতে কোন লোক নেই। থাকেন চাঁদপুর শহরে। সাইফুল ইসলাম নামে ঋণ গ্রহীতা দেখালেন তার ভাইয়ের গোয়াল ঘর।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঋণ বিতরণের জন্য দুটি সমিতির সদস্য যখন চূড়ান্ত হয়, তখন আমি এই উপজেলায় ছিলাম না। তবে ঋণ বিতরণ হয়েছে আমি দায়িত্বরত অবস্থায়। যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, তাদের বিষয়ে আমরাও তদন্ত করে দেখছি। কেউ কেউ কোরবানিতে বিক্রির জন্য ষাঁড় ক্রয় করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের তদন্তে যাদের অনিয়ম পাওয়া যাবে, তাদের বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ ঋণের ২ লাখ টাকার মধ্যে ১লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তী ৪০ হাজার টাকা চেক বিতরণ অপেক্ষমান। এসব বিষয়গুলো সামনে রেখে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম চালাতে হবে।

চাঁদপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এই ঋণ বিতরণ সম্পর্কে আমি অবগত না। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। এই ধরণের অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হবে। যারা ঋণের টাকা নিয়ে অনিয়ম করেছেন তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে নিদের্শনা আসবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন শেখ বলেন, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঋণ বিতরণ এবং নেয়ার ক্ষেত্রে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে অব্যশই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৮:২০ অপরাহ্ণ
বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি ঘিরে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে ভারতের বিরোধী দলগুলো।

শনিবার বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ভারত। জম্মু, শ্রীনগর ও আরও কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদী সরকারের উদ্দেশে কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে এবং কাশ্মীর সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহায়তারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অথচ ভারত বরাবরই বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু কেবল দুই দেশই আলোচনা করবে, তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকার জায়গা নেই।

এ প্রেক্ষিতে বিরোধীরা জানতে চাইছে, ভারত কি এবার তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রতি উন্মুক্ত অবস্থান নিয়েছে? তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সরকার যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে।

এর আগে, শনিবার ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালের আরেক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় তিনি গর্বিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দুই দেশের সঙ্গে ‘বিপুল পরিমাণে’ বাণিজ্য বাড়াতে চান। এছাড়া কাশ্মীর সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ট্রাম্প।

তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পুরোপুরি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফল।

সূত্র: আল-জাজিরা

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড

ব্যক্তি-সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
ব্যক্তি-সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত—এমন ব্যক্তি বা সত্তার কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ এবং এসব ক্ষেত্রে কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।

ওই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।

তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। ওই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে ওই আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আগামীকাল সোমবার সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।