খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহতদের (গুরুতর আহত) ফ্ল্যাট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুরে নেওয়া হচ্ছে দুটি প্রকল্প। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪শ-১৫শ ফ্ল্যাট নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও গুরুতর আহতদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।

দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিকভাবে দুই প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি সুবিধাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হবে। তাই ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে। ব্যয়ের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন একসময় সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আন্দোলনে শহীদ হন শত শত ছাত্র-জনতা। আহতও হন কয়েক হাজার মানুষ।

গত ১৫ জানুয়ারি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের তালিকার গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া কয়েক দফায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তিনটি ক্যাটাগরিতে (‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণি) আহতদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।-জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ক’ ক্যাটাগরির (অতি গুরুতর আহত) ৪৯৩ জনের নামের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়। তালিকা করার দায়িত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ থাকলেও তালিকা প্রকাশ করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে শহীদ ও আহতদের নাম ছাড়াও গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী অতি গুরুতর আহতরা ‘ক্যাটাগরি-এ’ অন্তর্ভুক্ত হবেন। উভয় হাত বা পা বিহীন, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম— এমন আহত ব্যক্তি অতি গুরুতর আহত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

প্রকল্প দুটি দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-১) মো. আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।’

বিষয়টি এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, কোন পর্যায়ে কী করা যায়। প্রকল্প করতে কত টাকা লাগবে, কোথায় করবো, কতজনের জন্য করবো, কীভাবে করবো— সবকিছুই আলোচনার মধ্যে রয়েছে। একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একটি প্রকল্প নিতে গেলে অনেকগুলো কনসেপ্টচুয়াল ইস্যু আছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে।’

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, গত ৪ মে প্রকল্প এলাকার ভেতরে প্রয়োজনীয় পরিষেবা (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি) সুবিধা দিতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও নিজেরা একটি বৈঠক করে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারের জন্য এটি করা হচ্ছে। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ক-ক্যাটাগরির আহতদের আমরা ফলো করবো। শহীদ ও চূড়ান্ত অক্ষম আহত সবাইকে ফ্ল্যাট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। পূর্ণ সম্মান আমরা নিহত ও আহতদের দিতে চাই।

মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমিতে দুটি প্রকল্পের অধীনে আবাসনটা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিরপুর-১৪ নম্বর সেক্টরে পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। মিরপুর-৯ এ পল্লবী থানার পেছনে আরেকটি প্রকল্প নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।’

শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, সেখানে সব ধরনের পরিষেবাসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্প এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেটসহ অন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। দু’বছরের মধ্যে প্রকল্প দুটি শেষ করা হবে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ধরনভেদে ‘ক’, ‘খ’, এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন তিন লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা ছিলেন, চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো- শিশুরা যেন মাতৃভাষা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে; মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে; কথা বলতে ও লিখতে পারে। গাণিতিক ভাষায় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারবে। মিনিমাম এটুকু হলে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে। কিন্তু আমরা যদি প্রাইমারি স্কুলে এগুলো করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিশুরা সাক্ষরতার পাশাপাশি নৈতিক আচরণগত দিকগুলো শিখে থাকে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে এসব বিষয় খুব সুন্দরভাবে শিশুরা শিখতে পারে।

শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের স্বার্থেই আমাদের ভূমিকাটা আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের শিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে এগোতে পারবে।

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ৫০ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা অংশ নেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক তসলিমা আক্তার।

বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া পৌর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক বিল্লাল হোসেন প্রধানের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন বের করা হয়।

কচুয়া ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সুরমা কাউন্টারের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সফিকুল ইসলাম রুবেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রবিউল হোসেন রুবেল, যুবদল নেতা সুজন, শরীফ, শ্রমিকদল নেতা লালু, ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোস্তফা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, বুধবার রাতে বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা বিল্লাল প্রধানের পুত্র রিফাত হোসেন কড়ইয়া পূর্ব পাড়া ফজল হক মিয়ার বাড়ির সামনে ট্রাকের বালু নামাতে গিয়ে ধুলা পড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রাবনসহ কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপর উশৃঙ্খল যুবক শ্রাবনের নেতৃত্বে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন, আকাশ, শের আলী, সুমন ও আজিজ বেশ কিছু লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন।

ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই এবার থেমে যাক। পাকিস্তানের ভেতর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজে এই কথা বলেন ট্রাম্প।

আমি দুটি দেশকেই খুব ভালো করে চিনি। আমি চাইব, তারাই সমাধান করুক। আমি চাই তারা থেমে যাক, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই, ট্রাম্পের কথায়, ‘টিট ফর ট্যাট’ অর্থাৎ আঘাত আর প্রত্যাঘাত করেছে। তাই এবার তিনি আশা করেন যে দুই দেশই এবার থেমে যাবে। হোয়াইট হাউজ থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানান যে প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, তিনি যে কোনো ধরনের সহায়তা করতেও রাজি আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাতের দিকে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তাছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন এবং ভারত ও পাকিস্তান যাতে ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব সহকারে সংঘাত মেটানোর’ চেষ্টা করে।

বিবিসি সংবাদদাতা টম বেটম্যান লিখছেন যে, ভারতের হামলার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল যে তারা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাদের সেই বক্তব্যে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি।

এদিকে, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন, এমন দুই পদাধিকারীকে এখনো নিয়োগ দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো নেই। বলা হচ্ছে দুই দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতরা চরম উত্তেজনার সময়ে স্থানীয়ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম কার্যকালের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা টিম র‍্যোমার বিবিসিকে বলেন, দিল্লিতে বসে দুই দেশের মধ্যে নীরবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বা চুপচাপ মধ্যস্থতাও করতে পারতেন, যদি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত থাকতেন।

ভারত আর পাকিস্তানে ‘স্থায়ী রাষ্ট্রদূত’ থাকাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন টিম র‍্যোমার। তার কথায়, ইসরায়েল, চীন আর দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা প্রথমে মনোনয়ন পান তারপর তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন মাত্রই একশ দিন পার করেছে।

সূত্র: বিবিসি