খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহতদের (গুরুতর আহত) ফ্ল্যাট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুরে নেওয়া হচ্ছে দুটি প্রকল্প। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪শ-১৫শ ফ্ল্যাট নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও গুরুতর আহতদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।

দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিকভাবে দুই প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি সুবিধাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হবে। তাই ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে। ব্যয়ের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন একসময় সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আন্দোলনে শহীদ হন শত শত ছাত্র-জনতা। আহতও হন কয়েক হাজার মানুষ।

গত ১৫ জানুয়ারি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের তালিকার গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া কয়েক দফায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তিনটি ক্যাটাগরিতে (‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণি) আহতদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।-জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ক’ ক্যাটাগরির (অতি গুরুতর আহত) ৪৯৩ জনের নামের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়। তালিকা করার দায়িত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ থাকলেও তালিকা প্রকাশ করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে শহীদ ও আহতদের নাম ছাড়াও গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী অতি গুরুতর আহতরা ‘ক্যাটাগরি-এ’ অন্তর্ভুক্ত হবেন। উভয় হাত বা পা বিহীন, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম— এমন আহত ব্যক্তি অতি গুরুতর আহত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

প্রকল্প দুটি দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-১) মো. আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।’

বিষয়টি এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, কোন পর্যায়ে কী করা যায়। প্রকল্প করতে কত টাকা লাগবে, কোথায় করবো, কতজনের জন্য করবো, কীভাবে করবো— সবকিছুই আলোচনার মধ্যে রয়েছে। একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একটি প্রকল্প নিতে গেলে অনেকগুলো কনসেপ্টচুয়াল ইস্যু আছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে।’

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, গত ৪ মে প্রকল্প এলাকার ভেতরে প্রয়োজনীয় পরিষেবা (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি) সুবিধা দিতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও নিজেরা একটি বৈঠক করে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারের জন্য এটি করা হচ্ছে। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ক-ক্যাটাগরির আহতদের আমরা ফলো করবো। শহীদ ও চূড়ান্ত অক্ষম আহত সবাইকে ফ্ল্যাট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। পূর্ণ সম্মান আমরা নিহত ও আহতদের দিতে চাই।

মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমিতে দুটি প্রকল্পের অধীনে আবাসনটা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিরপুর-১৪ নম্বর সেক্টরে পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। মিরপুর-৯ এ পল্লবী থানার পেছনে আরেকটি প্রকল্প নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।’

শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, সেখানে সব ধরনের পরিষেবাসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্প এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেটসহ অন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। দু’বছরের মধ্যে প্রকল্প দুটি শেষ করা হবে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ধরনভেদে ‘ক’, ‘খ’, এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন তিন লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা ছিলেন, চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।

গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফাহিম হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এসে অভিযোগকারী মো. আরাফাত হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের এবং নিয়োগকালিণ সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ খোরশেদ আলম চৌধুরীর বক্তব্য শুনেন এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

এব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যা আল মামুন জানান, তদন্তের শুরুতে আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। অভিযোগের আলোকে নিয়োগ বিধিমালা যাচাই বাছাই করে আমরা রিপোর্ট প্রদান করবো। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ১২মে যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরাফাত হোসেন গত ৪ মে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং কলেজের গভর্নিংবডির বর্তমান সভাপতি ও ফরিদঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই বছরের ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত নিয়োগ বোর্ড বর্তমান অধ্যক্ষ হরিপদ দাসকে নিয়োগ প্রদান করেন। হরিপদ দাস এরপূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগকারীর দাবি অধ্যক্ষ পদে হরিপদ দাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান এর অবৈধ হস্তক্ষেপে অবৈধ উপায়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কলেজের নামে উপজেলা পিআইও অফিস থেকে বিগত চার বছরে ৮/১০ টি আর/কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগও করা হয়।

অভিযোগ প্রাপ্তির পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদস্ত কমিটি সেই অনুযায়ী বুধবার (২১ মে ২০২৫) তদন্তের জন্য কলেজে যান।

ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা

ফেব্রুয়ারি মাসে তিনদিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় কবিতা আবৃত্তিকার, সংগীত, নৃত্য ও অভিনয় শিল্পীসহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (২১ মে ) বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম ফরহাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।

একুশে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকৃত ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান খুনজুড়ি শিল্প একাডেমির ক্ষুদে শিল্পীদের মাঝে এই সংবর্ধনা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, “আপনারা যারা অভিভাবক রয়েছেন, আপনারা যেন আপনাদের সন্তানদেরকে এমন পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারেন, যেখান গেলে তারা তাদের শুদ্ধ প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমাদের সন্তানেরা যখন বিপথে যায়, তখন এর দায়ভার আমাদের অভিভাবকদের ওপরেই যায়। কারণ, আমরা তাদেরকে তাদের উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারি না। তারা এখন মোবাইল ছাড়া কিছুই বোঝে না। এই দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তাদেরকে আমরা ভালো অ্যাক্টিভিটিস্টগুলোতে ব্যস্ত রাখতে পারি না। যদি রাখতে পারতাম, তাহলে নিশ্চয়ই তারা মোবাইলে আসক্ত হতো না। আমরা সকল অভিভাবক যদি চাই আমার সন্তান ভালো হোক। সবার সন্তান যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের দেশ উন্নত হয়ে যাবে। এজন্যই যখন আপনি আপনার সন্তানের পেছনে সময় দিবেন, আপনি কিন্তু দেশের জন্যও কাজ করছেন। সকলের ভেতরে এই বোধটুকু জেগে উঠুক, এটাই আজকের অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা থাকল।”

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফতাবুল ইসলাম, মো. অলিউল্যাহ, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ডা. ইমাম হোসেন সৌরভ, ফরিদগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের আইসিটি শিক্ষক মোবারক করিম, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমদাদুল হক, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি কেএম নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আক্তার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান তারু, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন খান, অভিভাবক নুসরাত জাহান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মোট ৩৫ জন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মী, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য এবং খুনজুড়ি শিল্প একাডেমির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দূর্গাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হাসমত আলী প্রধান

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দূর্গাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হাসমত আলী প্রধান

মতলব দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর পিতার কবর যজয়ারত করছেন হাসমত আলী প্রধান।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার হাসমত আলী প্রধান।

জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন খান গত ৫ আগষ্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ইউপি শাখা-১ ১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখের স্মারক নম্বরের জারীকৃত পরিপত্রের আলোকে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয় হাসমত আলী মেম্বার এর উপর।

পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন এর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ পাওয়ার পর ২০ মে মঙ্গলবার হাসমত আলী প্রধান প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে তার দায়িত্বভার সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বোঝে নেন।

উল্লেখ্য, তিনি দূর্গাপুর ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার। দায়িত্ব বুঝে নেবার পরের দিন ২১ মে মঙ্গলবার তার নিজ গ্রাম খালপাড় দুর্গাপুর প্রধান বাড়িতে নিজের বাবার কবর জিয়ারত করেন এবং শুকরিয়া স্বরূপ নিজ বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এবং গরীব অসহায় মানুষদের কল্যাণে তিনি সর্বদা কাজ করবেন।