মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে ব্যাপক সফলতা


জাটকা ইলিশ অভয়াশ্রম অভিযান-২০২৫ চলাকালীন মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি বিগত বছর গুলোর তুলনায় চলতি বছরে তিনগুন বেশি সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারে জাটকা ইলিশ অভয়াশ্রম অভিযান সফল করার জন্য দিন রাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী ও তার ফাঁড়ির নৌ পুলিশরা।
১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস ব্যাপী জাটকা ইলিশ অভায়াশ্রম অভিযান-২০২৫ চলাকালে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে ৬৭ টি মামলা, ৪ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ১৫৪ জন জেলে কে আটক, ১ কোটি ৫৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, ৩ হাজার কেজি জাটকা মাছ , ৪২টি মাছ ধরার ট্রলার, অবৈধ ভাবে নদী থেকে মাটি উত্তোলনের ৩৫ টি বাল্কহেড, জাটকা মাছ বহনকারী ৩ টা সিএনজি, ১টি পিক আপ আটক করা হয়।
সরকারের এই অভিযান সফল ও জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী নেতৃত্বে নদীতে ৬ টি টহল টিম কাজ করেছে।
জাটকা ইলিশ রক্ষার পাশাপাশি এই টহল টিম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ছিল কঠোর অবস্থানে। মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সীমাতে যে খানে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ছিল সেই খানেই তাদের আইন প্রয়োগ ছিল। নৌ ডাকাতের হাত থেকে নৌ পথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা ছিল সর্বোচ্চ।
মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানান, গত দুই মাসে জাটকা রক্ষায় আমরা রাত-দিন নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। গতবছরের তুলনায় আমরা এবার প্রায় তিনগুন সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। একই সাথে নদীতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া মাত্র জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে তা প্রতিহত করেছি। যেখানে যাকে সন্দেহ হয়েছে তাকে আটক করেছি, তাদের ৩৫ টি বাল্কহেড আটক করেছি। নদী থেকে মাটি কাটা বন্ধ এখন। ৬ টি টহল টিম দিন রাতে নদীতে কাজ করেছে। নদী পথে নৌ যাত্রীদের ডাকাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করেছি। যার ফলে নৌ যাত্রীরা কোন প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়াই ঈদুল ফিতর উদযাপন ও লেংটা মেলা উদযাপন করতে পেরেছে।
আপনার মতামত লিখুন