খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলো।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘœ ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে’- বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে’- যোগ করেন তিনি।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
প্রাথমিকে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিলে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো- শিশুরা যেন মাতৃভাষা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে; মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে; কথা বলতে ও লিখতে পারে। গাণিতিক ভাষায় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারবে। মিনিমাম এটুকু হলে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে। কিন্তু আমরা যদি প্রাইমারি স্কুলে এগুলো করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিশুরা সাক্ষরতার পাশাপাশি নৈতিক আচরণগত দিকগুলো শিখে থাকে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে এসব বিষয় খুব সুন্দরভাবে শিশুরা শিখতে পারে।

শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের স্বার্থেই আমাদের ভূমিকাটা আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের শিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে এগোতে পারবে।

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ৫০ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা অংশ নেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক তসলিমা আক্তার।

বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কচুয়া পৌর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক বিল্লাল হোসেন প্রধানের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন বের করা হয়।

কচুয়া ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সুরমা কাউন্টারের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সফিকুল ইসলাম রুবেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রবিউল হোসেন রুবেল, যুবদল নেতা সুজন, শরীফ, শ্রমিকদল নেতা লালু, ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোস্তফা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, বুধবার রাতে বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা বিল্লাল প্রধানের পুত্র রিফাত হোসেন কড়ইয়া পূর্ব পাড়া ফজল হক মিয়ার বাড়ির সামনে ট্রাকের বালু নামাতে গিয়ে ধুলা পড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রাবনসহ কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপর উশৃঙ্খল যুবক শ্রাবনের নেতৃত্বে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন, আকাশ, শের আলী, সুমন ও আজিজ বেশ কিছু লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন।

ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই এবার থেমে যাক। পাকিস্তানের ভেতর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজে এই কথা বলেন ট্রাম্প।

আমি দুটি দেশকেই খুব ভালো করে চিনি। আমি চাইব, তারাই সমাধান করুক। আমি চাই তারা থেমে যাক, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই, ট্রাম্পের কথায়, ‘টিট ফর ট্যাট’ অর্থাৎ আঘাত আর প্রত্যাঘাত করেছে। তাই এবার তিনি আশা করেন যে দুই দেশই এবার থেমে যাবে। হোয়াইট হাউজ থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানান যে প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, তিনি যে কোনো ধরনের সহায়তা করতেও রাজি আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাতের দিকে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তাছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন এবং ভারত ও পাকিস্তান যাতে ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব সহকারে সংঘাত মেটানোর’ চেষ্টা করে।

বিবিসি সংবাদদাতা টম বেটম্যান লিখছেন যে, ভারতের হামলার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল যে তারা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাদের সেই বক্তব্যে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি।

এদিকে, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন, এমন দুই পদাধিকারীকে এখনো নিয়োগ দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো নেই। বলা হচ্ছে দুই দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতরা চরম উত্তেজনার সময়ে স্থানীয়ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম কার্যকালের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা টিম র‍্যোমার বিবিসিকে বলেন, দিল্লিতে বসে দুই দেশের মধ্যে নীরবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বা চুপচাপ মধ্যস্থতাও করতে পারতেন, যদি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত থাকতেন।

ভারত আর পাকিস্তানে ‘স্থায়ী রাষ্ট্রদূত’ থাকাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন টিম র‍্যোমার। তার কথায়, ইসরায়েল, চীন আর দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা প্রথমে মনোনয়ন পান তারপর তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন মাত্রই একশ দিন পার করেছে।

সূত্র: বিবিসি