খুঁজুন
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১

চাঁদপুরে ৩২ কেজি গাঁজাসহ আটক ১

শ্যামল সরকার
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে ৩২ কেজি গাঁজাসহ আটক ১

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প এবং উত্তর মতলব থানা পুলিশ কর্তৃক তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত যৌথ অভিযানে উত্তর মতলব উপজেলার আমিরাবাদ এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মোঃ সৈকত হোসেন (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নিকট হতে ৩২ কেজি গাঁজা এবং একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে উত্তর মতলব থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাফিক আইনের পরিপন্থি সব প্রকার অবৈধ কার্যক্রম দমনসহ আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

 

ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
ফরিদগঞ্জে ভুয়া কবিরাজের প্রতারণা ফাঁস, সাংবাদিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নম্বর রূপসা ইউনিয়নের আমিরা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ‘খাজা ঔষধালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘ডাক্তার’ এবং ‘কবিরাজ’ বলে পরিচয় দিয়ে নারী-পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার নানা অলৌকিক সমাধান দেওয়ার দাবি করে আসছিলেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া একাধিক অভিযোগ অনুযায়ী, এই স্বঘোষিত কবিরাজ প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। রোগ নিরাময়ের নামে অসংখ্য নারী-পুরুষের সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব কথাবার্তা বলে তাদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করতেন তিনি। এই প্রতারক নানা রকম “জ্বীন তন্ত্র”, “তাবিজ”, “ভালোবাসার টান তৈরি করা” ইত্যাদি নামে চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন।

একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদক গোপনে অনুসন্ধান শুরু করেন। সংবাদকর্মীর পরিচয় গোপন রেখে, একজন সাধারণ রোগীর ভঙ্গিতে কবিরাজ মোখলেছুর রহমানের ক্লিনিকে সরাসরি গিয়ে দেখা করেন।

প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কবিরাজ জানান, রোগী অর্থাৎ প্রতিবেদকের “ভাবি” নাকি তার সঙ্গে প্রেমে পড়ে যাবে, যদি নির্দিষ্ট কিছু তাবিজ ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “৬ হাজার টাকা দিলেই জ্বীন ব্যবহারে আপনার ভাবিকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলব। এক মাসের মধ্যে গভীর রাতে সে আপনাদের ঘরে চলে আসবে এবং ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে।”

এই ধরনের বক্তব্য শুধু প্রতারণামূলক নয়, ভয়াবহ অনৈতিক এবং মানসিকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

এই সব কথোপকথন প্রতিবেদক নিজের মুঠোফোনে গোপনে ভিডিও রেকর্ড করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর কবিরাজের দালাল আশপাশের লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়। তারা তার ফোন কেড়ে নিয়ে রেকর্ড করা ভিডিওগুলো মুছে দেয়।

প্রতিবেদক যখন নিজের সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করেন, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কবিরাজের অনুসারীরা তাকে সংবাদ প্রচার না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে “ভুয়া সাংবাদিক” বলে অপবাদ দেয়।

কবিরাজের একজন দালাল (মনির করিম নামে একজন ব্যক্তি) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবেদকের একটি ভিডিও আপলোড করে অপমানজনক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে থাকে। একই সঙ্গে, কবিরাজ মোখলেছুর রহমান স্থানীয় চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনীকে ফোন করে ডেকে আনে। তারা প্রতিবেদককে হুমকি দেয় যে, সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে “চাঁদাবাজ” হিসেবে গণপিটুনি দিয়ে জনসমক্ষে অপদস্থ করা হবে।

এছাড়া, প্রতিবেদকের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এই সংকটজনক অবস্থায় প্রতিবেদক দ্রুত ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে থানার এসআই সঞ্জয় ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সাংবাদিককে উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবিরাজের ক্যাডার বাহিনী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কবিরাজ মোখলেছুর রহমান নিজেই প্রতারণার কথা স্বীকার করে। আশপাশের সাধারণ মানুষও পুলিশকে ঘটনার সত্যতা এবং সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে অবগত করেন।

ঘটনার পর ৬ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানায় ডাঃ শেখ মোঃ মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা, হুমকি দেওয়া, গোপনে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলা, অপপ্রচার চালানো এবং একজন সংবাদকর্মীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এমন প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করার সাহস না পায়।

এছাড়া অনেকে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এই ধরনের ভুয়া চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও নিরাপদ রাখতে।

এই ঘটনা শুধু একজন কথিত কবিরাজের মুখোশ উন্মোচনের ঘটনা নয়, বরং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, স্বাধীন অনুসন্ধান এবং মত প্রকাশের অধিকার নিয়েও এক বড় প্রশ্ন তুলেছে। একজন পেশাদার সংবাদকর্মী যখন প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামেন, তখন তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজে থাকা এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উবির বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উবির বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া

হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুরর্তেজা কামাল।

‎বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু তাহের মিয়ার সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক নুরুল আমিন মিয়ার পরিচালনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপির চেয়ারম্যান কাজী নুরুল রহমান বেলাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিব উল্লাহ মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক পরিচালানা পর্সদের অভিভাবক সদস্য খালেকুজ্জামান শামীম, কাঁকৈরতলা জনতা কলেজের সহকারি অধ্যাপক কবির হোসেন, কাজী মনিরুল হক, মোজাম্মেল হক কাজল, সাবেক অভিভাবক সদস্য আব্দুল হক মোল্লা মানিক, দাতা সদস্য মোস্তফা কামাল মিয়া, অভিভাবক এনামুল হক পাটোয়ারী, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ রায়।

মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এটি হোসাইন আহমেদ তালুকদার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন।

‎এসময় রাজনীতিবীদ বিল্লাল হোসেন সাহেব, সাবেক অভিভাবক সদস্য কামরুজ্জামান সেলিম ও আলী মুন্সীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

কচুয়ায় প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে লাশ হলেন প্রেমিক

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে লাশ হলেন প্রেমিক

নিহত প্রেমিক তুষার।

কচুয়ায় প্রেমিকার বাড়িতে মধ্যরাতে দেখা করতে গিয়ে লাশ হয়েছেন প্রেমিক নূর মোহাম্মদ তূষার (২৫) নামে এক যুবক। এই ঘটনায় প্রেমিকাসহ দুজনকে আটক করছে কচুয়া থানা পুলিশ। উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ তুষার ও একই উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে প্রেমিকা হিমা আক্তার (১৮) সাথে সোমবার দিবাগত রাতে দেখা করতে গেলে প্রেমিকার পরিবার ও বাড়ির লোকজন প্রেমিক তুষারকে আটক করে মধ্যযুগীয় বর্বরতা নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেন। তুষারের মা তাছলিমা বেগম প্রেমিকার বাড়ির থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে সোমবার দুপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় তুষার মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের মা তাসলিমা বেগম জানান, আমার ছেলে ও হিমা আক্তারের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাকে বিয়ে করবে বলে সোমবার দিবাগত রাতে আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে হিমা আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। হিমার বাড়ির এক লোক আমাকে ফোন দিলে বলে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি ওইখানে গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাই, ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন নিহতের মা।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, হত্যাকা- সন্দেহে প্রেমিকা হিমা আক্তার ও তার মা হাছিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য জন্য পাঠানো হয়েছে।