খুঁজুন
রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১

কচুয়ায় নব-যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষকদেরকে বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় নব-যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষকদেরকে বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

কচুয়ায় নব নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন অতিথিবৃন্দ।

কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানা।

এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষকতা এক মহান পেশা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই হলেন শিক্ষিত জাতি গড়ার মূল চালিকা শক্তি। নবীন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কচুয়া উপজেলায় ১৭১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং প্রায় ১হাজারের উপরে শিক্ষক রয়েছে যারা খুব আন্তরিকতার সাথে কচুয়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের নিজেদের পেশাগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে কেননা আপনারা দেখেছেন বর্তমান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করেছে। সহকারী শিক্ষকদের ও ভালো কিছু হতে পারে বলে আমি আশা রাখি,তাই এখন আর এ পেশাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির নির্বাহী কমিটির সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ইন্সপেক্টর কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র দাস, মোহাম্মদ শাজাহান ও জামাল হোসেন।

এ সময়ে আরাে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, মো. আরিফুল হাসান, যুগ্ন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, কাদলা ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইউনুস মিয়া, নব যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষক মাসুদ আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সমিতির নেতৃবৃন্দ কচুয়া উপজেলায় নব যোগদানকৃত ৫১ জন শিক্ষককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক : হাসি ফুটলো ৫০০ শিশুর

মাত্র ৫ টাকা! এই টাকায় হয়তো আমরা এক কাপ চা কিনি কিন্তু চাঁদপুরের ফরাক্কাবাদের ৫০০ শিশুর কাছে এই ৫ টাকা ছিল ঈদের নতুন জামার স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। ঈদের আনন্দ যেখানে অনেকের জন্য নতুন পোশাকের হাসি, সেখানে ফরাক্কাবাদের শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সেই হাসি ছিল অনিশ্চিত। তাদের সেই স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠন।

“মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ” এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে, দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বপ্নতরু। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের ফরাক্কাবাদ শাখা আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমী ঈদ বাজারের।

শনিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ যেন রঙিন হয়ে ওঠে সেই শিশুদের হাসিতে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ৫ টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হয় নতুন ঈদের পোশাক।

তবে এটি কোনো দান নয়, ছিল এক সম্মানের আয়োজন। শিশুদের হাতে জামা তুলে দেওয়া হয় ‘ক্রয় করার’ অনুভূতি দিয়ে, যাতে তারা বুঝতে পারে এই জামা তারা নিজেরাই কিনেছে, দয়ার হাত পেতে নয়।
স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমরা চাই, কেউ যেন ঈদের দিনে নতুন জামা না পেয়ে কষ্টে না থাকে। সেই ভাবনা থেকেই ৫ টাকার বিনিময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। যাতে তারা বোঝে, এ আনন্দ তাদের নিজের অধিকার।”

ঈদের নতুন জামা হাতে পেয়ে অনেক শিশুর চোখে ছিল খুশির জল। কারও হাতে রঙিন জামা, কারও হাতে নতুন ফ্রক, কেউবা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বলছিল এবার আমিও নতুন জামা পরব!”
ফরাক্কাবাদের স্কুল মাঠের সেই দৃশ্যটা যেন ছিল মানবতার সবচেয়ে সুন্দর ছবির মতো।

মাত্র ৫ টাকায় কেনা জামার বিনিময়ে শত শত শিশুর মুখে ফুটে উঠলো ঈদের হাসি। স্বপ্ন দেখুক তারা, এগিয়ে যাক মানবতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্বপ্নতরু সংগঠনের সকল শাখার সদস্যরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বন্ধু মোহাম্মদ নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা।

চাঁদপুর এসএসসি ৯৩ ব্যাচ বন্ধু মহলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেডচিলি চাইনিজ এন্ড রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে অংশ নেন এসএসসি ৯৩ ব্যাচের বন্ধু ও বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

ইফতার মাহফিলের পূর্বে ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা মিলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে বন্ধু মহলের আব্দুল গফুরের দোয়া ও মুনাজাত পরিচালার মাধ্যমে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চাঁদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৩ ব্যাচের সকল বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করার লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শনিবার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আহত ও শহিদ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪৫ জন আহত এবং ৩১ জন শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৯ জন শহীদ পরিবারকেও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।

ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ২ কেজি পোলাওয়ের চাল, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সেমাই ৪ প্যাকেট, চিনি ১ কেজি, কিসমিস ও গুড়া দুধ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, আমি চেয়েছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন পবিত্র ঈদুল ফিতর সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার জন্যে একটু ক্ষুদ্র উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।

ডিসি আরো বলেন, শুধুমাত্র ঈদ নয়, সবসময়ই চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। আমি আশাকরি রাষ্ট্রও সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। কারণ রাষ্ট্র সবসময়ই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং শহীদদের কথা ভাবেন এবং চিন্তা করেন।