খুঁজুন
শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তদন্ত শুরু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফাহিম হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এসে অভিযোগকারী মো. আরাফাত হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের এবং নিয়োগকালিণ সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ খোরশেদ আলম চৌধুরীর বক্তব্য শুনেন এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

এব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যা আল মামুন জানান, তদন্তের শুরুতে আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। অভিযোগের আলোকে নিয়োগ বিধিমালা যাচাই বাছাই করে আমরা রিপোর্ট প্রদান করবো। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ১২মে যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরাফাত হোসেন গত ৪ মে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং কলেজের গভর্নিংবডির বর্তমান সভাপতি ও ফরিদঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই বছরের ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত নিয়োগ বোর্ড বর্তমান অধ্যক্ষ হরিপদ দাসকে নিয়োগ প্রদান করেন। হরিপদ দাস এরপূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগকারীর দাবি অধ্যক্ষ পদে হরিপদ দাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান এর অবৈধ হস্তক্ষেপে অবৈধ উপায়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কলেজের নামে উপজেলা পিআইও অফিস থেকে বিগত চার বছরে ৮/১০ টি আর/কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগও করা হয়।

অভিযোগ প্রাপ্তির পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদস্ত কমিটি সেই অনুযায়ী বুধবার (২১ মে ২০২৫) তদন্তের জন্য কলেজে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে চাঁসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

শনিবার সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকটি ভ্যানুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেন। তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রীতে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা করেন। বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

বহু শিক্ষার্থীরা তীব্র যানজটের কারণে উপকেন্দ্রে পৌছাতে দেরি হওয়ায় দ্রুততার সহিত অন্যান্য উপকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।

এছাড়াও শ্রেণীকক্ষ খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা, তাদের আনুষঙ্গিক ব্যাগ মোবাইল জমা রাখা সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ডি.এম ফয়সাল, সহ-সভাপতি কে.এম মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরহাদ, সদস্য আল আমিন সাইফি, ইব্রাহিম মজুমদার, বায়েজিদ বেপারী ও মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।

ফেসবুকে পরকিয়া সম্পর্ক করে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভারতে পাচার, আটক নারী

শওকত আলী
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফেসবুকে পরকিয়া সম্পর্ক করে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভারতে পাচার, আটক নারী

চাঁদপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের প্রতারক সুজিত সরকার আকাশের। দির্ঘদিন তাদের সম্পর্কে একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্তপ্ত করত। অবশেষে দেখা করার কথা বলে চাঁদপুরে এসে কৌশলে প্রবাসীর স্ত্রীকে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই নয়ন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে তিনজনকে বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলা প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই বিল্লাল হবিগঞ্জের মাধবপুর ৪নং আদাঐর ইউনিয়ন থেকে মামলার দ্বিতীয় আসামী শৈলেন সরকারের মেয়ে স্বরনিকা সরকারকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা নিয়ে আসে।

শনিবার দুপুরে পুলিশের হাতে আটক হওয়া দ্বিতীয় আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় পাচার করেছ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় মামলার বাদী নয়ন চন্দ্র শীল জানায়, আমার ছোট বোনকে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত প্রধান আসামি আকাশ। পরে তারা তিনজন মিলে চাঁদপুরে এসে বাবুরহাট স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠিয়ে তুলে নিয়ে ইন্ডিয়ায় পাচার করে দেয়। এ সময় বোনের সাথে স্বর্ণালংকার ছিল তা অপহরণকারীরা নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামিকে ধরার জন্য হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে অভিযান চালায়। কিন্তু এর পূর্বেই ছোট বোনকে আসামি আকাশ কৌশলে ইন্ডিয়ায় পাচার করে দেয়। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আকাশের বোন জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ পায় পুলিশ। আমি আমার বোনকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়ার পর বাবুরহাট এলাকা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় হবিগঞ্জে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় মামলার দ্বিতীয় আসামিকে আটক করে চাঁদপুরে এনে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।

কচুয়ায় এক পরিবারের ৮ জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন-যাপন

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় এক পরিবারের ৮ জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন-যাপন

পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগই বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী। ওই পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। এ কারনে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ওই পরিবারটি।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়ায় এক বাড়িতে ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়ার অধিবাসী আবুল হাসেম জন্মগত ভাবেই একজন বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন, মেয়ে কুহিনুর আক্তার, বোন সাহিদা আক্তার ও নাতনি রিয়া আক্তার, নাতি সিয়াম হোসেন ও মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন শারীরিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসেম প্রথমে বাক প্রতিবন্ধী হয়। পরবর্তীতে একে একে তার বোন, মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ পরিবারে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে এ পরিবারটি এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পড়েছে বিপাকে। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব অসহায় প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. নাহিদ ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আবুল হাসেম ও তার পরিবারের অপর শারিরিক প্রতিবন্ধী সদস্যরা সমাজসেবার আওতায় ভাতা পাচ্ছেন। এর বাহিরে অপর সদস্যদের জন্য হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার সুযোগ থাকলে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।

এদিকে বাক প্রতিবন্ধী আবুল হাসেম ও তার মেয়ের জামাতা শারিরিক প্রতিবন্ধী মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৭০৩-৩৭৯৬৪৬ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন অসহায় এ পরিবারটি।