খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার হত্যা মামলা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
আবরার হত্যা মামলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতের রায় অনুযায়ী ২০ জনের মৃত্যুদন্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। আসামিদের (ডেথ রেফারেন্স) মৃত্যুদন্ড অনুমোদন এবং আপিল খারিজ করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। আর আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু। এছাড়া আদালত কক্ষে আসামিদের পরিবারের সদস্য এবং ভিক্টিম আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ ও বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, রায়ে তারা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে, এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেটিও প্রত্যাশা তার।  নিম্ন আদালতের রায় বহাল রয়েছে। এ রায়টা যেন অতিদ্রুত কার্যকর হয়। আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। এ রায় দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। একজন আসামির জেল থেকে পলাতকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা ছয় মাস পরে জানলাম। এটা আমাদের কাছে প্রশ্ন না করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন করাই ভালো। এটা আমরা কিছু বলতে পারবো না।

রায়ের পর এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাইয়াজ বলেন, রায় বহাল রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট। আমরা আশা করবো অতি দ্রুত যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলো সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করা।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদন্ড হলে, তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দন্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি আপিল করেন কারাগারে থাকা দন্ডিত আসামিরা। আসামিদের এই ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে এক দিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ শুনানিতে ছিলেন। আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ শুনানিতে অংশ নেন।

প্রায় চার বছর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেওয়াল ভেঙে পালান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।

তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মতলব দক্ষিণ উপজেলার একঝাঁক তরুনদের আয়োজনে মতলব টিভি কাপ মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মতলব নিয়ে হোস্টেল মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ফাইনাল খেলায় ব্যাচ ২০২৪ দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্যাচ ২০২৩ বিজয় লাভ করে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে ও মতলব মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্ট কমিটির আয়োজক তানভীর আহমেদ হৃদয়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক প্রথম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব আশরাফুর রহমান বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।

উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. তোফাজ্জল হোসেন লিটন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবদল নেতা আমির খান, মতলব পৌর বিএনপি নেতা কায়েস প্রধান, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম শিপলু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম লিংকন, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রধান, ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য (ছাত্র প্রতিনিধি) মোঃ ফয়সাল খন্দকার, আমিনুল ইসলাম সাব্বির, অনিক খান ও ছাত্রনেতা মোল্লা মাহিন প্রমূখ

পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

আনিসুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জীবিকার টানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে চাকুরি করে এদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ। বাড়িতে একমাত্র ভাই থাকলেও তিনিও শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকেও দেখভাল করার কেউ নেই। ফলে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখশোনা করার জন্য তিনি ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়িতে আসার পর পৈত্রিক সম্পত্তি কাগজপত্র হালনাগাদও করেছেন। তারপরও তার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি নিজের পৈত্রিক ভুমির উপর নিজেই মালিকানা সত্ত্ব নিশ্চিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপাসা বাজারের।

সাইনবোর্ড লাগানোর কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী আরিফুর রহমান বলেন, রূপসা মৌজার সিএস ওয়ারিশ সূত্রে মালিক শর্তে বি এস ফাইনাল হওয়ার পরেও নিজেদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত শঙ্কায় আমি আমার পরিবারের পক্ষে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজারে সংলগ্ন ভূইয়া বাড়ির সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।
তিনি জানান, তার পিতা নূর মিয়া ও তার দুই ভাই মালিক হন ২৭ শতক জমির। সেই অনুযায়ী ১৪০ নং রূপসা মৌজার সিএস ৮ নং খতিয়ানে দাগ ১৭১৩ আর এস ২৩ খতিয়ান এবং বিএস চূড়ান্ত ৩১৪১ দাগে খারিজি ৩৪৪৩ তার পিতা নূর মিয়া মালিক হন ৯ শতক জমির। এর মধ্যে দুই শতক জমি বিক্রি করার পরে অবশিষ্ট ৭ শতক জমির সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে। ওই জমির আমি খারিজ সম্পন্ন করে নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করছি। এবার দেশে আসার পর জেনেছি আমার চাচাতো ভাই গোলাম মাওলার ওয়ারিশরা হিস্যার বাইরে গিয়ে আমার অর্বতমানে আমাদের সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। যা আইনগত ভাবে সঠিক নয়।

আরিফুর রহমানের নিকাটাত্মীয় রবিউল ইমাম বাবু জানান, আরিফুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই যেন একজন প্রবাসী দেশে না থাকার সুযোগে নিজের জন্মভূমিতে নিজের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাই কাম্য।

বর্তমান এই জমির মালিকানা দাবি করা আশরাফুল আলম ও মাওলানা মোস্তফা কাজী জানান, তারা ওই জমি ক্রয় সূত্রে মালিক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল আলম ও মোস্তফা কাজী মালিকানা স্বত্ত্বাবিহীন কাগজপত্র দিয়ে জমি ক্রয়ের কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

আরিফুর রহমানের ভাতিজা মৃত গোলাম মাওলার ওয়ারিশ গোলাম মাহমুদ গংদের না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব উত্তর উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে মাদক বিরোধী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ঠেটালীয়া এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহমান (৩৯) এবং মোঃ ইউসুফ সাইদ (৪৭) কে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তির নিকট হতে ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ১ টি মোবাইল এবং ১৫০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্ধার কৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত ব্যক্তিদেরকে মতলব উত্তর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।