খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

 রোজার শুরুতেই বিদেশি ফলের চড়া দাম, দেশিতেও অস্বস্তি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
 রোজার শুরুতেই বিদেশি ফলের চড়া দাম, দেশিতেও অস্বস্তি

রোজায় খেজুরের পর বেশি চাহিদা থাকে সব রকম রসালো ফলের। শুল্ক কমানোয় খেজুরের দাম এবার হাতের নাগালে থাকলেও আপেল, কমলা, মাল্টাসহ বিদেশি সব ফলের দাম চড়া। সরকার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি করা এসব ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৮০ টাকা।

দাম বাড়ার জন্য বাড়তি দরে শুল্কায়ন ও ডলার সংকটকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে কিছু দেশি ফলের সরবরাহ ভালো। আনারস, কলা, পেয়ারা, বরইয়ের মতো ফলের সঙ্গে আগাম তরমুজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কারণে ক্রেতারা দেশি ফলের দিকে ঝুঁকছেন বেশি। যদিও সেখানেও স্বস্তি নেই দামে।

শনিবার (২ মার্চ) রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, রামপুরা ও কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে।

একদিকে ডলারের দাম বেশি। শুল্কায়নের ক্ষেত্রেও কিছু জটিলতা আছে। বাজারে এসবের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার একদফা শুল্ক-ভ্যাট বাড়িয়েছে। বিদেশি ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রতি কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ৫০-৮০ টাকা। বাজারে দেশি মাল্টার সরবরাহ কম, তাতে ২২০ টাকা কেজির আমদানি করা মাল্টা কিনতে হচ্ছে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। কোথাও কোথাও দাম আরও বেশি চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি কমলার দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। কমলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। বাড়তি আপেলের দামও। আপেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানে খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, কমলার মতো রসালো ফলের চাহিদা বেশি থাকে। ঠিক রমজানের আগেই বেড়েছে এই ফলের দাম।

তবে সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা স্থিতিশীল আছে আঙুরের। বাজারে এখন দুই পদের আঙুর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সবুজ আঙুরের দাম ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। আর ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে কালো আঙুর।

ক্রেতা মকসুদ হোসেন বলেন, ৩০০ টাকার নিচে এখন কোনো ফল নেই। গত কয়েকদিনের চেয়ে প্রায় ৫০ টাকা বেশি। যৌক্তিক-অযৌক্তিক পরিস্থিতি যাই হোক, রমজানের শুরুর দু-একদিন ফলের দাম অস্বাভাবিক বাড়বে, এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে।

বিদেশি ফলের দাম বেশি হওয়ার কারণে বেড়েছে দেশি ফলের চাহিদা। এই সুযোগে দেশি ফলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০-১৩০ টাকা, তরমুজ ৬০-৮০ টাকা কেজি ও আনারস প্রকারভেদে ৪০-১০০ টাকা প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ১২০-১৫০ টাকা কেজি, বাঙ্গি প্রতিপিস ১০০-১৫০, বেল ৮০-১২০ পিস, কলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

বিদেশি ফলের দাম বাড়ার কারণে দেশি ফলের দাম বেড়েছে বলে জানিয়ে এক ক্রেতা ইয়াকুব আলী বলেন, কয়েকদিন আগে পেয়ারা কিনেছি ৮০ টাকা, আজ ১২০ টাকা। বরইয়ের দাম ১৫০ টাকায় ঠেকেছে, যা ৫০-৬০ টাকা কম ছিল। বিদেশি আপেল কমলার দামের সঙ্গে এগুলোর দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

রামপুরা বাজারে ফল বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন বলেন, পাইকারি বাজারে ফলের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে সরবরাহ ভালো।

এদিকে ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘একদিকে ডলারের দাম বেশি। শুল্কায়নের ক্ষেত্রেও কিছু জটিলতা আছে। বাজারে এসবের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার একদফা শুল্ক-ভ্যাট বাড়িয়েছে। বিদেশি ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।’

এ বর্ধিত শুল্কের কারণে খুচরা বাজারে আপেল, কমলা ও আঙুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে। রমজানের আগে ফল আমদানি কমেছে। যার কারণে এখন দামের ওপর তার বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।

এদিকে গত সপ্তাহে আমদানি করা ফলের শুল্ক-কর কমাতে এনবিআরকে সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। তাতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ, অগ্রিম কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ৫ শতাংশ আগাম কর বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে তা এখনো কার্যকর হয়নি। যার কারণে রমজানে বাড়তি দামে ফল খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশে ১২৮ দশমিক ৫১ মিলিয়ন ডলারের তাজা ফল আমদানি হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তাজা ফল আমদানিতে এলসি তিন দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ১৪০ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মোঃ রবিউল আলম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম:আশরাফুর রহমান বাবু

মতলব দক্ষিণ উপজেলার একঝাঁক তরুনদের আয়োজনে মতলব টিভি কাপ মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মতলব নিয়ে হোস্টেল মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ফাইনাল খেলায় ব্যাচ ২০২৪ দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্যাচ ২০২৩ বিজয় লাভ করে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে ও মতলব মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্ট কমিটির আয়োজক তানভীর আহমেদ হৃদয়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক প্রথম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব আশরাফুর রহমান বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।

উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. তোফাজ্জল হোসেন লিটন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবদল নেতা আমির খান, মতলব পৌর বিএনপি নেতা কায়েস প্রধান, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম শিপলু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম লিংকন, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রধান, ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য (ছাত্র প্রতিনিধি) মোঃ ফয়সাল খন্দকার, আমিনুল ইসলাম সাব্বির, অনিক খান ও ছাত্রনেতা মোল্লা মাহিন প্রমূখ

পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

আনিসুর রহমান সুজন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ

গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জীবিকার টানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে চাকুরি করে এদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন ফরিদগঞ্জের প্রবাসী আরিফ। বাড়িতে একমাত্র ভাই থাকলেও তিনিও শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকেও দেখভাল করার কেউ নেই। ফলে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখশোনা করার জন্য তিনি ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়িতে আসার পর পৈত্রিক সম্পত্তি কাগজপত্র হালনাগাদও করেছেন। তারপরও তার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি নিজের পৈত্রিক ভুমির উপর নিজেই মালিকানা সত্ত্ব নিশ্চিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপাসা বাজারের।

সাইনবোর্ড লাগানোর কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী আরিফুর রহমান বলেন, রূপসা মৌজার সিএস ওয়ারিশ সূত্রে মালিক শর্তে বি এস ফাইনাল হওয়ার পরেও নিজেদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত শঙ্কায় আমি আমার পরিবারের পক্ষে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজারে সংলগ্ন ভূইয়া বাড়ির সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।
তিনি জানান, তার পিতা নূর মিয়া ও তার দুই ভাই মালিক হন ২৭ শতক জমির। সেই অনুযায়ী ১৪০ নং রূপসা মৌজার সিএস ৮ নং খতিয়ানে দাগ ১৭১৩ আর এস ২৩ খতিয়ান এবং বিএস চূড়ান্ত ৩১৪১ দাগে খারিজি ৩৪৪৩ তার পিতা নূর মিয়া মালিক হন ৯ শতক জমির। এর মধ্যে দুই শতক জমি বিক্রি করার পরে অবশিষ্ট ৭ শতক জমির সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে। ওই জমির আমি খারিজ সম্পন্ন করে নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করছি। এবার দেশে আসার পর জেনেছি আমার চাচাতো ভাই গোলাম মাওলার ওয়ারিশরা হিস্যার বাইরে গিয়ে আমার অর্বতমানে আমাদের সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। যা আইনগত ভাবে সঠিক নয়।

আরিফুর রহমানের নিকাটাত্মীয় রবিউল ইমাম বাবু জানান, আরিফুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই যেন একজন প্রবাসী দেশে না থাকার সুযোগে নিজের জন্মভূমিতে নিজের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাই কাম্য।

বর্তমান এই জমির মালিকানা দাবি করা আশরাফুল আলম ও মাওলানা মোস্তফা কাজী জানান, তারা ওই জমি ক্রয় সূত্রে মালিক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল আলম ও মোস্তফা কাজী মালিকানা স্বত্ত্বাবিহীন কাগজপত্র দিয়ে জমি ক্রয়ের কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

আরিফুর রহমানের ভাতিজা মৃত গোলাম মাওলার ওয়ারিশ গোলাম মাহমুদ গংদের না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মতলব উত্তর উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে মাদক বিরোধী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ঠেটালীয়া এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহমান (৩৯) এবং মোঃ ইউসুফ সাইদ (৪৭) কে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তির নিকট হতে ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ১ টি মোবাইল এবং ১৫০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্ধার কৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত ব্যক্তিদেরকে মতলব উত্তর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।