খুঁজুন
শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

হাইমচরের কাটাখালির ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি এখন কালের স্বাক্ষী

শওকত আলী
প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
হাইমচরের কাটাখালির ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি এখন কালের স্বাক্ষী

মোঘল আমলের আদলে নির্মিত শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্য ধারন করে দাড়িয়ে আছে চুন সুরকির তৈরী হাইমচরের কাটাখালির ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি কালের স্বাক্ষী হিসেবে। চাঁদপুরের প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হাইমচর উপজেলার কাটাখালি জামে মসজিদ। বর্তমানে এটি কাটাখালি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামে পরিচিত।

১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মসজিদ এখন স্থানীয়দের কাছে ইবাদতের মারকাজ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মোঘল আমলে তৈরি মসজিদগুলোর আদলে তৈরি হয়েছে এ মসজিদ। স্থানীয়দের দান-অনুদানেই চলছে মসজিদের নিয়মিত ব্যয়।

সংস্কার হলে মসজিদটির সৌন্দর্য আরও বিকশিত হবে, এমন অভিমত এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লিদের।

গত শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কাটাখালি জামে মসজিদ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মসজিদ এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির দেয়ালের দুরুত্ব ৩ বর্গফুট। মূল মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। মসজিদের অভ্যন্তরে তিনটি গম্বুজের নিচে খুবই চমৎকার শৈল্পিকতায় আঁকা রয়েছে ১২টি নকশা। মূল ভবনে কোনো পিলার নেই, তবে বারান্দায় রয়েছে ২৪টি পিলার।

নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার হয়েছে চুন-সুরকি। ঝুলন্ত বিম রয়েছে দুটি। মেহরাব বড় একটি এবং ছোট তিনটি। কোরআন শরিফসহ ধর্মীয় গ্রন্থ রাখার জন্য বক্স আছে একটি। মসজিদের ওপরে একটি বড় এবং দুই পাশে দুটি ছোট গম্বুজ রয়েছে। মসজিদ ঘেঁষে রয়েছে পুকুর, যাতে রয়েছে বাঁধানো সিঁড়ি।

এ জেলা চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা মূলত মেঘনা উপকুলীয় অঞ্চল। নদী ভাঙনের কারণে এ এলাকার লোকজনকে বারবার বসতি পরিবর্তন করতে হয়। নদী ভাঙনের শিকার অনেকে এ মসজিদের কাছে এসে নতুন করে বসতি গড়েছেন।

পাশের গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মুন্সিও (৭৬) তাদের একজন। নদী ভাঙনের পর মসজিদের পশ্চিমে পরিবার নিয়ে বসতি করে আছেন।

তিনি বলেন, আমার জন্মের পরে এ মসজিদ দেখছি। বিগত প্রায় আড়াই দশক ধরে এ মসজিদে নামাজ পড়ি। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি প্রতি জুমার নামাজ আদায় করি। অনেক সময় মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, কারণ অনেক মুসল্লির সমাগম ঘটে এখানে। অনেক দূর থেকেও মানুষ এসে এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেখা যাচ্ছে।

এ এলাকার আরেক মুসল্লি আলী আহম্মদ গাজী বলেন, এক সময় মসজিদের পশ্চিমে অনেক বসতি ছিল। নদী ভাঙার কারণে মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ছোট বেলায় দেখেছি, মূল মসজিদের অবকাঠামো ছিল স্বল্প পরিসরে। এরপর যারাই এ মসজিদের খেদমতে ছিলেন, তারা মসজিদ সংস্কার করেছেন এবং মুসল্লি বেড়ে যাওয়ায় মসজিদের আকারও বাড়ানো হয়েছে। এখানে প্রতি জুমার নামাজের দিন ৬০০ থেকে ৭০০ মুসল্লি আগমন ঘটে। এছাড়া এ কাটাখালি জামে মসজিদটির সৌন্দর্য দেখার জন্য অনেক স্থান থেকে এখানে শতশত লোকজন আসেন।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হাসান তপাদার বলেন, ছোট বেলা থেকেই মসজিদটি দেখে আসছি। আমাদের পূর্বপুরুষরাই এ মসজিদে প্রথমে সাত শতাংশ জমি দান করেন এবং পরে আরও জমি দান করেন। এর মধ্যে একজন জমিদাতা হলেন আব্দুর রহমান। বর্তমানে মসজিদ এরিয়াটি প্রায় ৩৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গত কয়েক বছর ধরে বারান্দাসহ মসজিদের অংশ বাড়ানো হয়েছে। যারাই এ মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন, প্রত্যেকেই আন্তরিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

হাসান তপাদার আরও বলেন, মসজিদের খুব কাছে মেঘনা নদী। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিমে কিছু অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী করছেন, ভাঙন প্রতিরোধেও সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা খলিলুর রহমান বলেন, দুই বছরের বেশি সময় এ মসজিদের খেদমতে আছি। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এ মসজিদে লোকজন নামাজ পড়তে আসেন। জুমার দিন ছাড়াও এ কাটাখালি জামে মসজিদে নিয়মিত জামায়াতে প্রায় ৩০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করছেন।

মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মফিজ উল্লাহ শাহ্ বলেন, চাঁদপুরের দক্ষিণে কাটাখালি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অনেক সুনাম রয়েছে। শুধুমাত্র নামাজ আদায় করার জন্য অনেক লোক চাঁদপুর জেলার বাইরে থেকেও একানে আসছেন।

তিনি বলেন, আমাদের মসজিদটির মূল ভবন এমনভাবে তৈরি, যেখানে শুধুমাত্র চুন-সুরকি ব্যবহার হয়েছে। ইট-সিমেন্ট ও বালুর ব্যবহার হয়নি। যখন বাইরে প্রচন্ড গরম, তখন মসজিদের ভেতরে নামাজ আদায় করলে খুব শীতল অবস্থার অনুভূত হয়।

মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
মধ্যরাতের পর খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় আজ মধ্যরাতের পর লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ইনশাআল্লাহ কাতার এয়ার লাইন্সের মাধ্যমে আজ মধ্যরাতের পর বা আগামীকাল সকালে উনাকে (খালেদা জিয়াকে) লন্ডনে নিয়ে যাবো। দেশ-দেশের বাইরের বেশ কিছু চিকিৎসক উনার সঙ্গে যাবেন।

তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসকেও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এদিকে, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় আসছেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

গত ২৩ নভেম্বর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন।

৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

আরও যে ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
আরও যে ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়:

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আব্দুস সালাম, দিনাজপুর-৫ আসনে এ কে এম কামরুজ্জামান, নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু, নাটোর-৩ আসনে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সেলিম রেজা, যশোর-৫ আসনে এম ইকবাল হোসেন, নড়াইল-২ আসনে মো. মনিরুল ইসলাম, খুলনা-১ আসনে আমির এজাজ খান, পটুয়াখালী-২ আসনে মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-৩ আসনে জয়নুল আবেদীন, ঝালকাঠি-১ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল।

টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোঃ আবু ওয়াহাব আখন্দ ওয়ালিদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মজিবর রহমান ইকবাল, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ জিন্নাহ কবির, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মোঃ কামরুজ্জামান, ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিবুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, গাজীপুর-১ আসনে মোঃ মজিবুর রহমান, রাজবাড়ী-২ আসনে মোঃ হারুন অর রশীদ।

ফরিদপুর-১ আসনে খন্দোকার নাসিরুল ইসলাম, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার, মাদারীপুর-২ আসনে জাহান্দার আলী খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাসির হোসেন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নুরুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৈধুরী, হবিগঞ্জ-১ আসনে রেজা কিবরিয়া, কুমিল্লা-২ আসনে মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৬ আসনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নাজমুল মোস্তফা আমীন ও কক্সবাজার-২ আসনে আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।

এর আগে ২৩৭টি আসনে নিজেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি।

রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রামপুরে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন

“বই পড়লে আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই” বইয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ এই স্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। যুব সমাজকে মাদক ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার ৩১ অক্টোবর বিকালে বদরখোলা বাজারে বিদ্যাঘর পাঠাগার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগীও সমাজসেবক মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।


বিদ্যাঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যাঘর পাঠাগারের সচিব আমিরুল ইসলাম রিয়াজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মাষ্টার, সাবেক সহকারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মমিনুল হক রাজাপুরী, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ শরীফুল্লাহ।

এছাড়াও এলাকার নবীণ প্রবীণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদ্যাঘর পাঠাগারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন মনিষীদের বই পাঠাগারে রাখতে হবে। পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য ইসলামী বই সংরক্ষণ করতে হবে।