খুঁজুন
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন, ১৪৩২

আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ আন্দোলন

ছাত্রজনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে চলছে। এই অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তার প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন আছে অসংখ্য। অনেকে এক বছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আবার কেউবা যতটুকু পূরণ হয়েছে তা এবং পরে আরও ভালো করার প্রত্যয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চেয়েছেন।

তবে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উভয়পক্ষই হয়ে পড়েছেন বেশ স্মৃতিকাতর। এক বছর আগের জুলাই মাসে কোনদিন কী ঘটেছিল, সেসবের স্মৃতি রোমন্থন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা জাগ্রত রাখতে বদ্ধপরিকর সবাই। সবারই এক কথা, জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই তো গণঅভ্যুত্থানের সহায়ক যেসব বিষয় ছিল, সেসব নিয়েও চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।

গণঅভ্যুত্থানে যেসব শক্তি সবচেয়ে বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিল তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাড়ে ১৫ বছরেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে না পারলেও শিক্ষার্থীরা তা মাত্র ৩৬ দিনেই সম্ভব করেছিলেন। এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন- এমনটিই মনে করেন ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

কেননা তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বত্র ছিল আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের একক আধিপত্য। তারা কোনোভাবেই এমন একটি আন্দোলন সফল হতে দিতে চাইতেন না এবং ২০১৮ সালের মতো বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তারা নিজেরাই আন্দোলনে থাকায় সেটি তো করতে পারেননি বরং ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন।

২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। পরের বছর ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ২০২৪ সালের মার্চ থেকেই বিবৃতি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ছোট ছোট কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এর সঙ্গে দ্রুতই যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা এ স্কিমকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মচারী ঐক্য পরিষদসহ সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা ঈদের পরে বেশ কয়েকদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। তবে এ সময়ে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা এর আওতামুক্ত ছিল। ১ জুলাই থেকে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান। কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস, অনলাইন-সান্ধ্যকালীন ক্লাস ও শুক্র-শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস, সব পরীক্ষা, বিভাগীয় অফিস-সেমিনার-কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার, একাডেমিক কমিটি-সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি এবং প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা, অনুষদের ডিন কার্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ, বাছাই বোর্ডের সভা, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, ক্লাস ও পরীক্ষা, সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের ক্লাস, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ কর্যালয় এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে একইদিন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। ক্লাস-পরীক্ষা এবং লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলনে অংশ নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতেন। কিন্তু শিক্ষকদের পক্ষ থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করায় সেই বিষয়টি ছিল না।’

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয়টি, সেটি হলো নীল দল তথা সরকারপন্থি শিক্ষকদের আস্ফালন দেখানোর সুযোগ এই আন্দোলনের মাধ্যমে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে যেমন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ক্লাসে না এলে ফেল করিয়ে দেওয়া, আন্দোলনে অংশ নিলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়াসহ নানান হুমকি দেওয়া হতো। ২০২৪ সালে সেটি সম্ভব হয়নি।

এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও বর্তমানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিলের পরে তৎকালীন ভিসি আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, তোমরা আন্দোলন বন্ধ করো না হলে তোমাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। নীল দলের শিক্ষকরা হুমকি দিতেন, পরীক্ষায় বসতে দেবেন না। আবার অনেক সময় শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে যাবে, কী কী দরকার সব ম্যানেজ করে দেবে এমন লোভও দেখিয়েছিল। সেসময় আসলে সরাসরি অনেক কোর্স টিচারের হুমকি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আসতে হয়েছে।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ালিদ নাঈম বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের শিক্ষকরা এভাবে বলে দিতেন, আমি ক্লাস নেব। তোমরা আসলে আসবা, না আসলে নাই। না আসলে অ্যাটেনডেন্স দেওয়া হবে না। অ্যাটেনডেন্স না থাকলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। আমরা সেসব হুমকির তোয়াক্কা না করেই যেতাম। ২০২৪ সালে সেই বিষয়টি ছিল না। পরোক্ষভাবে তবু কিছু হুমকি এসেছিল, তবে শিক্ষকদের দাবি না মানায় তাদেরও এক ধরনের চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।

শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে রূপ নিলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও সর্বাত্মক রূপ নিতে শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে শিক্ষকদের আন্দোলনের তীব্রতা হারিয়ে যায়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় তারা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে সরকার পতনের দিকে এগোলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো পূর্বঘোষণা না দিয়েই আন্দোলন স্থগিত করেন। ক্ষমতা হারানোর দুদিন আগে ৩ আগস্ট প্রত্যয় স্কিম বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আসন্ন দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

​উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিয়া হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসন এবং বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও নাজিয়া হোসেন বলেন, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ বছর শাহরাস্তি উপজেলায় মোট ১৯টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল বাসার, হাজীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ইমদাদুল হক, চাঁদপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবুল হোসাইন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী, উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ মোস্তফা কামাল, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নিখিল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমৃত মজুমদার টুটন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. কমল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র দাশ (মাধু), শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়ার সভাপতি বাবু হারাধন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণকান্ত দে।

​সভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া পূজার দিনগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

​সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
শাহরাস্তিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

শাহরাস্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩শ’৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাত্তলা এলাকায় বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ২শ’ ৫০ পিস ইয়াবাসহ মনির হোসেন (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

অন্যদিকে শাহরাস্তি থানাধীন আয়নাতলী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ১শ’ পিস ইয়াবাসহ নুরে আলম (৪০) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা (এফআইআর নং-১১, তারিখ-১৫/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। তারা স্বল্প মূল্যে ইয়াবা কিনে বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে বিক্রি করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছিল।

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার, পিপিএম (বার)। তত্ত্বাবধানে ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ অলি উল্লাহ।

নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে ২০২৫- ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃর্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন, নবীনবরণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথমে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।

পরবর্তীতে কলেজের অডিটোরিয়ামে একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কর্নেল (অবঃ) মোঃ মতিউর রহমান, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: কামাল হোসেন স্যার, গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ আবুল কাশেম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব ওবায়দুল্লাহ হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রমিজ উদ্দীন মাস্টার, গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আলআমীন পারভেজ, গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য ইসরাফীল আলম, দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ উল্লাহ, শ্রীরায়েচর এসআইএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন সুমন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের অভিভাবকদের সরব উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। এ সময় সম্প্রতি এনটিআরসিএ থেকে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষককেও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

তারপর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সবশেষে, শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড শিক্ষকের মাধ্যমে বিশেষ ফাইল বিতরণের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।