খুঁজুন
রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২

আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ আন্দোলন

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ আন্দোলন

ছাত্রজনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে চলছে। এই অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তার প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন আছে অসংখ্য। অনেকে এক বছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আবার কেউবা যতটুকু পূরণ হয়েছে তা এবং পরে আরও ভালো করার প্রত্যয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চেয়েছেন।

তবে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উভয়পক্ষই হয়ে পড়েছেন বেশ স্মৃতিকাতর। এক বছর আগের জুলাই মাসে কোনদিন কী ঘটেছিল, সেসবের স্মৃতি রোমন্থন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা জাগ্রত রাখতে বদ্ধপরিকর সবাই। সবারই এক কথা, জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই তো গণঅভ্যুত্থানের সহায়ক যেসব বিষয় ছিল, সেসব নিয়েও চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।

গণঅভ্যুত্থানে যেসব শক্তি সবচেয়ে বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিল তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাড়ে ১৫ বছরেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে না পারলেও শিক্ষার্থীরা তা মাত্র ৩৬ দিনেই সম্ভব করেছিলেন। এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন- এমনটিই মনে করেন ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

কেননা তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বত্র ছিল আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের একক আধিপত্য। তারা কোনোভাবেই এমন একটি আন্দোলন সফল হতে দিতে চাইতেন না এবং ২০১৮ সালের মতো বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তারা নিজেরাই আন্দোলনে থাকায় সেটি তো করতে পারেননি বরং ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন।

২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। পরের বছর ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ২০২৪ সালের মার্চ থেকেই বিবৃতি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ছোট ছোট কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এর সঙ্গে দ্রুতই যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা এ স্কিমকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মচারী ঐক্য পরিষদসহ সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা ঈদের পরে বেশ কয়েকদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। তবে এ সময়ে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা এর আওতামুক্ত ছিল। ১ জুলাই থেকে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান। কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস, অনলাইন-সান্ধ্যকালীন ক্লাস ও শুক্র-শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস, সব পরীক্ষা, বিভাগীয় অফিস-সেমিনার-কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার, একাডেমিক কমিটি-সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি এবং প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা, অনুষদের ডিন কার্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ, বাছাই বোর্ডের সভা, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, ক্লাস ও পরীক্ষা, সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের ক্লাস, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ কর্যালয় এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে একইদিন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। ক্লাস-পরীক্ষা এবং লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলনে অংশ নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতেন। কিন্তু শিক্ষকদের পক্ষ থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করায় সেই বিষয়টি ছিল না।’

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয়টি, সেটি হলো নীল দল তথা সরকারপন্থি শিক্ষকদের আস্ফালন দেখানোর সুযোগ এই আন্দোলনের মাধ্যমে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে যেমন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ক্লাসে না এলে ফেল করিয়ে দেওয়া, আন্দোলনে অংশ নিলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়াসহ নানান হুমকি দেওয়া হতো। ২০২৪ সালে সেটি সম্ভব হয়নি।

এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও বর্তমানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিলের পরে তৎকালীন ভিসি আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, তোমরা আন্দোলন বন্ধ করো না হলে তোমাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। নীল দলের শিক্ষকরা হুমকি দিতেন, পরীক্ষায় বসতে দেবেন না। আবার অনেক সময় শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে যাবে, কী কী দরকার সব ম্যানেজ করে দেবে এমন লোভও দেখিয়েছিল। সেসময় আসলে সরাসরি অনেক কোর্স টিচারের হুমকি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আসতে হয়েছে।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ালিদ নাঈম বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের শিক্ষকরা এভাবে বলে দিতেন, আমি ক্লাস নেব। তোমরা আসলে আসবা, না আসলে নাই। না আসলে অ্যাটেনডেন্স দেওয়া হবে না। অ্যাটেনডেন্স না থাকলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। আমরা সেসব হুমকির তোয়াক্কা না করেই যেতাম। ২০২৪ সালে সেই বিষয়টি ছিল না। পরোক্ষভাবে তবু কিছু হুমকি এসেছিল, তবে শিক্ষকদের দাবি না মানায় তাদেরও এক ধরনের চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।

শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে রূপ নিলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও সর্বাত্মক রূপ নিতে শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে শিক্ষকদের আন্দোলনের তীব্রতা হারিয়ে যায়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় তারা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে সরকার পতনের দিকে এগোলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো পূর্বঘোষণা না দিয়েই আন্দোলন স্থগিত করেন। ক্ষমতা হারানোর দুদিন আগে ৩ আগস্ট প্রত্যয় স্কিম বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিল (বিআরসি)কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫) বিকেলে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ৬ মাস। বাংলাদেশ রিপোর্টার্স কাউন্সিলের আহবায়ক করা হয়েছে টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি নিম্নরূপ : আহ্বায়ক চ্যানেল এস-এর জয়েন্ট নিউজ এডিটর টিএই এম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব হয়েছেন অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বিল্লাল হোসেন।

যুগ্ম-আহবায়ক : দি ডেইলী স্টেটের সম্পাদক রফিক উল্লাহ্ সিকদার, অর্থনীতির ৩০দিনের সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, অর্থধারার নির্বাহী সম্পাদক জাহিদ আহমদ চৌধুরী বিপুল, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমসের প্রধান সম্পাদক মো: ওমর ফারুক জালাল, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার লায়লা ফেরদৌসী শোহেলী,  ক্রাইম নিউজ গবেষকের হারুন আল কবির নিক্সন, দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণের সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল সেতু, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার নার্গিস জুঁই, খিলগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএইচ পাপ্পু চৌধুরী, আজকের প্রভাতের সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, সদস্য সচিব অপরাধ অনুসন্ধানের সিনিয়র রিপোর্টার মো: বিল্লাল হোসেন, অর্থ-সচিব বাংলা টাইমসের বার্তা সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

সদস্যরা হলেন : নেক্সাস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি তালাত মাহমুদ, একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মানিক সিকদার, সিআইএস-এর চীফ ক্রাইম রিপোর্টার এফএইচঅপু, রূপান্তর সংবাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এস এম মেহেদী,  সময়ের বাংলাদেশের শরীফ মোহাম্মদ মাসুম, জিটুফোর সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, বিডি টাইমস নিউজের সম্পাদক নোমান রহমান, সাপ্তাহিক আমাদের অধিকারের সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন,  ডেইলী রূপসী বাংলার সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, সোনালী খবরের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিয়া, নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভয়েজ এশিয়া ডট কম-এর বার্তা সম্পাদক মো. সাজেদুল হক (ডিউক), বার্তা প্রবাহ যুগ্ম-সম্পাদক  মো. সালাহ উদ্দিন (সালেহ বিপ্লব), বাংলা নিউজ ২৪.কম রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন বাদল, দৈনিক নতুন আশার সম্পাদক আকাশ মিয়াজী, ডেইলী অবজারভার-এর স্টাফ রিপোর্টার তানভির রায়হান, ডেইলী পোস্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার আল-ইহসান, দি৷ ডেইলী আর্থ-এর সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ সাজিদ, দৈনিক মুক্তখবর রিপোর্টার আহমদ আলী, দৈনিক গণকন্ঠ-এর সি: রিপোর্টার মো. সিকান্দর আলী, সময় নিউজ বিডির সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, বিজনেস আই বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক এসএম ফয়সল আহমদ, দৈনিক রূপালীর সিনিয়র রিপোর্টার এম আতাউর রহমান, দৈনিক আমাদের বাংলার সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, চ্যানেল এস-এর নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু , এটিএন নিউজ-এর রিপোর্টার মো. মাহবুবুল হক মাহবুব, বাংলা নিউজ বিডি-এর এসএম শাহ্ জালাল, দৈনিক নতুন আশা-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. এ কে ফজলুল হক (সুমন), দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির সিনিয়র রিপোর্টার নাহিদা আক্তার পপি, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কালাম আজাদ, বিএসআর-এর আনিসুর রহমান আনিস, সকালের সময়-এর স্টাফ রিপোর্টার মিরাজ ইসলাম, চ্যানেল এস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির আহমদ জীবন, চ্যানেল এস  কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু বক্কর, সিআইএস-এর ক্রাইম রিপোর্টার জাকির হোসাইন, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস-এর সাব-এডিটর সেলিনা আক্তার ইতি, এস এম মিডিয়ার পরিচালক সঞ্জয় মোদক, ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মো.  রাজন মাদবর।

সংগঠনটির লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত মান উন্নয়ন, এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা। নতুন কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা শীঘ্রই সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও পেশাগত নীতিমালার উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের সাংবাদিক সমাজ আরও সুসংগঠিত হবে এবং নীতিগতভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীকে বিদায় বা স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ দুইজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন।

যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় আগত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বেবিচক।

হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
হার মানলো অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিন, নিহত বেড়ে ৩৩

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ জনে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন নামের আরও একজন মারা গিয়েছে। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

মাকিনের বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে ছোট মাকিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা এলাকায় জানাজার পর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।