খুঁজুন
শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ়, ১৪৩২

গ্রাহকবান্ধব সেবায় নজর কম অপারেটরগুলোর, থেমে নেই অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
গ্রাহকবান্ধব সেবায় নজর কম অপারেটরগুলোর, থেমে নেই অভিযোগ

দেশে পরিচালিত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কলড্রপ, ইন্টারনেটে ধীরগতি, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি), অটো ইন্টারনেট প্যাকেজ অ্যাকটিভ ও রিচার্জিংয়ের মতো বিষয়। গত ৯ মাসে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রবি আজিয়াটা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, গত ৯ মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকরা প্রায় ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগ করেন। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রায় দুই হাজার ৯৬টি, রবি আজিয়াটার বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার ৭৩১টি, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার ২৪টি ও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় এক হাজার ৯৭টি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিটিআরসি জানায়, কলড্রপ, ইন্টারনেটে ধীরগতি, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি), অটো ইন্টারনেট প্যাকেজ অ্যাকটিভ, রিচার্জিংসহ গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ রয়েছে। এসময়ে ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫২৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি কর্মকর্তা সাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহককে ওয়্যারলেস বা মোবাইল সেবা দিচ্ছি। এরপরও প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা ও সমাধান করি।

সাহেদ আলম আরও বলেন, ‘উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত সমাধানের প্রক্রিয়ায়। আমরা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলছি। গ্রাহকদের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা দিচ্ছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অপারেটরগুলোর সেবা পেতে অনেক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়লেও সবাই অভিযোগ করেন না। আবার অনেক গ্রাহক জানেনও না ভোগান্তির জন্য কোথায় কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। এরমধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব গ্রাহক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত নেটওয়ার্ক ও কলড্রপের মতো সমস্যায় ভুগলেও বিপুল সংখ্যক গ্রাহক অভিযোগ করতে চান না বা অভিযোগের সিস্টেম জানেন না। তাদের দাবি গ্রাহকদের প্রকৃত অভিযোগ অনেক বেশি।

দেশে কম শিক্ষিত বা নিরক্ষর অনেক গ্রাহক রয়েছেন, যারা অপারেটরগুলোর কাছে প্রতারিত হলেও অভিযোগ জানাতে পারেন না- বলেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের বিভিন্ন রকম অভিযোগ থাকলেও অভিযোগ করেন মাত্র কয়েক শতাংশ গ্রাহক। অনেক গ্রাহক সময়ের অভাবে অভিযোগ করতে অপারগতা দেখান। আবার অনেক গ্রাহক জানেন না কোথায় কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে অপারেটরগুলোকে কোনো ছাড় নয়। বরং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রে রয়েছেন আমাদের গ্রাহক। আমরা গ্রাহকদের প্রতিটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সমাধানের চেষ্টা করি। গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষের আস্থাভাজন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানে আমাদের নানান ধরনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নিরন্তর চলছে এবং চলবে।’

জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস গাজী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলালিংকের প্রতিটি গ্রাহকের অভিযোগ আমরা সেবা উন্নয়নের অনন্য সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা দ্রুত, কার্যকরী ও স্বচ্ছভাবে সমাধান করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

‘যদিও অভিযোগের পরিমাণ একটি সূচক মাত্র, আমরা বিশ্বাস করি সমাধানের গতি, গুণমান ও গ্রাহক সন্তুষ্টিই প্রকৃত মূল্যায়ক। তাই বাংলালিংক সম্প্রসারিত ফোরজি কাভারেজ এবং দ্রুততর ডিজিটাল সলিউশন নিশ্চিত করে ক্রমবর্ধমান গ্রাহক চাহিদা পূরণে আরও উন্নত সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’- যোগ করেন অপারেটরটির এ কর্মকর্তা।

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে।’

প্রেস সচিব শনিবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকার আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।

এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হতে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না।

সভায়, সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আলাদা বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের চারমাস পার হলেও এ নিয়ে অগ্রগতি নেই কেন সেই প্রশ্নও তোলে সংগঠনটি।

শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে খুব শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার চাহিদা মতো ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করেছে। আগামী মাস থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। এটা শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তিনি আরও বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, এটা সত্য। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী মাসের শুরু থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হবে। এবার ৫৩ লাখ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শুরু হলে দ্রুতই সুফল মিলবে।

চালের বাজারে মূল্য কমছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি খাদ্য মজুতের বর্তমান স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তবে শিগগির চালের বাজার সহনীয় হয়ে উঠবে। তবে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এমনভাবে দাম কমানো যাবে না যাতে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এরই মধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধানচাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি:নাহিদ ইসলাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি:নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‌আমরা পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি। আমরা খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি। খেলার নিয়ম বদলাতে হবে। রাজনীতির নিয়ম বদলাতে হবে ।

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারের পরই নির্বাচন। তারা বলছে বিচার দেরি হবে, কিন্তু বিচার শুরু করতে হবে। বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। যে সরকারই আসুক না কেন, এই বিচারে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে শনিবার (৫ জুলাই) বগুড়ায় পথযাত্রা ও পথসভা করে এনসিপি। সেখানে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, পৃথিবীর যা কিছুই দেওয়া হোক, সেই ক্ষতি পূরণ হবে না। আপনাদের পরিবারের সদস্যরা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, মানুষের মুক্তির জন্য শহীদ হয়েছেন, স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ফেরাউন চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। স্বৈরশাসকদের কখনো না কখনো পতন হয়। এবারও সেই ফেরাউনের পতন হয়েছে। আমরা এখন চাই, যে কারণে শহীদরা মারা গেলেন…একটা স্বাধীন দেশ যেখানে স্বৈরাচার থাকবে না, সেরকম একটা দেশ গঠন করবো। সেটার জন্য আমাদের আরও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে থাকতে চাই। গত এক বছর দেশে অনেক কিছু হয়েছে। আমরা হয়তো আপনাদের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। আরও আগেই আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। সেটা পারিনি, এজন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আজীবনের। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আপনাদের পাশে থাকার।’

জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কারের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘শহীদ পরিবার যারা আছে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। শুধু এই সরকার নয়, যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, এটা করতে হবে। এটার জন্য আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলছি। যে জুলাই ঘোষণাপত্রে এই শহীদদের কথা থাকবে, এই পরিবারগুলোর কথা থাকবে এবং সেটা সংবিধানে যুক্ত করা হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের কী কী সংস্কার লাগবে সেই কথা থাকবে। আমরা এই দুটি দাবিতে সারাদেশে পদযাত্রা করছি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, বগুড়া বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বগুড়ার নাম শুনলে তাদের কোথায় চাকরি দেওয়া হতো না। বগুড়াবাসীকে নির্বিচারে ভুয়া ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো। জুলাই গণঅভ্যুথানে বগুড়ায় পনেরর বেশি নিহত ও সাতশর বেশি আহত হয়েছেন। আমারা শুনতে পেরেছি, বগুড়া প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। জুলাই গণঅভ্যুথানের দাবি, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ ও নিরপেক্ষ আদালত।

এসময় বগুড়ার প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আপনারা নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে কাজ করবেন না।

পথসভার আগে বগুড়ায় পর্যটন মোটেলে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।