খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২

গ্রাহকবান্ধব সেবায় নজর কম অপারেটরগুলোর, থেমে নেই অভিযোগ

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
গ্রাহকবান্ধব সেবায় নজর কম অপারেটরগুলোর, থেমে নেই অভিযোগ

দেশে পরিচালিত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কলড্রপ, ইন্টারনেটে ধীরগতি, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি), অটো ইন্টারনেট প্যাকেজ অ্যাকটিভ ও রিচার্জিংয়ের মতো বিষয়। গত ৯ মাসে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রবি আজিয়াটা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, গত ৯ মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকরা প্রায় ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগ করেন। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রায় দুই হাজার ৯৬টি, রবি আজিয়াটার বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার ৭৩১টি, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার ২৪টি ও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় এক হাজার ৯৭টি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিটিআরসি জানায়, কলড্রপ, ইন্টারনেটে ধীরগতি, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি), অটো ইন্টারনেট প্যাকেজ অ্যাকটিভ, রিচার্জিংসহ গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ রয়েছে। এসময়ে ছয় হাজার ৯৪৮টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫২৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি কর্মকর্তা সাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহককে ওয়্যারলেস বা মোবাইল সেবা দিচ্ছি। এরপরও প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা ও সমাধান করি।

সাহেদ আলম আরও বলেন, ‘উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত সমাধানের প্রক্রিয়ায়। আমরা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলছি। গ্রাহকদের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা দিচ্ছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অপারেটরগুলোর সেবা পেতে অনেক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়লেও সবাই অভিযোগ করেন না। আবার অনেক গ্রাহক জানেনও না ভোগান্তির জন্য কোথায় কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। এরমধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব গ্রাহক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত নেটওয়ার্ক ও কলড্রপের মতো সমস্যায় ভুগলেও বিপুল সংখ্যক গ্রাহক অভিযোগ করতে চান না বা অভিযোগের সিস্টেম জানেন না। তাদের দাবি গ্রাহকদের প্রকৃত অভিযোগ অনেক বেশি।

দেশে কম শিক্ষিত বা নিরক্ষর অনেক গ্রাহক রয়েছেন, যারা অপারেটরগুলোর কাছে প্রতারিত হলেও অভিযোগ জানাতে পারেন না- বলেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের বিভিন্ন রকম অভিযোগ থাকলেও অভিযোগ করেন মাত্র কয়েক শতাংশ গ্রাহক। অনেক গ্রাহক সময়ের অভাবে অভিযোগ করতে অপারগতা দেখান। আবার অনেক গ্রাহক জানেন না কোথায় কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে অপারেটরগুলোকে কোনো ছাড় নয়। বরং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রে রয়েছেন আমাদের গ্রাহক। আমরা গ্রাহকদের প্রতিটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সমাধানের চেষ্টা করি। গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষের আস্থাভাজন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানে আমাদের নানান ধরনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নিরন্তর চলছে এবং চলবে।’

জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস গাজী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলালিংকের প্রতিটি গ্রাহকের অভিযোগ আমরা সেবা উন্নয়নের অনন্য সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা দ্রুত, কার্যকরী ও স্বচ্ছভাবে সমাধান করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

‘যদিও অভিযোগের পরিমাণ একটি সূচক মাত্র, আমরা বিশ্বাস করি সমাধানের গতি, গুণমান ও গ্রাহক সন্তুষ্টিই প্রকৃত মূল্যায়ক। তাই বাংলালিংক সম্প্রসারিত ফোরজি কাভারেজ এবং দ্রুততর ডিজিটাল সলিউশন নিশ্চিত করে ক্রমবর্ধমান গ্রাহক চাহিদা পূরণে আরও উন্নত সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’- যোগ করেন অপারেটরটির এ কর্মকর্তা।

সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সয়াবিনে লিটারপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছে

বাজারে আবারও বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা, পাম তেলের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যসূচি ঘোষণা করে।

নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৭ টাকা, এবং পাম তেল ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে গত আগস্টে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি। এবার নতুন করে বৈঠকের মাধ্যমে তারা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এছাড়া শহীদ মিনারে অবস্থানসহ কর্মবিরতিও চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বল প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে মার্চ সচিবালয়ের পর মার্চ টু যমুনার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।