খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চাঁদপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬২ হাজার পশু

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬২ হাজার পশু

চাঁদপুরে ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২ হাজার ৯৮টি পশু। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৭৬ হাজার পশুর। এতে দাপ্তরিক হিসেবে পশুর সংকট থাকবে ১৪ হাজার। তবে আশপাশের জেলার পশু হাটে উঠলে এই সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। দাম ভালো পেলে লোকসান কাটাতে পারবে বলে মনে করেন খামারিরা।

সম্প্রতি সময়ে সদর ও আশপাশের উপজেলায় খামারি এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যে জানা যায়, জেলায় তালিকাভুক্ত খামারি রয়েছে ৩ হাজার ৭৭০ জন। খামারগুলোতে গরু উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার ৪ শত ৯৭টি। ছাগল ভেড়া ও অন্যান্য পশু উৎপাদন হয়েছে ১৯ হাজার ৬০১টি। সব মিলিয়ে মোট উৎপাদন হয়েছে ৬২ হাজার ৯৮টি।

কোরবানির জন্য গবাদি পশু প্রয়োজন ৭৬ হাজার ৩৫৪টি। হিসেব মতে গবাদি পশু সংকট রয়েছে ১৪ হাজার ২৫৬টি। চলতি বছর জেলায় ষাঁড় গরু উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭, বলদ ৭ হাজার ৭৮১, গাভী ১০ হাজার ৪৬৯ টি। সর্বমোট গরু উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯৭টি। মহিষ ২১৭, ছাগল ১৮ হাজার ৪৫৮, ভেড়া ৮৩০ ও অন্যান্য পশু ৯৬টি।

সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের খামারি কামাল ফরাজি বলেন, গত ৭ বছর আমাদের খামারে দুগ্ধ উৎপাদনের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পশু পালন করা হয়। এ বছর আমাদের শতাধিক ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আশা করি দাম ভালো পেলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। কারণ পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে।

একই এলাকার খামারি মো. মোশারফ বলেন, অন্য জেলা থেকে পশু আসলেও স্থানীয়ভাবে পালিত কোরবানির পশুর চাহিদা বেশি। আমাদের খামারে নিজেদের উৎপাদিত ঘাস ও দানাদার খাদ্যে ষাঁড়গুলো কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের দৈনিক হাজিরা ও খাদ্যের দাম বেশি। বিক্রি মূল্যের উপর নির্ভর করবে আমাদের লাভ- লোকসান। দেড় লাখ থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যে ষাঁড় আছে খামারে।

কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন গাজী বলেন, এলাকায় একাধিক খামারি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবারে এস ষাঁড় প্রস্তুত করেছে। তারা যদি ষাঁড়গুলোর দাম ভালো পায় তাহলে টিকে থাকতে পারবে। লোকসানে পড়লে খামারি সংখ্যা কমে যাবে এবং বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে।

ওই এলাকার ফারিজ এগ্রো ফার্মে শহর থেকে কোরবানির জন্য ষাঁড় দেখতে এসেছেন ক্রেতা গিয়াস উদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, এই খামারের ষাঁড়গুলো দেখে পছন্দ হয়েছে। দরদামে ঠিক থাকলে কেনা যাবে।

সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের খামারি মান্নান বলেন, খামারে এখন গরুর সংখ্যা কম। কারণ বিক্রিতে খরচ উঠে আসে না। এতে অনেকে আগ্রহ হারিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার খামারি জসিম উদ্দীন মিন্টু বলেন, গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, খড়ের অপর্যাপ্ততা এবং শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও গবাদিপশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছে। খামারি তৈরি করার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।

একই উপজেলার সকদীরামপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন, ছামাদ মিজি, আক্তার হোসেন পাশাপাশি বাসিন্দা। তারা পারিবারিকভাবে ৫ থেকে ৭টি করে কোরবানির ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। এদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন বলেন, তারা নিজেদের পরিশ্রমে এসব পশু লালন পালন করেন। আশা করছেন তাদের ষাঁড় বিক্রিতে লাভবান হবেন।

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, এ বছর আমরা কোরবানি প্রস্তুত করার জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছি। যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। আর পশুগুলো প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, জেলায় দুই শতাধিক কোরবানির পশুর হাট বসবে। চাহিদার আলোকে কোন ধরণের পশুই সংকট হবে না। কারণ কোরবানির হাটে অন্য জেলার পশু আসলে চাহিদা মিটে যায়। সংকট অবশ্য কাগজে কলমে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেন ও ক্রেতার নিরাপত্তায় পুলিশবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পুলিশের টহল সদস্যরাও কাজ করবে।

কচুয়ায় দুই দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৪ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় দুই দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কচুয়ায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের বাস্তবায়নে কচুয়া উপজেলার ইউপি সদস্য ও সদস্যদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার ও মঙ্গলবার কচুয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ২দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

১ম দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের নিয়ম নীতি, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য এবং প্রশিক্ষণ পূর্ব মূল্যায়ন করা হয়। গ্রাম আদালত কি? গ্রাম আদালতের গঠন, শক্তি, এখতিয়ার, ক্ষমতা, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা তফসিলের প্রথম অংশে ফৌজদারী ও দ্বিতীয় অংশে দেওয়ানি বিষয় নিয়ে ভিডিও প্রদর্শনী ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুই পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুই পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

চাঁদপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে পদ্মা ও আইদি পরিবহনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে চাঁদপুর পৌর বাস টার্মিনালে এই অভিযান পরিচালনা করে বিএরটিএ চাঁদপুর সার্কেল।

সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চাঁদপুর বাস টার্মিনাল ও আশপাশের বাস কাউন্টার গুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুদ রানা। এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে দুইটি পরিবহনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, সড়কে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিটি বাস কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা সাটানোসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চাঁদপুর সার্কেলের মোটর যান পরিদর্শক মো: আলাউদ্দিন, সহকারী মোটর যান পরিদর্শক মো: শামীম মিয়াসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠের নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।

এবিষয়ে বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এর নির্দেশে সড়ক নিরাপদ ও যাত্রী হয়রানি মুক্ত রাখতে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেহেতু চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন জেলার মানুষ বাসে যাতায়াত করে। তাই দূরপাল্লার যাত্রীদের থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

কচুয়ায় প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

কচুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
কচুয়ায় প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভা ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবী।

ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ শাহ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাউছার হোসেন, বিএনপি নেতা জামাল হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক শাহজালাল প্রধান জালাল, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এলাহী সুবাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নয়ন, আইনগিরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী শান্তা ইয়াসমিন পপি, বিএনপি নেতা তাবারক উল্লাহ, উপজেলা যুবদলের নেতা জাকির হোসেন সুমন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতিকুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন প্রধান, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী বিলকিস বেগম, ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের সভাপতি বোরহান র্মিজা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাকিব মিয়াজী, সহ-সভাপতি সজীব হোসেন, বোরহান উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রহমত উল্লাহ, রবিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা সবুজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক গাজী মানিক প্রমুখ। এসময় ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকার গরীব অসহায়দের মাঝে পবিত্র ঈদুল আজহা ঈদ উপহার বিতরণ করেন।