খুঁজুন
শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩২

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবার-গুরুতর আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহতদের (গুরুতর আহত) ফ্ল্যাট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুরে নেওয়া হচ্ছে দুটি প্রকল্প। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪শ-১৫শ ফ্ল্যাট নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও গুরুতর আহতদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।

দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিকভাবে দুই প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি সুবিধাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হবে। তাই ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে। ব্যয়ের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন একসময় সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আন্দোলনে শহীদ হন শত শত ছাত্র-জনতা। আহতও হন কয়েক হাজার মানুষ।

গত ১৫ জানুয়ারি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের তালিকার গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া কয়েক দফায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তিনটি ক্যাটাগরিতে (‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণি) আহতদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।-জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ক’ ক্যাটাগরির (অতি গুরুতর আহত) ৪৯৩ জনের নামের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়। তালিকা করার দায়িত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ থাকলেও তালিকা প্রকাশ করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে শহীদ ও আহতদের নাম ছাড়াও গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী অতি গুরুতর আহতরা ‘ক্যাটাগরি-এ’ অন্তর্ভুক্ত হবেন। উভয় হাত বা পা বিহীন, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম— এমন আহত ব্যক্তি অতি গুরুতর আহত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

প্রকল্প দুটি দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-১) মো. আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ও সেই বিষয়টি পজিটিভলি চিন্তা-ভাবনা করছে।’

বিষয়টি এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, কোন পর্যায়ে কী করা যায়। প্রকল্প করতে কত টাকা লাগবে, কোথায় করবো, কতজনের জন্য করবো, কীভাবে করবো— সবকিছুই আলোচনার মধ্যে রয়েছে। একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একটি প্রকল্প নিতে গেলে অনেকগুলো কনসেপ্টচুয়াল ইস্যু আছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে।’

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, কথা উঠেছে আমাদের দিক থেকে এদের (অভ্যুত্থানে নিহত-আহত) জন্য কিছু করা উচিত। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদিত হলে এ বিষয়ে বলা যাবে।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, গত ৪ মে প্রকল্প এলাকার ভেতরে প্রয়োজনীয় পরিষেবা (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, সড়ক, মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি) সুবিধা দিতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও নিজেরা একটি বৈঠক করে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শহীদ পরিবার ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারের জন্য এটি করা হচ্ছে। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ক-ক্যাটাগরির আহতদের আমরা ফলো করবো। শহীদ ও চূড়ান্ত অক্ষম আহত সবাইকে ফ্ল্যাট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। পূর্ণ সম্মান আমরা নিহত ও আহতদের দিতে চাই।

মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমিতে দুটি প্রকল্পের অধীনে আবাসনটা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিরপুর-১৪ নম্বর সেক্টরে পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। মিরপুর-৯ এ পল্লবী থানার পেছনে আরেকটি প্রকল্প নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।’

শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহত পরিবারকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, সেখানে সব ধরনের পরিষেবাসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্প এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেটসহ অন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। দু’বছরের মধ্যে প্রকল্প দুটি শেষ করা হবে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ধরনভেদে ‘ক’, ‘খ’, এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন তিন লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা ছিলেন, চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।

মতলবে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না

মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবেন না। কেন এই মানবিক করিডোর? দেশের গন্তব্য তাহলে কোন দিকে?

৯ মে শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি দরবার শরীফে ইমামুত্ব ত্বরীকত আল্লামা শায়খ বোরহানুদ্দীন (রা.) ও জান্নাতুল- বাক্কী’র বাসিন্দা আল্লামা শায়খ ড. মানযূর আহমাদ (রা.) এর ওফাত দিবস (মৃত্যুবার্ষিকী)’র মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধন অতিথির বক্তব্যে সুন্নি ত্বরীকার উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা মুফতি ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন এবং আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবারের পীর ক্বেবলা আল্লামা শায়খ মাসউদ আহমাদ বোরহানী।

ফরাজীকান্দি দরবারের মসজিদে ফাতাতু-যোহরার খতিব মাওলানা জাকারিয়া শিকদার সঞ্চালনায় আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. এনায়েতুল্লাহ আবাবাসী আরো বলেন, নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন মেটেও মেনে নেয়া যায়না। নারী পুরুষের অধিকার কখনো সমান হতে পারেনা। কুরআন সুন্নাহর আলোকেই নারী ও পুরুষের অধিকার নিশ্চিৎ করা হোক।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশ থেতে দুর্নীতি কি চলে গেছে, না চলে যায়নি। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। কেননা, ড. ইউনুসের কাছে আলাদিনের চেরাগ নাই। তাই একাজে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রনী পেশার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বেশ কয়েক সহস্ত্রাধিক ভক্ত সমর্থকরা উপস্থিত থেকে দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।

জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা

মাহবুব অলিউল্লাহ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ণ
জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা

চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ মে শুক্রবার রাতে। জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রধানের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, কেন্দ্রিয় গণঅধিকার পরিষদের জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মোঃ নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বলেন, যে মানুষ কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে সম্পদের মালিক হয়, সে সম্পদের নিশ্চয়তা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ কষ্ট করে রাজপথ থেকে উঠে আসা একটি তারুণ্য ভিত্তিক দল। এ দলটার তৈরি হয়েছে কষ্ট করে,মানুষের কষ্ট কখনো বৃথা যায় না। তাই আমি আশা রাখি আগামী দিনে গণঅধিকার পরিষদের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে ইনশাল্লাহ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা গনঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক চাঁদপুর ৩ ( সদর, হাইমচর) আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম শরীফ হোসেন, সদর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল আমিন সুমন, মোঃ নিশান হোসেন।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, পৌর ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ পারভেজ হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ রুবেল হোসেন প্রমুখ।

আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

মিজান লিটন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বস্তরের ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে।

১৭ বছরের ফ্যাসিবাদ কায়েম করা, সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, গুম খুন ও পিলখানায় গণহত্যায় জড়িত। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ তাদের সকল অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা শহরের বাইতুল আমীন জামে মসজিদ সম্মুখ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের হাসান আলী স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মোহাম্মদ তামিম খানের সভাপতিত্বে এবং মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলি চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নূর আলম, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তারেক হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক হাফেজ কারী রশিদ আহমেদ, খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ ইসমাইল, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন হিসাম ও সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে। বক্তারা উপদেষ্টাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন,যাদের এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তাদের সাথে আমরা নাই।”

সমাভেসে আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিস চাঁদপুর শাখার যুগ্ম সম্পাদক ফারুক নোয়াম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মুফতি আবু ইউসুফ হামিদীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।