খুঁজুন
সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২

সাত বছর জেলা কারাগারে থাকার পর হাজতি আমান উল্লাহর মৃত্যু

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
সাত বছর জেলা কারাগারে থাকার পর হাজতি আমান উল্লাহর মৃত্যু

সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে হত্যা মামলার আসামি হয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগারে সাত বছর কারাভোগ করাকালীন সময়ে আমান উল্লাহ নামে এক হাজতি মৃত্যুবরন করেছে।

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর আমান উল্লাহকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করে, তবে হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ডাক্তার।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাঠনল ইউনিয়ন শটাকি গ্রামের নজরুল আমিনের ছেলে আমান উল্লাহ।

সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে ২০১৮ সালে তার সৎ চাচা হারুন বাদী হয়ে আমান উল্লাহকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দীর্ঘ সাত বছর জেলে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

টাকার অভাবে জামিনে বের হতে পারেনি আমান উল্লাহ। তার বাবা নজরুল আমিন ভিক্ষাবৃত্তি করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে বাদি হারুনকে দেয়। তারপরেও ছেলেকে জীবিত কারাগার থেকে বের করতে পারেনি।

তবে কি কারনে কিভাবে তার এই মৃত্যু হয়েছে এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার জান্নাতুল ফেরদৌস জানায়, কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সী হাজতী আসামি নং ৫১৩৩ আমান উল্লাহকে সদর হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

এই বিষয়ে আমানুল্লাহর পিতা নজরুল আমিন জানায়, বাবা মারা যাওয়ার পূর্বে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কারণে সৎ ভাই হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। হারুনের মেয়ে পানিতে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় থানায় ছেলে আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আপস করার কথা বলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিলেও ছেলেকে জীবিত কারাগার থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে ছেলের কোন ধরনের রোগ বালাই ছিল না, সে সুস্থ থাকলেও কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

মিথ্যা মামলায় সাত বছর জেলে থাকার ঘটনায় সৎ ভাই বাদি হারুনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

মিজান লিটন
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

চাঁদপুর সদরে গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী প্রকল্পের আওতায় ৮০ টি অসহায় পরিবারের মাঝে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফতাবুল ইসলাম, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির এডভোকেট শাজাহান খান।

এদিন গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী প্রকল্পের আওতায় ৮০ টি পরিবারের মাঝে মোট ১০৬ বান টিন এবং প্রতি বান টিনের সাথে ৩ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।

শাহরাস্তিতে ৪ মাদককারবারি আটক

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
শাহরাস্তিতে ৪ মাদককারবারি আটক

শাহরাস্তি থানা পুলিশ পৃথক দুটি অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃত মাদককারবারিরা হলো শিমুল মজুমদার (২৮), তাপস দাস (৩৫), শাহ পরান (২৯) ও জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।

৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে এ মাদককারবারিদেরকে আটক করা হয়। রাগৈ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, শিমুল মজুমদার (২৮), তাপস দাস (৩৫), শাহ পরান (২৯) এদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩১,২৪৪ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং জাহাঙ্গীর আলম (৪২) এর কাছ থেকে ৪৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৩,৬৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

​গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা (এফআইআর নং-৬ এবং এফআইআর নং-৭) দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি কমছে, তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বহাল: উপদেষ্টা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:০৪ অপরাহ্ণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি কমছে, তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বহাল: উপদেষ্টা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনই বহাল থাকছে। তবে শিক্ষাপঞ্জিতে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রবিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, স্কুলে যদি প্রকৃত অর্থে পাঠদান নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে ‘কন্ট্রাক্ট আওয়ার’ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটা সময় দিতে পারছেন, সেটি নির্ভর করছে স্কুল কত দিন খোলা থাকে তার ওপর। আমাদের স্কুল বছরে মাত্র ১৮০ দিন খোলা থাকে, যেখানে বছরজুড়ে রয়েছে ৩৬৫ দিন। এর মানে অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপঞ্জিতে কিছু অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে আনতে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে করলে সফলতা আসবে না।

সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন থেকে এক দিনে নামিয়ে আনার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, সপ্তাহে দুই দিনের ছুটি কমিয়ে এক দিন করা এখনো আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই নিয়মে চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে এটা করা কঠিন।

উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের একটা দাবি আছে— তারা ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। যদি এটিকে নন-ভ্যাকেশন করতে চাই, তাহলে সরকারের আর্থিক ব্যয়ের বিষয়টি চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে কোন কোন দিনগুলো বাদ দেওয়া হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যখনই সিদ্ধান্ত হবে, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষাকে স্বাক্ষরতা অর্জনের মূল ভিত্তি হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হলো স্বাক্ষরতা অর্জন। অথচ এখানে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা আমাদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করতে হবে।