খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
ছাড়পত্র পেলেও কেন হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই যোদ্ধারা?

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে এমনও আছেন যাদের এখন আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বাসায় যাচ্ছেন না। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সমন্বয়কসহ সব পক্ষকেই।

বিভিন্ন সময়ে নানান মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, হাসপাতালে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হন আহতরা। আবার চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন তারা। গত ১০ মার্চ জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) স্টাফদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় ১০ জন আহত হন। ঘণ্টারও বেশি সময় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছিল। পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের মাধ্যমে সেটির সুরাহা করতে হয়েছে।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে, ডিম কিনে এনে তা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ফ্লোরে ভেঙে পিচ্ছিল করে একে অপরকে টেনে-হিঁচড়ে আনন্দ করছেন জুলাই যোদ্ধারা। আবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে মামলার আসামি হয়েছেন এমন উদাহরণও আছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, জুলাই যোদ্ধারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে পরিবার ও সমাজে ফিরে গেলে, তাদের সঙ্গে মিশলে বা কর্মে যুক্ত হলে মানসিক আঘাত কেটে যাবে। অন্যথায় এভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে পড়ে থাকলে তাদের মানসিক অবস্থার উন্নতির বদলে অবনতি হবে। দেশীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও একই মত দেন। কিন্তু আহতরা হাসপাতাল ছাড়তে নারাজ।

কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় অনেকে আর্থিক সহায়তা পাননি। আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য সরকারের করা তিনটি ক্যাটাগরি নিয়েও অসন্তুষ্ট অনেকেই। এর সহজ ও দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন না তারা। গত ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলেও এখনো আহত অনেকে এই কার্ড পাননি। যারা পেয়েছেন, তাদের কার্ডে অহরহ ভুল। এগুলোর সমাধানে দফায় দফায় ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না জুলাই যোদ্ধারা। হাসপাতালে থেকে তারা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দপ্তরগুলোতে দৌড়াতে পারেন। কিন্তু বাসায় চলে গেলে দলচ্যুত হয়ে পড়বেন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ও উদ্ভূত সমস্যাগুলো সমাধানে দেরি হবে বলে মনে করছেন তারা।

গত ৮ থেকে ১০ মার্চ যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। ১১৫ জন রোগী দেখেছেন, এর মধ্যে ২৩ জনের সার্জারি করেন।

১১ মার্চ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে ওই চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. মাহি মুকিত বলেন, ‘আন্দোলনে আহতদের যথাযথ মানসিক ট্রমার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া অনেক রোগী পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে। এভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে থাকা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে, তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।’
পরদিন (১২ মার্চ) চক্ষু হাসপাতালের ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে মাত্র এক-দুজন বাড়ি গেছেন। বাকিরা হাসপাতাল ছাড়ছেন না।
চক্ষু হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া জুলাই যোদ্ধা বাপ্পী ইসলাম বলেন, ‘প্রতি রুম থেকে কয়েকজন করে রিলিজ দিছে। কেউ তো যায়নি। তবে আমি ১৬ মার্চ চলে এসেছি।’

একই হাসপাতালে ভর্তি আরেক জুলাই যোদ্ধা মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় জরুরি কাজে নিজ বাড়ি নরসিংদী গিয়েছিলেন। পরে রিলিজ দেওয়ার কথা শুনে আর হাসপাতালে যাননি।
এর বাইরে সবাই রয়ে গেছেন হাসপাতালে। কেন যাননি? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিরুল নামের একজন বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখে দেখি। কিন্তু এটাতেও সমস্যা হয় মাঝেমধ্যে। এখন ভালো আছি। ছুটি দিয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় ধাপের টাকা দিলে চলে যাবো। ঢাকায় থাকলে তো জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যাওয়া-আসা যায়, গ্রাম থেকে আসা তো কঠিন।’

আরেকজন আহত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার তামিম মাহমুদ (১১)। সে এক চোখে দেখে, আরেক চোখে দেখে না। দুই মাস ধরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি। তাকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাচ্ছে না।

তার বাবা নুরুদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলেটা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। আমাকে হাসপাতাল ছাড়তে হলে আগে বোঝাতে হবে- এখানে কী চিকিৎসা পেয়েছে? সিএমএইচে দেড় মাস, চক্ষুতে দুই মাস। অথচ সন্তোষজনক চিকিৎসা পাইনি। তার রগে বুলেট আছে এখনো। কেউ বের করতে রাজি না। বাংলাদেশের এরা পারবে না। তাহলে বিদেশ পাঠান। তাও করছে না।’

নুরুদ্দিন আরো বলেন, ‘আপনি আমাকে রিলিজ দিয়ে দিবেন, আপনি কি আমায় ডেকে আনছেন? আমার চিকিৎসার বুঝ না পাইলে যাবো না। বুঝিয়ে দিতে হবে। হেলথ কার্ড ও সহায়তা হলেই তো হবে না, উন্নত চিকিৎসা লাগবে।’

১২ মার্চ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে আমরা তাদের ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। অনেককে ছুটি দিয়েছি। ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে থাকার দরকার যাদের অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু তারা মনে করছে, এখানে থাকলে আমার চোখ লাল হলে, পানি পড়লে, ফুলে গেলে বা যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে, সঠিক চিকিৎসা পাবো। এজন্য থাকে। আমরা সব মেডিকেল কলেজকে বলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ ধরনের চিকিৎসা যাতে তারা দেয়। আর অপারেশনের প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে পাঠাবে। এর বাইরেও আরেকটা বিষয় আছে, তারা মনে করে এখানে থাকলে সরকারের বা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সুযোগ-সুবিধাগুলো সরাসরি পাওয়া যায়। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি, সরকারি-বেসরকারি সব সুযোগ-সুবিধা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জেলাভিত্তিক দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছি। এটি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সময় লাগবে।’

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল বলেন, ‘রোগীরাও বোঝে, তাদের যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার বেশি কিছু করার নেই। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে চায়, পুনর্বাসন। অনেকে মুখে বলে, অনেকে বলে না, তবে আকার ইঙ্গিতে বোঝা যায়। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি, এখন পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।’
জানা গেছে, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি আছে ১২৬ জন। কিন্তু এক বিছানায় দুজন থেকে বা নানাভাবে ১৫০ থেকে ২০০ জন অবস্থান করেন।

একই চিত্র পাশের জাতীয অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের। সেখানেও ভর্তি আছেন ১০৭ জন। কিন্তু ২০০’র বেশি রোগী নানান সময়ে অবস্থান করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের সবার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। এমন আহতদের হাসপাতাল ছাড়তে বললেও রাজি হচ্ছে না।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘এরা আসলে পরিপূর্ণ সুস্থ নয়। তবে সবার হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়। আমি মনে করি, যাদের হাসপাতালে থাকা জরুরি নয়, তারা প্রয়োজনে ১৫ দিন বা এক মাস পরপর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বা ফলোআপ করবে। তারা পরিবারের সঙ্গে থাকলে জুলাই আন্দোলনের বিভীষিকায় পড়ে যে ট্রমা হয়েছে, এটার মানসিক উন্নতি হবে। চিন্তা-ভাবনা স্বাভাবিক হবে।’

ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০-২৫ জন আছে যাদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। আমরা তাদের সরাসরি তালিকা করে ছুটি দেইনি। এর আগে ছুটি দিয়েছিলাম, পরে আবার চলে আসছে। ফোর্স করে ছুটি দিলেই তো হবে না। কাউন্সিলিং করার চেষ্টা করছি। তাদের বুঝিয়ে রাজি করে বাড়ি পাঠাতে হবে। কারণ, এখানে গত ১০ তারিখ যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা (মারামারি) ঘটেছে। তাই, বুঝের মধ্যে সব করার চেষ্টা করছি।’

হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা তামিম খানও এ বিষয়ে একমত যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়া জুলাই যোদ্ধাদের মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পরিবার ও সমাজে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ চক্ষু হাসপাতাল থেকে ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়। ৩১ জনই হাসপাতালে থেকে গেছে। তারা যাবে না। এটার মূল কারণ হচ্ছে, চক্ষু ও অর্থপেডিক হাসপাতালে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই আর্থিক সহযোগিতার একটা অংশ এই রোগীরা পায়। যার কারণে তারা হাসপাতাল ছাড়তে চাইছে না। এটা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। আমরা অনেক চেষ্টা করছি, তাদের বোঝাতে। তারা কোনো কথা শোনে না, বরং মারতে আসে। তাদের সুবিধার জন্য আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি, হাসপাতালে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছি। সব ধরনের সহযোগিতা জেলাভিত্তিক আমরা পৌঁছে দেব।’

চক্ষু হাসপাতালে ২০০ রোগী এবং অর্থপেডিকে তারও বেশি অবস্থান করছে উল্লেখ করে তামিম খান জানান, এমনিতেই তো তারা ট্রমাটাইজড। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার ফলে তাদের আরও মানসিক অসুস্থতা তৈরি হচ্ছে। পরিবার থেকে দূরে। মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। হাসপাতাল তো থাকার জায়গা নয়। ওখানে সুস্থ মানুষ থাকলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। মেডিসিনের গন্ধ ও প্রভাব আছে। প্রত্যেক দিন নানা ধরনের রোগী দেখছে। বাসায় চলে গেলে বরং পরিবার ও সমাজের সঙ্গে মিশে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

এর বাইরে সিআরপি, সিএমএইচ ও নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে গণঅভ্যুত্থানে আহত কিছু রোগী আছে। তবে সেসব হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি এবং প্রয়োজনেই তারা সেখানে থাকছেন।

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর প্রেসিডেন্ট মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলেছেন, গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে তিনি বলেন, মানবিকতা ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনের দুর্ভোগের অবসান করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যথেষ্ট করছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানবিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে এবং মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে নাই করে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিআরসি এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা যুদ্ধ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। গাজায় তাদের ১৩০ জন কর্মী আছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সার্জিক্যাল হাসপাতাল পরিচালনা করে সংস্থাটি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের কাছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল সকালে হাসপাতালে ১৮৪ জনকে আনা হয়েছে যার মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মৃত। আরও আটজন পরে মারা গেছেন।

আইসিআরসি সাধারণভাবে রেড ক্রস হিসেবে পরিচিত। তাদের জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।

মিরিয়ানা স্পোলয়ারিচ বলছেন, যুদ্ধের নিয়ম আছে এবং সেটি সব পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।

সূত্র: বিবিসি

হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জ সুন্নিয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধা পুরষ্কার প্রদান

হাজীগঞ্জ সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মে হানি সুন্নীয়া হাফিজিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সবক, মেধা পুরষ্কার ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মিঠানিয়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ হোসেন আল ক্বাদেরী।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় কোরআন শরীফ প্রতিযোগিতা, কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজিতে অনুবাদ ও বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর শ্রেণিকক্ষের পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার আলিয়া শাখার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. আমান উল্ল্যাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

মোঃ ইউসুফ বেপারী
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

হাজীগঞ্জ উপজেলার মডেল টাউনে অবস্থিত দারুল কুরআন আন্তর্জাতিক হিফজ্ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ, হিফজ্ ছাত্রদের সবক প্রদান ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্বারি ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ এবং হাফেজ কারী ইউসুফ আদনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ কারী আহসান উল্লাহ সৌরভ বলেন, পবিত্র কুরআনের হিফজ করা শুধু একজন ছাত্রের নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় গর্বের বিষয়। এ ধরনের আয়োজন ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দ্বীনি শিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, হিফজে কুরআন শুধু মুখস্থ করলেই যথেষ্ট নয়, এর শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করাই প্রকৃত সফলতা।

বক্তব্য শেষে মাদ্রাসার ১০ জন হিফজ্ শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী নোমান, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসেন, হাফেজ মাওলা ওমর ফারুক, হাফেজ মহিন উদ্দিন ও হাফেজ নাঈম।

সবশেষে সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রার্থনা করা হয়।