খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার হত্যা মামলা

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
আবরার হত্যা মামলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতের রায় অনুযায়ী ২০ জনের মৃত্যুদন্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। আসামিদের (ডেথ রেফারেন্স) মৃত্যুদন্ড অনুমোদন এবং আপিল খারিজ করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। আর আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু। এছাড়া আদালত কক্ষে আসামিদের পরিবারের সদস্য এবং ভিক্টিম আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ ও বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, রায়ে তারা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে, এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেটিও প্রত্যাশা তার।  নিম্ন আদালতের রায় বহাল রয়েছে। এ রায়টা যেন অতিদ্রুত কার্যকর হয়। আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। এ রায় দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। একজন আসামির জেল থেকে পলাতকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা ছয় মাস পরে জানলাম। এটা আমাদের কাছে প্রশ্ন না করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন করাই ভালো। এটা আমরা কিছু বলতে পারবো না।

রায়ের পর এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাইয়াজ বলেন, রায় বহাল রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট। আমরা আশা করবো অতি দ্রুত যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলো সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করা।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদন্ড হলে, তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দন্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি আপিল করেন কারাগারে থাকা দন্ডিত আসামিরা। আসামিদের এই ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে এক দিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ শুনানিতে ছিলেন। আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ শুনানিতে অংশ নেন।

প্রায় চার বছর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেওয়াল ভেঙে পালান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।

চাঁদপুরে আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক, ট্রাক জব্দ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক, ট্রাক জব্দ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে এসকিউ ক্যাবলের গোডাউনে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও তালা কাটার সরঞ্জাম (বড় কাটার)।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান।

গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার নলুয়াবাগী এলাকার মৃত ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন ওরফে সাবু (৪৮), একই থানার কালাই কিশোর এলাকার গোলাপ খানের ছেলে মো. জামাল খান (৪৫) ও দিনাজপুর জেলার বিরল থানার কাজীপাড়া এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে রতন ওরফে কালু (৩৬)।

পুলিশ জানায়, হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে গত ১৬ জুন রাতে এসকিউ ক্যাবলের গোডাউনে থাকা সংরক্ষিত বৈদ্যুতিক ক্যাবল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ১৮ জুন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হারুনুর রশিদ হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের সদস্যদের আসামী করে মামল করে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিবরে সার্বিক নির্দেশনায় মামলাটি হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করে।

পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮ জুলাই বগুড়া সদর থানার মহাস্থানগড় এলাকা থেকে আসামী সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তার হেফাজতে থাকা ডাকাতি মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক ও তালা কাটার সরঞ্জাম (বড় কাটার) উদ্ধার করে। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যে কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকা থেকে আসামী রতন ও জামাল খানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, গ্রেপ্তার আসামীরা আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের সদস্য। আসামী সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঁচটি, রতনের বিরুদ্ধে দুটি ও জামালের বিরুদ্ধে নয়টি ডাকাতি এবং চুরির মামলা রয়েছে। আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।

চাঁদপুরের বিএনপির তিন নেতা বহিস্কার

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৩:০১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরের বিএনপির তিন নেতা বহিস্কার

চাঁদাবাজী, দখলদারী, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন হাজী, জেলা বিএনপির সদস্য ও ছেঙ্গারচর পৌর বিএনপি সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান লস্কর, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বেরিফাইড ফেসবুক পেজে সংগঠনের পেডে প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর রয়েছে।

এদিকে এই তিন নেতার মধ্যে আব্দুল মান্নান লস্কর কারাগারে রয়েছেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আহম্মদ উল্লার দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

মতলবে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ২:৪২ অপরাহ্ণ
মতলবে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু

নিহত মেকানিক মাঈনুদ্দিন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণচক গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তারই চাচার বিরুদ্ধে।

বুধবার ৩০ জুলাই সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক।

নিহত ব্যক্তি হলেন রুহুল আমিন সরকারের ছেলে মাইনুদ্দিন সরকার (৪৫)। তিনি একজন ইলেক্ট্রিসিটি মিস্ত্রি ছিলেন এবং ব্রাহ্মণচক চৌরাস্তা মোড়ে ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (টিভি, রেডিও, ঘড়ি) মেরামতের একটি দোকান পরিচালনা করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইনুদ্দিন সরকারের স্ত্রী মানছুরা বেগমের মাধ্যমে ফারুক সরকার (৫২) নামের এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছিলেন না। এনিয়ে বুধবার সকালে মাইনুদ্দিন ব্রাহ্মণচক সড়কে ফারুক সরকারকে কিস্তি শোধের কথা বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা ফারুক সরকার কিল-ঘুষি মারলে মাইনুদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইনুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খাইরুল কবির এবং মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।