খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

আলোকিত চাঁদপুর ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল বের করার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিতা রায়।
তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি আজকে আমরা প্রত্যেকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী। এই যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বসে আছেন, উনি আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বসে আছেন। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম’ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
আদ্রিতা রায় আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার ব্যর্থতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আমরা আগামীকাল রাজু ভাস্কর্য থেকে আমাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে মশাল মিছিল বের করবো। সেই মিছিল থেকে আমরা আমাদের নয় দফা বাস্তবায়নের লড়াই বেগবান করবো।
এ সময় তিনি সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণপ্রতিরোধ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশা।
তাদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জননিরাপত্তাদানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়স্বীকারপূর্বক পদত্যাগ করতে হবে; সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; অবিলম্বে পাহাড়, সমতলসহ সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন করতে হবে; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, জাতীয়তা, প্রতিবন্ধিতা ও বয়স নির্বিশেষে সবার ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে; অপরাধী বা ভুক্তভোগীর জেন্ডার নির্বিশেষে, সব ধরনের পেনিট্রেশনকে ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘সাজা প্রদান নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা যা অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর শারীরিক-মানসিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তির আনুপাতিকতা নিশ্চিত করবে; ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে; বৈবাহিক বা এই ধরনের সম্পর্কে ধর্ষণের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে ভুক্তভোগীর চধংঃ ঝবীঁধষ ঐরংঃড়ৎু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে কেবল নারী বিচারকরা থাকতে পারবেন এবং তা ক্লোজ ডোরের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে, এর নিশ্চয়তা দিতে হবে; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধন করে, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে; প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সেলের গঠনপ্রক্রিয়া আইনে বিবৃত করতে হবে; সেলের কার্যপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অভিযুক্ত বা অভিযোগকারীর যেকোনো ধরণের ক্ষমতাপ্রয়োগের আওতামুক্ত রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে সেলকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান এবং একইসাথে সেলের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বন্দোবস্ত করতে হবে; বিচার ও আইন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে; প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার সংবেদনশীলতার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সম্মতি ও পছন্দের পরিষ্কার ধারণা দেয়, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের তথ্য ও জ্ঞান প্রদান করে এমন পাঠ, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা তা দূর করতে হবে। বিশেষ আইন অথবা বিশেষ সেল এর অধিকারবলে ধর্ষণ এর অভিযোগ যেকোনো থানা গ্রহণ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সকল প্রকার সুরক্ষা প্রদানের জন্য ২০১১ সালে পর্যালোচিত সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবির মধ্যে আরও আছে চবির নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, স্লাটশেমিং এবং বরখাস্তের ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ স্লাটশেমিং করলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে; বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সেলে আবশ্যিক নারী সদস্য থাকবে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে, দোষীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা উক্ত সেলকে দিতে হবে।
এর আগে এই ৯ দাবিতে দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে’র ব্যানারে পদযাত্রাটি বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে শিক্ষাভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পদযাত্রা আটকে দেয়।
এ সময় ব্যারিকেড সরানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া তাদের হাতে থাকা পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘ধর্ষণ কী, ধর্ষণ কেন, আইন কী জানে’, ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’, ‘আমরা জন্ম থেকে শহীদ’, ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই’, ‘রাষ্ট্র তুই ধর্ষক’ প্রভৃতি প্রতিবাদী লেখা দেখা যায়।

চাঁদপুরে আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক, ট্রাক জব্দ

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক, ট্রাক জব্দ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে এসকিউ ক্যাবলের গোডাউনে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও তালা কাটার সরঞ্জাম (বড় কাটার)।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান।

গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার নলুয়াবাগী এলাকার মৃত ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন ওরফে সাবু (৪৮), একই থানার কালাই কিশোর এলাকার গোলাপ খানের ছেলে মো. জামাল খান (৪৫) ও দিনাজপুর জেলার বিরল থানার কাজীপাড়া এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে রতন ওরফে কালু (৩৬)।

পুলিশ জানায়, হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে গত ১৬ জুন রাতে এসকিউ ক্যাবলের গোডাউনে থাকা সংরক্ষিত বৈদ্যুতিক ক্যাবল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ১৮ জুন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হারুনুর রশিদ হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের সদস্যদের আসামী করে মামল করে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিবরে সার্বিক নির্দেশনায় মামলাটি হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করে।

পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮ জুলাই বগুড়া সদর থানার মহাস্থানগড় এলাকা থেকে আসামী সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তার হেফাজতে থাকা ডাকাতি মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক ও তালা কাটার সরঞ্জাম (বড় কাটার) উদ্ধার করে। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যে কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকা থেকে আসামী রতন ও জামাল খানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, গ্রেপ্তার আসামীরা আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের সদস্য। আসামী সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঁচটি, রতনের বিরুদ্ধে দুটি ও জামালের বিরুদ্ধে নয়টি ডাকাতি এবং চুরির মামলা রয়েছে। আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।

চাঁদপুরের বিএনপির তিন নেতা বহিস্কার

আলোকিত চাঁদপুর রিপোর্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৩:০১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরের বিএনপির তিন নেতা বহিস্কার

চাঁদাবাজী, দখলদারী, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন হাজী, জেলা বিএনপির সদস্য ও ছেঙ্গারচর পৌর বিএনপি সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান লস্কর, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বেরিফাইড ফেসবুক পেজে সংগঠনের পেডে প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর রয়েছে।

এদিকে এই তিন নেতার মধ্যে আব্দুল মান্নান লস্কর কারাগারে রয়েছেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আহম্মদ উল্লার দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

মতলবে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু

আলআমীন পারভেজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ২:৪২ অপরাহ্ণ
মতলবে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু

নিহত মেকানিক মাঈনুদ্দিন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণচক গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তারই চাচার বিরুদ্ধে।

বুধবার ৩০ জুলাই সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক।

নিহত ব্যক্তি হলেন রুহুল আমিন সরকারের ছেলে মাইনুদ্দিন সরকার (৪৫)। তিনি একজন ইলেক্ট্রিসিটি মিস্ত্রি ছিলেন এবং ব্রাহ্মণচক চৌরাস্তা মোড়ে ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (টিভি, রেডিও, ঘড়ি) মেরামতের একটি দোকান পরিচালনা করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইনুদ্দিন সরকারের স্ত্রী মানছুরা বেগমের মাধ্যমে ফারুক সরকার (৫২) নামের এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছিলেন না। এনিয়ে বুধবার সকালে মাইনুদ্দিন ব্রাহ্মণচক সড়কে ফারুক সরকারকে কিস্তি শোধের কথা বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা ফারুক সরকার কিল-ঘুষি মারলে মাইনুদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইনুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খাইরুল কবির এবং মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।